Li-fi কি! এবং এটা কিভাবে কাজ করে? | How Does LiFi Work? |
- Li-fi কি! এবং এটা কিভাবে কাজ করে? | How Does LiFi Work?
- X8SANDBOX | ভার্চুয়াল এন্ড্রয়েড সিস্টেম ইমুলেটর | INSTALL TUTORIAL
- জানা অজানা জ্ঞান বিজ্ঞান [পর্ব-২]
- লেবুর রসের ৫ টি অদ্ভুত ক্ষমতা গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
- শাট ডাউন vs স্লীপ vs হাইবারেনট এর মধ্য পার্থক্য কি? কখন কোনটা ব্যবহার করা উচিৎ?
- ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রণীত অ্যাসাইনমেন্ট গ্রিড এবং ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ডাউনলোড করেনিন
- ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির অষ্টম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করেনিন | 8th Week Assignment Pdf Download Class 6-9
- যে তিনটি কাজের জন্য ঘর থেকে বরকত চলে যায়। সবার জানা প্রয়োজন
Li-fi কি! এবং এটা কিভাবে কাজ করে? | How Does LiFi Work? Posted: অনেক রিকুয়েস্ট পাওয়ার পর আজকে আমরা কথা বলতে চলেছি লাই ফাই এর সম্পর্কে সবার প্রথমে দেখে নেওয়া যাক যে এই লাইফাই অর্থাৎ লাইট ফেরটিলিটি কিভাবে কাজ করে। খুব সুন্দর ভাষায় বললে লাইফাই হলো লাইট বেস্ট ওয়াইফাই ওয়াইফাই তে যেমন রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে ডেটা ট্রান্সমিট করা হয় লাইফাই এর ক্ষেত্রে ডেটা ট্রান্সমিট করার জন্য লাইটকে ব্যবহার করা হয়। আর যখনই আমরা ইলেকট্রিকের ফুলোকে বন্ধ করে দিই তখন লাইট টাও বন্ধ হয়ে যায় খুবই সিম্পল ব্যাপার আমার এটাও জানি যে ডিজিটাল দুনিয়াতে সবকিছু ০ আর ওয়ানের ওপরেই নির্ধারিত হয়। তাই এক্ষেত্রে বাল্বের মধ্যে দিয়ে যদি কোন কারেন্ট ফ্লও না হয় তাহলে সেটা জিরো হবে। এবং যখন বাল্বের মধ্যে দিয়ে ম্যাক্সিমাম কারেন্ট ফ্লও হবে সেটা ওয়ান হবে। আর এই ডাটা সেটকেই রিসিভার ইন্ড এ রিসিভ করে ওয়াইফাই কে চালানো সম্ভব। আপনার মনে হতে পারে যে আপনার ঘরের লাইট বাল্ব কে যদি বারবার ফ্লিকার করানো হয় তবে ঘরের মধ্যে আপনার তো অসুবিধা হতে পারে? এক্ষেত্রে ইন্টারনেট থেকে যে কানেকশনটা আপনার বাড়িতে আসবে সেটা প্রথমে একটা মডেম এর মধ্যে যাবে এবং মডেম থেকে একটা এলইডি ড্রাইভার এর মধ্যে যাবে যেটা আপনার বাড়ির এলইডি লাইট কে কন্ট্রোল করবে। এবার রিসিভার ইন্ড এ ওই লাইট সিগন্যালকে ইলেকট্রিক সিগনালে কনভার্ট করা হবে এবং সেটাকে আপনার কম্পিউটারের মধ্যে দেওয়া হবে যা সাহায্যে আপনার কম্পিউটার ইন্টারনেট কানেকশন টা পেয়ে যাবে এটাই হলো লাইফাই এর সিম্পল ডায়াগ্রাম। তবে আমাদের কাছে ওয়াইফাই থাকা সত্ত্বেও আমাদের লাইফাইয়ের দরকারটা কেন পরল? প্রধানত এর পিছনের তিনটে কারণ আছে একটা হল আমাদের ডেটার প্রয়োজন ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। তাই সবকিছু কে ওয়ারলেস হওয়া দরকার আর তৃতীয়তঃ ইন্টার্নেট অফ থিংস মানে আগে আমরা শুধু কম্পিউটার আর মোবাইলেতে ইন্টারনেট কে ব্যবহার করতাম কিন্তু বর্তমানে আমাদের ঘড়ি থেকে শুরু করে টিভি ফ্রিজ সবকিছুতেই ইন্টারনেট এর দরকার হয়। আর এর পর এমনও দিন আসতে চলেছে যে বাড়ির তালা চাবি ও ইন্টারনেটের সঙ্গেই কানেক্ট থাকবে। তবে ধরুন যদি আপনার বাড়ির ওয়াইফাই এর সাথে দুটো কিংবা তিনটা ডিভাইস কানেক্টেড থাকে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন না যে ওয়াইফাই স্পিড কম না ফাস্ট। কিন্তু যদি আপনি কোন পাবলিক প্লেসে যান যেখানে ওয়াই-ফাই এর এক্সেস সবাইকে দেওয়া হয়েছে যেমন কোন রেলস্টেশন স্টেডিয়াম কিংবা বড় কোন বিল্ডিং-এ তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে ওই ওয়াইফাই টা অত বেশি ক্লায়েন্টকে একসাথে হ্যান্ডেল করতে সেই ভাবে সমর্থ নয়। ক্লায়েন্ট বেড়ে গেলে স্পিড ড্রপ হয়ে যায় এ ছাড়াও ওয়াইফাই সিকিউরিটি সিস্টেম খুব একটা বেশি ভালো নয়। আর যেহেতু আপনি দেখতেও পাবেন না যে কে আপনার ওয়াইফাই ইউজ করছে তাই একে হ্যাক করা তুলনামূলকভাবে ইজি। তো লাইফাই এর কথা যখন আমরা প্রথম শুনি তখন আমাদের কে কি বলা হয়? আমাদের বলা হয় যে প্রত্যেকটা ডিভাইস অনেক বড় একটা থ্রো পুট পাবে মানে ডাটা ট্রান্সফার এবং রিসিভ করার জন্য অনেক বড় পাইপলাইন থাকবে প্রত্যেকটা ডিভাইসের কাছে। তবে বাস্তবটা এর থেকে অনেক বেশি আলাদা ২০১৭ তে যখন প্রথম কিছু লাইফাই ডিভাইস আসে তখন দেখা যায় এদের স্পিড অনেক কম। মাত্র ৪৩এমবিপিএস এর কাছাকাছি। তবে বর্তমানে গিগাবিটের লাইফাই পাওয়া যায় কিন্তু তার দাম অনেক অনেক বেশি এছাড়া আরও একটা সমস্যা আছে যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গেলে আপনাকে লাইট জ্বালিয়ে রাখতে হবে। আর আগে যে ওয়াইফাই পাওয়া যেত সেগুলো সিম্প্লেক্স ছিল মানে হয় আপনাকে ডাটা সেন্ড করতে হবে নয়তো রিসিভ করতে হবে কিন্তু বর্তমানে ডুপ্লেক্স ওয়াইফাই পাওয়া যায় যার সাহায্যে ডেটা সেন্ড এবং রিসিভ একসাথেই করা সম্ভব। এই সমস্ত কারণে লাইফাই কে যতটা সাকসেসফুল হবে বলে মনে করা হয়েছিল। এই টেকনোলজিটা সেটা করতে পারেনি।
The post Li-fi কি! এবং এটা কিভাবে কাজ করে? | How Does LiFi Work? appeared first on Trickbd.com. |
X8SANDBOX | ভার্চুয়াল এন্ড্রয়েড সিস্টেম ইমুলেটর | INSTALL TUTORIAL Posted: আসসালামু আলাইকুম |
জানা অজানা জ্ঞান বিজ্ঞান [পর্ব-২] Posted: আসসালামু আলাইকুম।আসা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজ আমি এখানে পৃথিবীর কয়েকটা জানা অজানা ঘটনা/ জায়গার বর্ণনা তুলে ধরবো। আসা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজকের বিষয় কি কি নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি…
১–ছেলে মেয়ে বাবা-মায়ের মতো দেখতে হয় কেনো?২–আমাদের খিদে পায় কেনো?৩–অনেক পুরুষের মাথায় টাক দেখা যায় কিন্তু মহিলাদের মাথায় টাক পড়েনা কেনো?৪–আমরা সপ্ন দেখি কেনো?৫–মানুষ নাক ডাকে কেনো?
=>ছেলে মেয়ে বাবা-মায়ের মতো দেখতে হয় কেনো?আমাদের কোষের মধ্যে যে ক্রোমোজোম আছে তার মধ্যে আবার থাকে জীন। জিন তৈরি হয় আবার নিউক্লিক এসিড দিয়ে। এর নাম ডি-অক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড। এ জীবই বংশগত বৈশিষ্টের ধারক অ বাহক। অন্যন্য বংশগত বৈশিষ্টের মতো চেহারার প্রতিচ্ছবি, গায়ের রঙ, চোখ অ চুলের রঙ উচ্চতার পরিমাপ ইত্যাদি এই জিনের মধ্যেই বর্তমান থাকে ও বংশ পরম্পরায়য় এ জিন গুলো একজন থেকে অরেকজন এর মধ্যে পৌছে যাই। বাবা মায়ের প্রজনন কোষ দুটি যখন নিষিক্ত হয় তখন তাদের চেহারাগত বৈশিষ্ট্য গূলো ক্রোমোজোমের মাধ্যমে সন্তানের মধ্যে চলে আসে। কারন সন্তানের ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম তৈরি হয় বাবা ও মায়ের ২৩ টি করে ক্রোমজোমের মিলনে। তাই সন্তানন কখনো বাবা আবার কখনো মায়ের মতো দেখতে হয়ে থাকে। বাস্তব ক্ষেত্রে এ সাদৃশ্য নির্ভর করে নিজের উপর। যে জিনটির বৈশিষ্ট্য সন্তানের মধ্যে প্রকাশিত হয় তাকে ‘প্রকট বৈশিষ্টের জীন’ আর যেটির বৈশিষ্ট্য অপ্রকাশিত থাকে তাকে ‘প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্টের জীন’ বলা হয়। ছেলে বা মেয়ের প্রতিটি বৈশিষ্ট্য একটি বাবা ও একটি মায়ের জীন নিয়ন্ত্রণ করে। যখন বাবার জীনটি কোনো বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত (প্রকট জীন) হয় তখন তাদের দেখতে বাবার মতো হয়। আবার জিনটি যে ক্ষেত্রে প্রকাশিত হয় সে ক্ষেত্রে মায়ের জীনটি অপ্রকাশিত(প্রচ্ছন্ন জিন) থাকে। আবার মায়ের জীনটি প্রকট হলে বাবার জিনটি প্রচ্ছন্ন থাকে অ সন্তান মায়ের মতো দেখতে হয়। অনেক সময়ে বাবা মায়ের কোষের মধ্যকার কিছু কিছু জিনি যাদের বৈশিষ্ট্য প্রচ্ছন্ন অবস্থায় আছে। তা ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে প্রকাশিত হয়ে ওঠে। তখন কিন্তু ছেলে-মেয়ে বাবা-মা কারো মতোই দেখতে হয় না।
=>আমাদের খিদে পায় কেনো?অনেকক্ষণ আমাদের না খেলেই খিদে পাই। খিদের কথা জানিয়ে দেয় তাকেই আমরা বলি 'খিদে পাওয়া' । আমাদের মস্তিকের এক বিশেষ অংশের নাম 'হাইপোথ্যালামাস' এখানে আছে ভোজন কেন্দ্র যা খিদের অনুভূতি জাগায়। ভোজন কেন্দ্রকে পরিচালনা করে হাইপোথ্যালামাসের আএ একটি অংশ যার নাম 'পরিতৃপ্তি কেন্দ্র' । পরিতৃপ্তি কেন্দ্র ভোজন কেন্দ্রের কাজ-কর্ম দেখাশুনা করে, অর্থাৎ যখন খিদে পাওয়া দরকার, কতটা খাওয়া দরকার এসব কাজ তার নিয়ন্ত্রনে থাকে। শরিরে খাবারের ঘাটতি দেখা দিলে রক্তের শর্করা বা কার্বোহাইড্রেটের পরিমান কমে যায়। রক্তে শর্করা কম থাকলে পরিতৃপ্তি কেন্দ্র ভোজন কেন্দের ওপর থেকে বিধি-নিষেধ তুলে নেয়। ভোজন কেন্দ্রে উত্তেজনা বাড়ে, আমাদেরও খিদের অনুভূতি আসে। খাবার পরে রক্তের শর্করা বেড়ে যায়। পকস্থলির মধ্যে খাবারের পরিমান নির্দিষ্ট পরিমানে পোঁছালে পরিতৃপ্তি কেন্দ্র ভোজন কেন্দের উপরে বিধিনিষেধ চাপায়। ভোজন কেন্দের উত্তজনা তখন কমে। আমাদেরও খিদে চলে যায় । ভোজন কেন্দ্র থেকে নার্ভ দিয়ে খিদের খবর পোঁছায় লালাগ্রন্থি অ পাকস্থলিতে। ফলে পাকস্থলীর পেশির সংকোচন বাড়ে। একে বলে ক্ষুধা সংকোচন। আর লালা-গ্রন্থি অ পাকস্থলীর পাচক রস বেশি করে বের হয়। খিদে পাওয়া আমাদের জন্ম গত অনুভূতি। শিশু বা বোশ-বুদ্ধিহীন মানুষও খিদে পেলে কষ্ট পায়, কান্না শুরু করে। আবার শরীরের চাহিদা ছাড়াও ভালো খাবার দেখলে বা তেমন গন্ধ নাকে এলে অনেক সময়ে খিদেটা চাড়া দিয়ে ওঠে। আবার কেউ যদি কেউ একই সময়ে খাবার খান, তবে তার ঐ সময়েই খিদে পাবে।
=>অনেক পুরুষের মাথায় টাক দেখা যায় কিন্তু মহিলাদের মাথায় টাক পড়েনা কেনো?পুরুষদের ক্ষত্রে মূলত 'ইন্ড্রোজেন' নামক হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণই মাথায় টাক পড়ার জন্যে দায়ি। মহিলাদের ক্ষেত্রে 'ইস্টোজেন' নামক হরমনের কম ক্ষরনের ফলে মহিলাদের হালকা ভাবে মাথার চুল উঠে যেতে পারে। অন্যদিকে বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে সহবাসের পরম মুহূর্তে শরীরে দ্বিগুণ পরিমানে ইন্ড্রোজেন হরমন তৈরি হয়। এর প্রভাবে তাদের মাথার কেষ উজ্জল কালো বর্ণ ধারন করে এবং শরীরে তক কমল ও মসৃণ হয়। এছাড়া চলের গড়ায় পুষ্টীর অভাব, মাথার ত্বকে অপরিমিত রক্তসঞ্চালন বা স্নায়ুর গোলযোগের জন্যেও মাথার চুল ঝরে যেতে পারে।
=>আমরা সপ্ন দেখি কেনো?যখন শরীর ভালো থাকে না এবং মনও খারাপ থাকে, তখনি আমরা বেশি সপ্ন দেখি। কিন্তু কেনো? ঘুমের মধ্যে যখন চোখের মনি নড়া চড়া করে- সে সময়টাই সপ্ন দেখার সময়। আবার এ পর্যায়ে ঘুমটাও থাকে পাতলা একটূ জোরে শব্দ হলে তা ভেঙে যায়। কোনো জায়গায় জ্বালা যন্ত্রনা বা হজমের গন্ডগল হলে শরীরের বিভিন্ন স্নায়ু মারফত শারিরিক অস্বস্তির খবরটা পোঁছে যায় মস্তিস্কে। এ অবস্থায় ঘুম আসতে চায় না বা ঘুম এলেও তা বারবার ভেঙে যায়। খেয়াল করলে দেখা যাবে, ঘুমানোর সময়ে চোখে আলো পড়লে বা রেডিও জোরে বাজতে থাকলে ঘুমানোর অসুবিধা হয়। এর কারন ঘুমের জন্যে মস্তিস্কে বাইরের উদ্দিপক থেকে মুক্ত রাখতে হবে। এখন শারীরি অস্বস্তির সময়ে ঘুমটা পাতলা থাকে বলে এ সময়ে চোখের পণি নড়াচড়া করে। ফলে ঘন ঘন সপ্ন দেখাটাই স্বাভাবিক। উঠকন্ঠা, উদ্বেক বা মানসিক অবসাদের সময়ও একই ঘটনা ঘটে। এ সময়েও ঘুম গাড় হয় না এবং পাতলা ঘুমের জন্যেই দেখে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষটি। => মানুষ নাক ডাকে কেনো?যখন কারো নাক ডাকে তখন তাকে লক্ষ্য করলে দুটো জিনিস দেখতে পাওয়া যায়। যে নাক ডাকছে সে চিত হয়ে শুয়ে আছে আর গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। গভীর ঘুমের সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাস খুব গভীর হয়। চিত হয়ে থাকার সময়ে আমাদের জিভ গলবিলের ভেতর ঢুকে যায়। ফলে বাতাসের পথ সংকির্ন হয়ে আসে। গভীর ভাবে শ্বাস নেওয়ার সময়ে বাতাস ঐ সংকির্ন পথে ঢুকতে বাধা পায়। ফলে বাতাসের বেগ আরো বেড়ে যায়। তালুর পেছোনে যে নরম তালু আছে বাতাসের চাপে তাতে কম্পন হয়। এর ফলে যে শব্দের সৃষ্টি হয় তাকেই ‘নাসিকা গর্জন’ বা ‘নাক ডাকা’ বলে। গভির ভাবে ঘুমানোর সময়ে যদি কেউ নাক ডাকে দেখা গেছে পাশ ফিরিয়ে দিলেই তার নাক ডাকা বন্ধ হয়ে যাবে। তার কারন পাশ ফেরা অবস্থায় জিভ স্বাভাবিক জায়গায় চলে আসে। যার ফলে বাতাসের পথও অনেক প্রশ্বস্থ হয়ে যায়। ঘুমের গভিরতা কমে যাওয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাসও অগভীর আর অনিয়মিত হয়ে পড়ে। তাই তখন আর নাক ডাকে না।
আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে এই রকম আরো আর্টিকেল আপনাদের সামনে নিয়ে আসবো। আল্লাহ হাফেজ। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, অন্যকে সুস্থ রাখবেন। The post জানা অজানা জ্ঞান বিজ্ঞান [পর্ব-২] appeared first on Trickbd.com. |
লেবুর রসের ৫ টি অদ্ভুত ক্ষমতা গুলো সম্পর্কে জেনে নিন। Posted: আসসালামুআলাইকুম।আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে লিখতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো,লেবুর রসের ৫ টি অদ্ভুত ক্ষমতা। লেবুর রস আমরা সাধারণত ভাত খাওয়ার সময় খেয়ে থাকি। এছাড়া ও লেবুর রস দিয়ে আমরা শরবত ও খেয়ে থাকি। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন-সি। এছাড়া ও আরো বিভিন্ন কাজে লেবু ব্যাবহার করে থাকি আমরা। ঔষুধি কাজে ও লেবু ব্যাবহৃত হয়ে থাকে। এক কথা বলতে গেলে লেবুর অনেক গুনাগুন রয়েছে। কিন্তু আজকে লেবুর ভিন্ন ৫টি অদ্ভুত ক্ষমতা নিয়ে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব। আপনারা সবাই অবাক হয়ে যাবেন লেবুর এই ৫টি অদ্ভুত ক্ষমতার সম্পর্কে জেনে।মেদ কমাতে ও লেবুর গুন অনেক। সকালে কুসুক গরম পানিতে আদা ও লেবুর রস মিশিয়ে খেলে মেদ কমাতে প্রচুর সাহায্য করে থাকে। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক, লেবুর ৫টি অদ্ভুত গুন সম্পর্কেঃ ১) লবনের বিকল্পঃ বেশি লবন খাওয়া অনেকের অভ্যাস। খাবারের সাথে অনেকে অতিরিক্ত লবন খায়,আসলে এটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতি। কিডনি রোগ সহ স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। তাই এটির সমাধানে লেবুর রস খেতে পারেন খাবারের সাথে। খাবার এর স্বাদ বাড়াতে লবন এর বদলে লেবুর স্বাস্থ্যেকর গুন আর নেই। তাই যাদের অতিরিক্ত লবন খাওয়ার অভ্যাস তারা লবন এর বদলে লেবুর রস খাবেন। ২) ডিম সিদ্ধ সমাধানঃ অনেক সময় দেখা যায়, ডিম সিদ্ধ করতে গেলে ডিম এর খোসা ফেটে যায়। এর থেকে সমাধান পেতে ডিম সিদ্ধ এর আগে ডিমের গায়ে আলতো করে লেবুর রস মাখিয়ে দিন,তার পর সিদ্ধ করতে দিন। এতেই আর ডিম ফেটে যাবে না। ৩) ফল-সবজি সতেজ রাখেঃ অনেক সময় দেখা যায় যায়, ফল বা সবজি কেটে রাখলে কালো হয়ে যায়।এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে ফল ও সবজি কেটে, লেবুর রস আলতো করে মাখিয়ে নিন। এবং দেখবেন আর কালো হবে না। লেবুর রস ফল ও সবজি কে রাখে সতেজ। ৪) চিনি নরম রাখেঃ লেবুর রসে রয়েছে অনেক গুন, যা আমরা কল্পনা ও করতে পারি না।লেবুর রস বের করা হয়ে গেলে, তার খোসা গুলো থেকে তার শাস ছাড়িয়ে নিন।এর পর সে শাস গুলো চিনির কৌটায় দিয়ে রাখুন। এবং দলা বা শক্ত হবে না চিনি। চমৎকার গুন রয়েছে এই লেবুর রসে। ৫) ঝরঝরে ভাতঃ আমাদের বাংলাদেশে ভাত রান্না সব পরিবারে হয়। ভাত রান্নার ক্ষেত্রে একটি সমস্যা দেখা যায় সেটি হলো দলা বেধে যাওয়া। ঝরঝরে ভাত অনেক সময় হয় না, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভাত রান্নার সময় কয়েক ফোটা লেবুর রস দিলেই হবে ঝরঝরে ভাত। লেবুর ৫টি অদ্ভুত গুনগুলো সম্পর্কে সবাই জানলেন। আজ এ পযন্ত, যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon ধন্যবাদThe post লেবুর রসের ৫ টি অদ্ভুত ক্ষমতা গুলো সম্পর্কে জেনে নিন। appeared first on Trickbd.com. |
শাট ডাউন vs স্লীপ vs হাইবারেনট এর মধ্য পার্থক্য কি? কখন কোনটা ব্যবহার করা উচিৎ? Posted:
কম্পিউটার বন্ধ করার সময় বিভন্ন অপশন আসে যেগুলো হচ্ছে শাট ডাউন, স্লীপ, হাইবারেনট এবং রিস্টার্ট। আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপসন ব্যবহার করি। কিন্তু শাট ডাউন এবং রিস্টার্ট ছাড়া বাকি গুলোর কি কাজ এবং কিভাবে কাজ করে তা অনেক কম লোকই জানি। তাই আজকে আমি স্লীপ মোড এবং হাইবারনেট মোড সম্পর্কে কিছু আলোচনা করবো। তো চলুন শুরু করে দেই। স্লীপ মোড: আনেক কম্পিউটার ব্যবহারকারী স্লীপ মোড ব্যবহার করে থাকেন। আবার অনেকে আছেন এটা সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেন না। কম্পিউটার আমরা যারা ব্যবহার করি তারা ভালো করেই জানি যে উইন্ডোজ কম্পিউটার চালু হতে কত সময় লাগে। প্রথমত অন হবে তারপরে আবার স্টার্ট আপ প্রোগ্রাম গুলো লোড হবে। খুব কম করে হলোও প্রায় ১ থেকে দের মিনিট তো লাগবেই সম্পুর্ন রূপে স্টার্ট হতে। এবার আসি স্লীপ মোডে, আপনি যদি আপনার কম্পিউটার স্লীপ মোডে দেন মানে উইন্ডোজ এর স্টার্ট মেনু থেকে পাওয়ার বাটনে ক্লিক করে যদি স্লীপ এ ক্লিক মারেন তাহলে মনে হবে যে কম্পিউটার টি বন্ধ হয়ে গেল কিন্তু আপনি যদি আবার আপনার কম্পিউটিারটি আবার স্টার্ট করেন তবে যাদু দেখেতে পারবেন যাদু। আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার কম্পিউটারটি ১০ সেকেন্ডে চালু হয়ে গেল। এবং যেসকল প্রোগ্রাম চালু করা ছিল সেগুলোও ঠিক সেভাবেই আছে। যাইহোক এটা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। তো এবার জানবো যে এই যাদু কাজ করে কিভাবে। তো যখন আমরা স্লীপ অপসন টাতে ক্লিক করি তখন তখন কম্পিউটারের ওপেন হওয়া সকল প্রোগ্রাম র্যামে সেভ হয়ে থাকে। এবং বাকি সব কিছু বন্ধ হয়ে থাক। সাধারনত কম্পিউটার শাট ডাউন করলে র্যাম থেকে সকল কিছু ডিলেট হয়ে যায়। কিন্তু স্লীপ মোডে সেটা হয়না, এর জন্য আবার কম্পিউটারের র্যম কে কিছু পাওয়ার/কারেন্ট খরচ করতে হয়, তবে সেটা কম্পিউটার স্টার্ট থাকার তুলনায় অনেক অনেক কম। হাইবারনেট: নামটা অনেকের কাছ নতুন লাগতেছে আর লাগবেইনা কেন। কেননা এই অপশনটি উইন্ডোজ পিসিতে ডিফল্ট ভাবে চালু থাকেনা। তবে চিন্তার কিছু নেই সেটিংস থেকে কয়েক ক্লিক করেই এটা চালু করা যায়। হাইবারনেট অপশনটাও স্লীপ এর মতোই কাজ করে। আপনি ভাবছেন তবে পার্থক্য টা কি? রাইট। এখানে পার্থক্যটা হলো এটা স্লীপ মোড এর থেকে আরো কম পাওয়ার খরচ করে। স্লীপ মোডে প্রোগ্রাম গুলো সেভ হয়ে থাকে র্য়ামে কিন্তু এখানে হাইবারনেট’এ প্রোগ্রাম গুলো সেভ হয়ে থাকে আপনার হার্ডডিস্কে। যেহেতু হার্ডডিস্কে সেভ হয়ে থাকবে তাই স্লীপ মোডের তুলনায় কম্পিউটার স্টার্ট হতে সময় লাগবে একটু বেশি কারন হার্ডডিস্ক এবং র্যামের গতিতে অনেক পার্থক্য আছে। ও হাইবারনেট অপশন উইন্ডোজ ১০ থেকে কিভাবে চালু করবেন সেটা জেনে নিন। এটা চালু করার জন্য আপনাকে যেতে হবে ঠিক এখানে Settings > System > Power and Sleep তারপরে aditional power setting লিংক টিতে ক্লিক করতে হবে। তারপরে নিচের মতো একটি উইন্ডো আসবে সেখান থেকে Choose what the power buttons do এই লিংকে ক্লিক করতে হবে। আবার নিচের মতো একটি উইন্ডো চালু হবে Change Settings that are cuttently unavailable এই অপশন টাতে ক্লিক করে নিচের চেকবক্স গুলো এনাবল করে নিতে হবে। এবার নিচের চেকবক্স থেকে হাইপারনেট অপশনটি এনাবল করে সেভ করে দিলেই কেল্লা ফতেহ। কখন কোনটা ব্যবহার করবেন: দেখুন স্লীপ এবং হাইবারনেট দুইটা ফিচারই বিভিন্ন সময়ে অনেক কাজের। এখানে স্লীপ মোড যেহেতু কিছু পাওয়ার খরচ করে তাই এটা দীর্ঘক্ষনের জন্য ব্যবহার করা বোকামি হবে। তবে আপনি যদি ১৫ – ২০ মিনিট এর জন্য কম্পিউটার ছেড়ে উঠতে চান এবং ফেরত এসে কম্পিউটার চালু হওয়ার জন্য আমার মতো অপেক্ষা করতে না চান তবে জাস্ট স্লীপ মোড এর ব্যবহার করুন। আর হ্যা এই দুটি অপশন আমি বিশেষ করে তখন ব্যবহার করি যখন কোন প্রজেক্ট এর উপরে কাজ করি। এর ফলে যখন আমি কম্পিউটার স্টার্ট করি তখন আমার উক্ত প্রজেক্ট যেভাবে রেখেছিলাম ঠিক সেভাবেই থাকে। যদেও আমি প্রজেক্ট গুলো সেভ করে কম্পিউটার বন্ধ করে দিতে পারতাম কিন্তু পরে আবার আমাকে সেই প্রজেক্ট উক্ত সফ্টওয়ারের ভেতরে গিয়ে তার পরে আনতে হবে যেটা আমার কাছে অত্যান্ত ঝামেলার মনে হয়। আশাকরি আমি স্লীপ এবং হাইবারনেট কি তা বোঝানে সক্ষম হয়েছি। এর পরেও যদি আপনার কোথাও প্রশ্ন থাকে তাহলে নির্দিধায় কমেন্ট করুন আমি আপনাকে যথাসম্ভব সহায়তা করার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ। The post শাট ডাউন vs স্লীপ vs হাইবারেনট এর মধ্য পার্থক্য কি? কখন কোনটা ব্যবহার করা উচিৎ? appeared first on Trickbd.com. |
Posted:
খুব শীঘ্রই এ্যাসাইনমেন্টের উত্তরগুলো আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো সে পর্যন্ত অপেক্ষাই থাকুন। ★★যেকোনো সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন করুনঃSK TECH VOICE সকলে ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন {{খোদাহাফেজ}} The post ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রণীত অ্যাসাইনমেন্ট গ্রিড এবং ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ডাউনলোড করেনিন appeared first on Trickbd.com. |
Posted:
খুব শীঘ্রই এ্যাসাইনমেন্টের উত্তরগুলো আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো সে পর্যন্ত অপেক্ষাই থাকুন। ★★যেকোনো সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন করুনঃSK TECH VOICE সকলে ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন {{খোদাহাফেজ}} The post ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির অষ্টম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করেনিন | 8th Week Assignment Pdf Download Class 6-9 appeared first on Trickbd.com. |
যে তিনটি কাজের জন্য ঘর থেকে বরকত চলে যায়। সবার জানা প্রয়োজন Posted: আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন । যে তিনটি কাজের জন্য ঘর থেকে বরকত চলে যায়যে তিনটি কাজের জন্য আমাদের ঘরে বরকত আসেনা। প্রিয় পাঠক আজ আমি এমন তিনটি কাজের বিষয়ে আলোচনা করবো যে তিনটি কাজ যে ঘরে হয় সে ঘরে কখনো বরকত আসবেনা। অনেকে বলে আমার ঘরে বরকত নাই। আয় রোজগার ভালোই হয় হাজার হাজার টাকা উপার্জন করি কিন্তু সারাক্ষণ কোনো না কোনো বিপদ লেগেই আছে। হয় কোনো মাসে বাচ্চাদের রোগব্যাধি না হয়তো কোনো দুর্ঘটনা না হয় কোনো বড় ধরনের ঝণের বোঝা ইত্যাদি এইসব লেগেই আছে এমন কোনো মাস নেই যে ডাক্তারের কাছে যেতে হয়না। আর এইসব কারণে আয় রোজগার ভালো হওয়া সত্বেও মাস শেষে অভাব অনটন দেখা যায়। প্রিয় ভাই বোনেরা আমরা জানিনা কি কারণে ঘরের বরকত চলে যায় তাই আমরা সেসব কাজ করে বসি আর তার ফলে আমাদের ঘরে বরকত থাকেনা। তাই আমি আপনাদেরকে এমন তিনটি কাজের বিষয়ে বলবো যে কাজের ফলে আমাদের ঘর সমূহের বরকত দূরে হয়ে যায় আর ফেরত আসেনা। সেসব কাজ গুলো হলোঃ ১.মিথ্যা কথা বলাঃ যে ঘরের লোকজন মিথ্যা কথা বলে সে ঘরের বরকত দূর হয়ে যায়। আর মিথ্যা এমন একটি অপরাধ যে মিথ্যা বলে সে নানান রকম গুনাহে ও অপরাধে লিপ্ত হতে পারে অনায়াসে। আর এইসব গুনাহ ও অপরাধের কারণে তাঁর ঘর থেকে ও জীবন থেকে বরকত চলে যায়। এক ব্যক্তি নবী করীম (সাঃ) এর নিকট এসে আরজ করলো ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আমি অনেক অনেক গুনাহ ছাড়তে চাই কিন্তু পারিনা। তখন নবী করীম (সাঃ) বললেন →তুমি শুধু মাত্র মিথ্যা বলা ছেড়ে দাও। তখন দেখবে আস্তে আস্তে তোমার সব অপরাধ তোমার থেকে বিদায় নিয়েছে। সে যখন মিথ্যা ছেড়ে দিলো তখন আস্তে আস্তে তাঁর সকল বদভ্যাস দূর হয়ে গেলো। অন্য আরেকটি হাদিসে এসেছে, হাসান ইবনু আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আমি রাসূল (সাঃ) থেকে অবগত হয়েছি তিনি বলেছেন → তুমি সন্দেহযুক্ত কথা ও কর্ম ছেড়ে দাও এবং যাতে সন্দেহ নেই সে দিকে ফিরে যাও।নিশ্চয়ই সত্য প্রশান্তির নাম এবং মিথ্যা সন্দেহ ও অশান্তির নাম ( তিরমিজি, আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হাদিস নাম্বার ৪১৮২,আবু দাঊদ হাদিস নাম্বার ৪৮০০) হজরত আবু বকর ছিদ্দিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন → তোমরা মিথ্যা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয়ই মিথ্যা ঈমানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ( বায়হাক্বী কুবরা হাদিস নাম্বার ২০৬১৫) এমনকি কেউ লোক হাসানোর উদ্দেশ্যেও মিথ্যা বলা জায়েজ নয়। রাসূল (সাঃ) বলেছেন → সেই ব্যক্তির জন্য ধ্বংস নিশ্চিত যে মানুষকে হাসানোর জন্য মিথ্যা কথা বলে। তার জন্য ধ্বংস তার জন্য ধ্বংস ( তিরমিজি ২৩১৫,সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হাদিস নাম্বার ৪২০৯,মিশকাত ৪৮৩৪) সুতরাং মিথ্যা হলো সকল পাপের প্রথম পদক্ষেপ। তাই মিথ্যা থেকে বাঁচতে পারলে অনায়াসে আপনি অনেক গুনাহ থেকে বাঁচতে পারবেন এবং আপনার ঘরে বরকত আসবে ইনশাআল্লাহ। হজরত সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন → সৎকর্ম ছাড়া অন্য কিছু আয়ুকাল বাড়াতে পারে না এবং দোয়া ছাড়া অন্য কিছুই তাকদির রদ হয়না। মানুষ তার পাপকাজের দরুন তার প্রাপ্য রিজিক থেকে বঞ্চিত হয়।( ইবনে মাজাহ হাদিস নাম্বার ৪০২২) তাই আমরা যদি আমাদের ঘরে বরকত চাই সেজন্য আমাদের বেশি বেশি সতকর্ম করতে হবে এবং পাপ কাজের জননী তথা মিথ্যা বলা পরিহার করতে হবে। ২. রিজিকের সাথে বেয়াদবি। আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামত ও রিজিকের সাথে বেয়াদবি করা যাবে না। এখন আপনি ভাবতে পারেন যে আল্লাহর নেয়ামত তথা রিজিকের সাথে মানুষ কিভাবে বেয়াদবি করে…? বেয়াদবি মুলতঃ আমরা করি অপচয়ের মাধ্যমে এবং এই অপচয় যারা করেন তাঁদের ঘরে থেকে বরকত চলে যায়। আজকাল এমন হারে অপচয় বৃদ্ধি পেয়েছে যে যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। প্রয়োজন নেই তারপরও স্বামীর উপর এক প্রকার প্রেশার ক্রিয়েট করেই আমাদের অনেক মা বোনেরাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত ড্রেস কিনে ঘর ভরিয়ে ফেলছে। হজরত আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) যখন আহার করতেন, আহার শেষে তিনবার আঙুল চেটে খেতেন এবং বলতেন, তোমাদের খানার বাসন থেকে কিছু পড়ে গেলে উঠিয়ে পরিস্কার করে খেয়ে নাও তা শয়তানের জন্য ছেড়ে দিয়োনা। ( আবু দাউদ হাদিস নাম্বার ৩৮৪৫) যেখানে রাসূল (সাঃ) প্লেট থেকে কোনো খাবার পড়ে গেলে আমাদের তা উঠিয়ে পরিস্কার করে খেতে বলেছেন! অথচ সেখানে গৃহস্হালির খাবার দাবার থেকে শুরু করে – প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার রান্না করা অতঃপর তা পচা বাসি হওয়ার পর ফেলে দেওয়া এছাড়াও অযাচিত খরচ বাড়িয়ে ফেলা ইত্যাদি এগুলো ভয়াবহ রকমের কু-অভ্যাস। আর এই অভ্যাস গুলোর কারণে আস্তে আস্তে ঘর থেকে বরকত উঠে যায়। তাই আমাদের প্রত্যেকের ঘর থেকে এই অভ্যাস গুলো দূর করতে হবে। বিশেষ করে বিয়ে বাড়িতে দেখা যায়, প্রত্যেকের প্লেটে রয়ে যায় অতিরিক্ত খাবার, যার স্হান হয় ময়লাস্তপে বা নালা নর্দমায় অথচ প্রতিদিন বিশ্বে ৮২ কোটি লোক অভুক্ত থাকে। (সূত্রঃ dw.com 02.02.20) এবং বিশ্বে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে প্রায় এক তৃতীয়াংশ খাদ্য। ( সূত্র DW.COM 31.01.2020) অর্থাৎ আয়োজন হয় বেশি খাওয়া হয় কম। কিন্তু অপচয় হয় অনেক বেশি। চাইলে কিন্তু এই খাবার গুলো অপচয় না করে দরিদ্রদের মাঝে প্যাকিং করে পাঠিয়ে দেওয়া যায় কিন্তু সেই উদ্যোগও আমাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় না। যার কারণে বরকত সমূহ আমাদের ঘর থেকে চলে যায়। আল্লাহ তায়ালা বলেন → যারা অপব্যয় করে তারা শয়তানের ভাই এবং শয়তান তার প্রতিপালকের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ। ( সূরা বনি ইসরাইল আয়াত ২৬-২৭) আল্লাহ আরো বলেন → তোমরা অপব্যয় করে না, কার্পণ্যও করে না, বরং তোমরা এই দুই উভয়ের মাঝে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করো। ( সূরা ফুরকান আয়াত ৬৭) ৩. সকাল সকাল ঘুম থেকে না উঠা এবং দুনিয়ার মোহে মত্ত হয়ে যাওয়া। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন→ হে মুমিনগণ! তোমাদের ধন সম্পদ ও সন্তান সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্বরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল হয় তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। ( সূরা মুনাফিকূন আয়াত ৯) এ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা স্বরণ বলতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে বুঝানো হয়েছে জিকির আযগার এবং দোয়া দুরুদ পাঠের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। অতএব যে ব্যক্তি ব্যবসা বাণিজ্য, খেত খামার এবং পরিবার পরিজনের প্রয়োজনে মিটানোর ব্যস্ততার দরুন যথাসময়ে নামাজ আদায় করে না সে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। যারা নামাজ না পড়ে আয় রোজগারে বরকত কামনা করে, তাঁরা মূলত বোকার সম্রাজ্যে বসবাস করছে। যে ঘরে নামাজ নেই, সে ঘরে যতই আয় রোজগার হোক না কেন সে ঘরে বরকত থাকবেনা। হজরত জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন → যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে।( মুসলিম হাদিস নাম্বার ৬৫৭) আর যে ব্যক্তি আল্লাহর জিম্মায় থাকে অর্থাৎ আল্লাহর রহমতে ও বরকতের ছায়ায় থাকে, তাঁর ঘরে কখনোই অভাব অনটন বিপদ মুসিবত আসবে না আর আসলেও তা আল্লাহ তায়ালা সহজেই দূর করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) ভোরবেলা কাজে বরকতের জন্য দোয়া করেছেন। হজরত সাখার আল-গামেদি (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত, রাসূলে পাক (সাঃ) এ দোয়া করেছেন → হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরুতে বরকতময় করুন। ( আবু দাউদ হাদিস নাম্বার ২৬০৬) আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি The post যে তিনটি কাজের জন্য ঘর থেকে বরকত চলে যায়। সবার জানা প্রয়োজন appeared first on Trickbd.com. |
You are subscribed to email updates from Trickbd.com. To stop receiving these emails, you may unsubscribe now. | Email delivery powered by Google |
Google, 1600 Amphitheatre Parkway, Mountain View, CA 94043, United States |
0 Comments