Search box..

পড়ে নিন একটি মোটিভেশনাল গল্প যার শিক্ষা হয়তো আপনার জীবনে কাজে লাগবে

পড়ে নিন একটি মোটিভেশনাল গল্প যার শিক্ষা হয়তো আপনার জীবনে কাজে লাগবে


পড়ে নিন একটি মোটিভেশনাল গল্প যার শিক্ষা হয়তো আপনার জীবনে কাজে লাগবে

Posted:

Hello what’s up guys কেমন আছেন সবাই ? আশা করি ভালো আছেন । সবাইকে স্বাগতম আজকের একটি নতুন পোস্টে । টাইটেল আর thumbnail দেখে already বুঝে গেছেন আজকের টপিক কি । আশা করি পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখবেন । তো বেশি কথা না বলে আজকের পোষ্ট শুরু করা যাক গল্পের নাম : ক্লান্তি হাসিখুশি ষোড়শী আফরার জীবনটা হঠাৎ হতাশায় ভরে যাচ্ছে। জীবনকে অনেক সহজ করেই দেখতো সে। কিন্তু যতই বড় হচ্ছে জীবনটা ক্রমাগত কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। চারপাশের পরিবেশ, মানুষগুলোও যেনো প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে। আফরা তেমন কিছুই চায়নি, শুধু চেয়েছিলো সবার মন রক্ষা করে চলতে। এসব করতে করতে মেয়েটা কখন যে নিজ সত্ত্বাকেই হারিয়ে ফেলেছিলো, টের-ই পায়নি। যতদিনে পেয়েছিলো ততদিনে হতাশা তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছিলো এবং আরও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরছিলো।

আফরার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য ছিলো বাবা-মায়ের স্বপ্নকে পূরণ করা। সে জন্য নিজের সব শখ, ভালো লাগাকে বিসর্জন দিয়েছিলো, বলি দিয়েছিলো নিজ স্বপ্নকে। বাবা-মায়ের স্বপ্নকেই নিজ লক্ষ্য হিসেবে ধরে নিয়ে, সবকিছু বাদ দিয়ে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেছিলো। কিন্তু এর ফলস্বরূপ ভালো ফলাফল পেয়েছিলো কি-না জানা নেই তবে সহপাঠীদের কাছে নিজের নামের সাথে আঁতেল উপাধি ঠিক ই পেয়েছিলো। একসময় তো বন্ধুমহলে টেকা দায় হয়ে গেলো। নামের সাথে কামলা, আবুল, ক্ষ্যাত ইত্যাদি বিশেষণ যোগ হতে লাগলো।
একসময় অতিষ্ঠ হয়ে নিজের জীবনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজালো আফরা আধুনিকতার রঙ নিজের গায়ে মাখতে লাগলো। নতুন এক রঙিন দুনিয়ায় প্রবেশ করলো সে। এ দুনিয়ার ভেতর প্রবেশ করলে এর গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে যেতে থাকে মানুষ। এখানে নিজেকে ধরে রাখা অনেক কষ্ট হয় নবীনদের। প্রায় সবাই ই হোঁচট খায় একবারের জন্য হলেও। কেউ কেউ তো হোঁচটের পর হোঁচট খেলেও শিক্ষা পায় না। এই আধুনিক দুনিয়ার অন্যতম অংশ হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। হোঁচট খেয়েছিলো আফরাও। দ্রুতই সে বান্ধবীদের প্ররোচনায় তথাকথিত আধুনিক, প্রগতিশীল হওয়ার তাগিদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এর একজন সক্রিয় সদস্য হয়ে উঠেছিলো। সে এক অন্যরকম জগৎ, যার অভ্যন্তরে শুধু আনন্দ আর বিনোদন! কত নতুন মানুষ, বন্ধু-বান্ধব। এ জগতের আলোর রোশনাই এ চোখ যেনো ঝলসে উঠে। এ রাজ্যের বাইরে থাকলেও সারাটাদিন চোখে সে ঝলসানি লেগে থাকে। কখন আবার এ রঙিন রাজ্যে ডুব দেবে সেজন্য মন ব্যকুল থাকে। আফরার চোখ থেকে এ রঙিন জগতের ঠুলি সেদিন খুলেছিলো যেদিন সে জীবনে প্রথমবারের মতো কোনো পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছিলো। ক্লাসের প্রথম সারির এই শিক্ষার্থীর পড়াশোনার এত অবনতি দেখে শিক্ষকরা যেমন অবাক হয়েছিলো, অভিভাবকরা তেমনি ক্ষুব্ধ হয়েছিলো। ইতোমধ্যেই নিজের ফলাফল এর অবনতি দেখে ভীত আর দুঃখ অনুতাপে ভোগা আফরার উপর দিয়ে সেদিন কী ঝড় বয়ে গিয়েছিলো তা শুধু সে এবং তার অভিভাবক ই জানে। ব্যাপারটা শুধু সেদিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো না। এরপরের কয়েক মাস তার উপর এই অকৃতকার্যতার জন্য বিভিন্ন ভাবে ছোটো-বড়ো বেশকিছু ঝটিকা বয়ে গিয়েছিলো। এ ঘটনা আফরার জীবনে আরেকটি নতুন মোড় নিয়ে আসে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবনকে আবারও নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করে সে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা তথাকথিত আধুনিকতার যে পথে আফরা পা বাড়িয়েছিলো সেখানে অনেকটাই এগিয়ে গেছে সে, এখান থেকে ফিরে আসা তার জন্য অসম্ভব, কয়েকদিন এ জগৎ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করে খুব ভালোভাবে তা বুঝতে পেরেছিলো সে। উপরন্তু সহপাঠীদের কাছে আগের মতো আঁতেলেকচুয়াল, ক্ষ্যাত এইসব শুনতে বা ছোটো হতে চায় না সে। বড়ই দুর্বিষহ সেই স্মৃতি! সেই দিনগুলো মনে পড়লে এখনও শিউরে উঠে আফরা। কী মানসিক যন্ত্রণা! নিজেকে কত ক্ষুদ্র, বোকা, অপাঙক্তেয় মনে হতো তখন! বন্ধুরা যখন কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতো তার বেশিরভাগ ই বুঝতো না সে। যাদের নিয়ে কথা বলতো তাদের প্রায় সবাইই অচেনা। নিজেকে তখন ভিন গ্রহের কোনো প্রাণী মনে হতো। তাই এবার আফরা একসাথে সবার মন রেখে এগিয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিলো। বন্ধু-বান্ধব, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পড়াশোনা সবকিছু ঠিক রেখে চলার চেষ্টা করতে লাগলো। বন্ধু-বান্ধবদের মন রেখে চলাও অনেক কঠিন। তারা যেসব বিষয় নিয়ে কথা বলে সেসব বিষয়, যাদের ভক্ত তাদের ব্যাপারে জানতে হবে। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া সব বিষয়ের খবর রাখতে হবে, সেসব নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে হবে। তাদের সাথে প্রায়ই বাইরে ঘুরতে যেতে হবে, খেতে যেতে হবে, বাস্তবজীবনের পাশাপাশি সোস্যাল মিডিয়ায়ও তাদের সময় দিতে হবে, আরও কত কী! এসব সামলে চলা সহজ নয়। তারপরও নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করতে লাগলো আফরা। আর পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার, নিজের আধুনিকায়নও চালিয়ে যেতে লাগলো। তবে এর জন্য অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছিলো তাকে। বাবা-মায়ের তীব্র নজরদারির মাঝে এগুলো করা রীতিমতো একেকটা যুদ্ধাবিজানের মতো। নিজের কী শখ ছিলো প্রায় ভুলেই গিয়েছে আফরা। স্বপ্ন দেখাও ছেড়ে দিয়েছে সে। যন্ত্রের মতো চোখমুখ বুজে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে, আর যাই হোক ভালো ফলাফল করতে হবে। পড়াশোনা ছাড়া, ভালো ফলাফল ছাড়া জীবনে কিছুতেই সফল হওয়া যাবে না ছোটোবেলা থেকে এটাই জেনে আসছে সে। পড়াশোনায় ভালো না করলে সে জীবন পুরোই ব্যর্থ, মূল্যহীন একথা ওর পিতা-মাতা ওকে খুব ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছিলো। তাই পড়াশোনাকে সে সবার আগে রেখে এর মাঝে অবসর বা সুযোগ পেলেই অভ্যেস অনুযায়ী তার রঙিন দুনিয়ায় ডুব দেওয়া, বন্ধুদের সময় দেওয়া, সম্প্রতি সব বিষয়ের খবর রাখা, আধুনিকায়ন সব চালিয়ে যেতে লাগলো। কিন্তু এসবের মাঝে আফরা নিজেকে নিজে সময় দিতেই ভুলে গেলো। জীবন ব্যস্ততায় ভরে গেলো। একের পর এক কাজ করে নিজেকে দিনশেষে অনেক ক্লান্ত মনে হতো। এসবে শারীরিক পরিশ্রম নেই ঠিক ই, কিন্তু মানসিক পরিশ্রম হয় প্রচুর। আর মানসিক পরিশ্রম মানুষকে শারীরিক পরিশ্রম এর চেয়েও বেশি ক্লান্ত করতে পারে। কিন্তু এ ক্লান্তিকে উপেক্ষা করে যেতো আফরা। সব দিক ঠিক রেখে এগোচ্ছে এতেই খুশি ছিলো সে।

কিন্তু জীবনের আসল মানে এখনও বোঝা বাকি ছিলো আফরার। অনেক বড় একটি ধাক্কা অপেক্ষা করছিলো তার জন্য। নিজের বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে যখন সে অনেক স্বপ্ন নিয়ে জাতীয় একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলো তখন সে বুঝেছিলো সে কতটা পিছিয়ে আছে, বুঝেছিলো চারপাশে কত মেধা আর প্রতিযোগিতা। সে তুলনায় সে কিছুই না। এলাকাভিত্তিক এবং জাতীয় কয়েকটা প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিযোগিতা, পরীক্ষায় পরপর ব্যর্থতার পর নিজেকে আবার অনেক ক্ষুদ্র মনে হতে শুরু করলো আফরার। সে উপলব্ধি করলো নিজ বিদ্যালয়েও সে একেবারে সামনের শ্রেণির নয়, বর্তমানে মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে আর জাতীয়
পর্যায়ে তো সে স্থান ই পাচ্ছে না। চারপাশে যে প্রতিযোগিতা এ অবস্থানে থেকে ভবিষ্যতে খুব ভালো কিছু করার সম্ভাবনা নেই। তার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল এর জন্য সবকিছু বাদ দিয়ে পড়াশোনায় ডুবে থাকা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এদিকে যেটির জন্য নিজেকে পড়াশোনার মাঝে সপে দেয়নি, সে আধুনিকতাও পূর্ণভাবে তাকে ধরা দেয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ছেলে-মেয়ের আধুনিকতা দেখলে হীনম্মন্যতায় ভোগা শুরু করে আফরা। সে বুঝতে পারে এদের মতো সে কখনোই হতে পারবে না। তারা যেসব প্রসাধনী ব্যবহার করে এসবের আফরা এখনও নামও জানেনা। এছাড়া এসবের পেছনে সময় দেওয়ার মতো অত সময় বা সুযোগ কোনোটাই তার নেই। আর অনেকে আধুনিকতার নামে যে উচ্চতা প্রদর্শন করে, সেরকম আধুনিক সে হতেও চায় না। নিজেকে তাই এখন আংশিক আধুনিক মনে হয় তার। পড়াশোনা, আধুনিকতা দুটোকে একসাথে ধরতে যেয়ে কোনোটাকেই যেনো জয় করতে পারছে না সে। বরং এই যুদ্ধের মাঝে নিজেকেই হারিয়ে ফেলছে। এসব নিয়ে যখন আফরা হতাশায় ডুবে যাচ্ছিলো তখন বুঝতে পারলো, যে বন্ধুদের মন জয় করার জন্য তার এত প্রচেষ্টা এ দুঃসময়ে তাকে মানসিক সহায়তা দেওয়ার জন্য তাদের কেউই নেই। এবার সত্যি সত্যিই নিজেকে অনেক ক্লান্ত মনে হতে লাগলো আফরার। অনেক ক্লান্ত, মহা পরিশ্রান্ত। নিজের জীবনের প্রতিই ক্লান্তি চলে আসলো তার। এত পরিশ্রম করেও কোনোটাতেই সফল হতে পারলো না, কারও মন-ই জয় করতে পারলো না। আধুনিক হতে পারেনি, পিতা-মাতাকেও সন্তুষ্ট করতে পারেনি, সত্যিকারের বন্ধুও লাভ করতে পারেনি। নিজের জীবনটাকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ আর অর্থহীন মনে হলো তার। একসময় মনে হলো এ মহাক্লান্তি দূর করার একটাই উপায়, তা হলো ঘুম, মহাঘুম, চিরনিদ্রা!

তাই আর কিছু না ভেবেই একটা চিঠি লিখে দাদার ঘুমের ঔষধ এর পাতাটা লুকিয়ে নিয়ে এসে সবগুলো একসাথে খেয়ে নিয়ে মহাঘুমের ব্যবস্থা করে ফেললো আফরা। কিন্তু এ কাজেও ব্যর্থ হলো মেয়েটি। হাসপাতালের বিছানায় কয়েকদিন পর তার ঘুম ভাঙলো । তবে এর ফলে লাভই হলো। মানুষের কাছে তার জীবনের গুরুত্ব বুঝতে পারলো। কিছু সত্যিকারের বন্ধুরও পরিচয় পেলো যারা ঘুমন্ত আফরাকে দেখে কেঁদে বুক ভাসিয়েছিলো আর সদ্য জাগ্রত আফরাকে অনেক বকে দিলো, ভবিষ্যতে এমন কিছু করলে খবর আছে বলে হুমকিও দিলো। এর পাশাপাশি তারা সবসময় সব পরিস্থিতিতে আফরার পাশে আছে বলে আশ্বস্তও করলো। নিজেকে আগের মতো আর ব্যর্থ, ক্ষুদ্র, মূল্যহীন মনে হলো না আফরার। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়ে সে নতুনভাবে ফিরে পাওয়া এ জীবন নিয়ে ভাবতে লাগলো। এবং এবার সে জীবনের আসল মানে বুঝতেও পারলো। জীবনটা তার নিজের সুতরাং এ জীবনকে তার নিজের মতো করে বাঁচতে হবে, নিজের মতো করে ঢেলে সাজাতে হবে। অন্যের মন রক্ষার জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত জিনিস দিয়ে জীবনকে সাজালে অন্যের মন বা সফলতা কোনোটাই পাওয়া যায় না। নিজেকে, নিজের জীবনকে, চাওয়া-পাওয়াকে ভালোবাসলে, গুরুত্ব দিলে, সম্মান করলে অন্যরাও তা করবে। সফলতাও ধরা দিতে বাধ্য হবে। এবার থেকে সে অন্যের মন জয়ের জন্য নয়, নিজের জন্য বাঁচার সিদ্ধান্ত নিলো।
তো আজকে এই পর্যন্তই । মানুষ মাত্রই ভুল হয় । তাই ভুল হলে ক্ষমা করে দিয়েন । আশা করি পোস্টটি সবার ভালো লেগেছে । কোনো কিছু না বুঝতে পারলে কমেন্টে জানান । আপনি চাইলে এই লিংক এ ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে join করতে পারেন । আর যেকোনো প্রয়োজনে ফেসবুকে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন ।

The post পড়ে নিন একটি মোটিভেশনাল গল্প যার শিক্ষা হয়তো আপনার জীবনে কাজে লাগবে appeared first on Trickbd.com.

সামাজিক একটা ভুতের গল্প ।

Posted:

হ্যালো ব্রো, স্বাগতম, সবাইকে, আমার আজকের আরেকটা নতুন টিউটোরিয়ালে । আশা করি সবাই খুবই ভালো আছেন। ভালো তো থাকারই কথা, কারন trickbd র সাথে থাকলে সবাই খুব ভালো থাকে । আর ভালো থাকার জন্যই মানুষ ট্রিকবিডিতে আসে। চলুন শুরু করা যাক।

আমার আজকের এই পোস্টে থাকবে আমার লেখা একটি ভৌতিক কাহিনী।

আত্মারামের ঘটকালি

ঘটনাটা ১৯৯৯ সালের।আমি তখন সদ্য রেলে স্টেশন মাস্টারের চাকরি নিয়ে সলপ স্টেশনে এসেছি।আমি জানি আপনি সলপ স্টেশনের নাম আগে শোনেন নি।না শোনারই কথা।এই স্টেশনের বিশেষত্ব হল এখানে দিনে দু বার একটি ট্রেনই থামে।এই ট্রেনটি হলো গাজীপুর থেকে রাজশাহী গামী লোকাল ট্রেন।সলপ স্টেশন সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। সিরাজগঞ্জ জেলায় মোট চারটি রেল স্টেশন রয়েছে।এর মধ্যে একটি সলপ স্টেশন।যেহেতু ট্রেন থামে না তাই এখানে কদাচিৎ যাত্রী ওঠা নামা করে।আর তাই আমার কাজও নেই বললেই চলে।
১৯৯৯ সালের বর্ষাকাল। সবে চাকরি নিয়ে সলপ স্টেশনে এসেছি।ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই স্টেশনের তেমন কোন উন্নয়ন হয় নি।শুধু স্বাধীনতার পর দুটি এক তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।আর রয়েছে এক তলা একটা ভবন যা ব্রিটিশ আমলে নির্মিত। এখন ভগ্নপ্রায় দশা।ভবনের ভেতর বট গাছ গজিয়েছে। সন্ধ্যার পর এই স্টেশন ধারণ করে ভৌতিক রুপ।এরকম একটি পরিবেশেই আমাদের কাজ।
এখানে এসেই সবার আগে যে সমস্যার পরতে হলো তা হলো থাকার জায়গা।গ্রাম্য অঞ্চল, তাই ভাড়া বাড়ি পাওয়া সম্ভব নয়। আর তাই আমার ঠাই হলো স্টেশন মাস্টারের অফিসের পাশে একটা ছোট্ট ঘরে।এ ঘরে সর্ব সাকুল্যে একটা সিঙ্গেল বেড আর কেরোসিন স্টোভের জায়গা হয়।আর সাথে একটা বুক শেল্ফের।কষ্ট করেই থাকতে হয়।
এখানে প্রথম মাস কোন মতে কেটে গেল।এর পরই শুরু হলো উপদ্রব।কিসের উপদ্রব? তা বলা মুশকিল।
বর্ষার পানিতে চারিদিক থৈথৈ করছে।মাঝে মাঝেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামছে।আবার কিছুক্ষণ পরেই থেমে যাচ্ছে। রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী। তবে আমার তেমন সমস্যা হচ্ছে না।আমি এমনিতেও খুব একটা বেশি বাড়ির বাইরে যাই না।
এরকমই এক বর্ষণমুখর রাতের কথা।সন্ধ্যা সাতটার সময় ট্রেন আসার কথা ছিল।কিন্তু ঝড়ের কারণে রেললাইনে গাছ পরে গেছে। আর তাই ট্রেন আসতে পারছে না।ট্রেন কখন আসবে তাও জানা যায় নি।তাই নিজের ঘরে বিছানায় আধ শোয়া হয়ে বসে বই পরছি।ব্যোমকেশ বক্সীর চিত্রচোর।এমন সময় হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে গেল।চারিদিক ঘুটঘুটে অন্ধকার।তাই মোমবাতি জালালাম।কিন্তু বাতাসে আগুন নিভে গেল।আমি তাই জানালা বন্ধ করে দিয়ে আবার মোমবাতি জালাতে যাব তখনই জানালার বাহির থেকে আওয়াজ এলো,
-স্যার কি ভিতরে আছেন?
-হ্যা।
আমিই এই গ্রামের এক মাত্র সরকারি কর্মকর্তা। তাই এখানে সবাই আমাকে স্যার বলে ডাকে।আমি জানালা খুললাম।বাইরে একজন দাঁড়িয়ে আছে।কিন্তু তার চেহারাটা ভাল করে দেখা যাচ্ছে না।
-স্যার ভিতরে আসব।
-আপনি কে?
-আমাকে আপনি চিনবেন না।
-আসুন।
আমি আবার মোম বাতি জালানোয় মনযোগ দিলাম।লোকটা ভেতরে প্রবেশ করল।আমার যতদূর মনে পরে আমি দরজা লাগিয়েছিলাম।তাহলে ইনি ভিতরে প্রবেশ করলেন কিভাবে?নাকি দরজা লাগাতেই মনে ছিল না?লোকটা একটা চেয়ার টেনে আমার সামনে বসল।
-আপনি কোথা থেকে এসেছেন?
-মানে?
-মানে কোথায় থাকেন?
-থাকি তো এখানেই।
-এখানে কোথায়?
-এই ইস্টিশনে।
সলপ স্টেশনে কোন লোক থাকে বলে তো জানি না।গ্রামাঞ্চলে কেউ স্টেশনে থাকে না।এখানে সবারই থাকার জায়গা আছে।শুধু মাত্র শহরাঞ্চলেই মানুষ গৃহহীন।তাই স্টেশনে থাকে।
-স্টেশনের কোথায় থাকেন?
-পুরাণ ইস্টিশন ঘরে।
-আপনার নামটা তো বললেন না।
-আজ্ঞে আত্মারাম ঘোষাল।
-আপনি হিন্দু?
-যখন  বেঁচে ছিলাম তখন তো হিন্দুই ছিলাম।তবে এখন..
কথাটা শুনেই যেন ধাক্কা খেলাম।মাথাটা ঘুরে উঠল।বেঁচে ছিলাম মানে কি বলতে চাইছে?
-বেঁচে ছিলাম মানে?এখন বেঁচে নেই?
-আজ্ঞে না।
মাথাটা আবার ঘুরে উঠল।আমি কি জেগে আছি? নাকি কোন স্বপ্ন দেখছি।আবার লোকটার দিকে তাকালাম।এখনও বসে আছে।আমি কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলাম। তখনই কারেন্ট চলে এলো।ঘরটা আলোকিত হয়ে উঠল।সামনের চেয়ারের দিকে তাকিয়ে দেখি সেখানে কেউ বসে নেই।আবার ধাক্কা খেলাম।দরজার দিকে তাকিয়ে দেখি দরজা ভেতর থেকে বন্ধ।ঘরের ভেতরে কেউ নেই।আমি উঠে দাঁড়ালাম। আসে পাশে আরো একবার তাকিয়ে দেখলাম।না,কেউ নেই। তাহলে কি স্বপ্ন দেখছিলাম?
তখনই জোড়াল শব্দ শুনে আৎকে উঠলাম।কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারলাম ট্রেনের শব্দ।গায়ে শার্ট জড়িয়ে দরজা খুলে বের হলাম।কার্যক্রম সমাধা করে আবার ঘরে ঢুকলাম।মগে পানি নিয়ে বাইরে এসে হাত মুখে পানি দিলাম।এর পর ঘরে ঢুকে শুয়ে পড়লাম।সে রাতে আর বিদ্যুৎ আর যায় নি।আর তেমন কোন সমস্যাও হয় নি।
পরদিন কোন ট্রেন আসে নি।রেললাইনে নাকি গাছ পড়েছে।তাই উত্তরবঙ্গের সাথে রেল যোগাযোগ বন্ধ।আমিও বেশ ঝাড়া হাত পা।তাই সন্ধ্যার পর ঘরে বসে বই পড়ছিলাম।হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেল।বই হাত থেকে রেখে কুপি বাতি জালাতে যাচ্ছি। তখনই আবার সেই আওয়াজ।
-বাবু ভেতরে আসব?
আমি থ মেরে গেলাম।আবার সেই লোক?আমি পেছনের দিকে ঘুরে তাকালাম।জানালা খোলা।কিন্তু বাইরে কাউকে দেখা যাচ্ছে না।
-আমাকে খুঁজতেছেন?
-আওয়াজটা ঘরের ভেতর থেকেই এলো।আমি ভেতর দিকে তাকালাম।আবছা আলোয় লোকটাকে দেখতে পেলাম।আগের মতই আমার খাটের সামনের চেয়ারে বসে আছে।আমার স্পষ্ট মনে আছে আমি দরজা লাগিয়েছিলাম। তাহলে কি আবার স্বপ্ন দেখছি?
-কি হলো? কিছু বলছেন না যে?
-আ-আপনি?
-জানি ভয় পেয়েছেন।ভয় পাবেন না।আমি খারাপ মানুষ নই।নাকি বলব খারাপ ভুত নই?
-আপনি আসলেই..?
-আজ্ঞে।
-আমার কাছে কি মনে করে?
-আজ্ঞে এর আগে যাদেরই দেখা দিয়েছি তারাই পালিয়েছে।তা আপনি পালালেন না,তাই দেখেই এলুম।
-ও।
-আপনি কি এখনও ভাবছেন আপনি স্বপ্ন দেখছেন।নিজেকে একবার চিমটি কেটে দেখতে পারেন।
আমিও বোকার মত নিজেকে চিমটি কাটলাম।না,স্বপ্ন দেখছি না।
-আরো কোন প্রমাণ চান।
আমি আস্তে আস্তে বললাম,
-না।
-তাও ভাল।
-না, মানে আমার কাছে কি চান তা তো বললেন না।
-আপনি হয় খুবই সাহসী অথবা এখনো এটা স্বপ্ন মনে করছেন।
-না।
-আমি এখন উঠি।
-আচ্ছে।
-কেন উঠছি জানেন?
-না।
-এখুনই বিদ্যুৎ আসেবে। তখন তো আমি থাকতে পারব না।
-হ্যা।
এরপর আগের বারের মতই ঘরের ভেতর থেকে উধাউ। আবারো কি স্বপ্ন?তবে এবার আমার সন্দেহ দূর হলো।কিছুক্ষণের মধ্যেই ইলেক্ট্রিসিটি চলে এলো।লোকটা যা বলেছে তা মিলে গেছে তাহলে কি যা ঘটেছে তা কি সত্য?সেটা কিভাবে সম্ভব?
এসব কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম।পরদিন অফিসের কাজ শেষ করে বিকেলের দিকে গ্রামের ভেতর দিকে গেলাম।কাল রাতে যা ঘটেছে তার পর সকাল থেকেই মাথাটা ঝিমঝিম করছিল।রাতের ঘটনা সত্যি না মিথ্যে তা এখনো বুঝতে পারছি না।
গ্রামের ভেতর দিকে নদীর পাশে একটা গাছের নিচে নিয়ে বসলাম।নদীর দিক থেকে ঠান্ডা হাওয়া আসছিল।চোখটা লেগে এলো।কিন্তু কিছুক্ষণ পরই একটা পরিচিত আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেল।
-ঘুমিয়েছেন নাকি?
চোখ খুলে দেখি আশেপাশে অন্ধকার হয়ে এসেছে।আবারও সেই আওয়াজ,
-ঘুমিয়েছেন নাকি?
আমি পেছনে ঘুরে দেখলাম।গাছের পেছন দিকে সেই লোকটা।ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।
-উঠে পড়ুন,উঠে পড়ুন।
আমি উঠে দাড়ালাম।
-তাড়াতাড়ি স্টেশনে যান। বড় সাহেব এলো বলে।
-বড় সাহেব এখানে কোথা থেকে আসবে?
-সে সব পড়ে বলব।এখন যান।
আমি উঠেই দৌড় দিলাম।কেন দৌড়াচ্ছি জানি না।আসলেই কি লোকটা সত্যি কথা বলেছে?আমি অফিসে পৌছালাম।অফিসের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে বাতি জ্বালাচ্ছিল তখনই শফিক সাহেব ঘরে ঢুকল।শফিক সাহেব আমার বড় সাহেব।কিন্তু এখানে কি করছে?
-আপনি?
-হ্যা দেখতে এলাম।আসলেই কাজ করছেন, নাকি ঘুরে বেড়াচ্ছেন?
-না।না।ঘুরে বেড়াব কেন?
-হ্যা, তাই।কাজ ভালো করে করলেই ভালো।
-আসি।
-চা খেয়ে যান।
-না।আসি।
চলে গেলেন তিনি।আমি নিজের ঘরে গিয়ে খাটের ওপর বসলাম।কি হচ্ছে এসব?আসলেই কি?
-আসব?
আমি ঘুরে তাকালাম।দেখি সেই লোক।এবার আলোয় মুখটা স্পষ্ট করে দেখা যাচ্ছে। মুখ ভর্তি দাড়ি, গোঁফ।সাদা চুল।
-আসব?
-আসুন।
আগের মতো চেয়ার টেনে বসল।
-আমার কাছে কি চান?
-আজ্ঞে তেমন কিছু না।তবে আপনি আমার কাছে কি চান তা বোধহয় আন্দাজ করতে পারছি।
-কি চাই?
-থাকার জন্য একটা ভালো বাড়ি।তাই তো?
-হ্যা।
– সে ব্যবস্থাও আছে।
-আছে?
-হ্যা।
-কি ব্যবস্থা?
-বিয়ে করে ফেলুন।
-বিয়ে?
-হ্যা।এই গেরামে এক মেয়ে আছে।নাম বিলকিস।খুব ভালো মেয়ে। ওকে বিয়ে করে ফেলুন।সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
-ভুত হয়ে ঘটকালী?
-কি আর করি বলুন।মেয়েটার দুঃখ তো আর চোখে দেখা যায় না।বাপটা মরেছে মাস কতক হলো।মেয়েটার শেষ সম্বল ভিটেটাও বিক্রি করে দেবে।আপনি মেয়েটাকে বিয়ে করলে ওরও একটা গতি হয়।আপনারও সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। আচ্ছা আমি আসি এখন।
লোকটা আবার চলে গেল।এবার চোখের সামনে থেকে মিলিয়ে গেল।তবে ব্যপারটা আমার কাছে স্বাভাবিক হয়ে গেছে।এখন আমি নিশ্চিত এটা স্বপ্ন নয়,বাস্তব।আলো বন্ধ করে শুয়ে পরলাম।গভীর রাতে একটা চিৎকার শুনে ঘুম ভাঙল। আমি তাড়াতাড়ি  দরজা খুলে ঘর থেকে বের হলাম।বাইরে গিয়ে দেখি প্লাটফর্মের ল্যাম্পপোস্টের সাথে একজন মানুষ বাধা।আমি দৌড়ে গিয়ে তার বাদন খুলতে যাব, তখনই আত্মারামের আওয়াজ।
-খুলবেন না।ব্যাটা আপনার ঘরে চুরি করতে এসেছিল।তাই বেধে রাখলুম। আপনি বরং পুলিশকে খবর দিন।
আমি কিছুক্ষণ থ মেরে বসে রইলাম।তারপর ছুটে গিয়ে পুলিশ স্টেশন থেকে দুজন হাবিলদারকে ডেকে নিয়ে এলাম।তারা দেখেই লোকটাকে চিনতে পেরে গেল।এর আগেও ব্যাটাকে কয়েকবার চুরির দায়ে ধরেছিল।লোকটাকে পুলিশ নিয়ে গেল।খবরটা এলাকায় ঠাওর হয়ে গেল।পরদিন সকাল হতে না হতেই লোকজনের আগমন ঘটতে শুরু করল।চোর ধরেছি বলে সবাই বাহবা দিতে এসেছে।কিন্তু আমার বেশি মানুষজন পছন্দ নয়।কিন্তু এদের তো ফিরে যেতেও বলতে পারছি না।খুব বিরক্ত লাগছে।এভাবে সারাদিনই কিছুক্ষণ পর পর লোক আসতে থাকল।
দুপুর হয়ে এলো। খাবার রান্না করা হয় নি।লোক জনের ভিড় দুপুরের দিকে কমে গেল।আমি রান্না করতে যাব তখনই ঘরের দরজায় টোকা পড়ল।একটা মেয়েলি কন্ঠে আওয়াজ এলো,
-আসব?
আমি পেছন দিকে তাকালাম।দরজার কাছে শাড়িপরিহিতা এক মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।গায়ের রঙ শ্যামলা। তবে অপূর্ব সুন্দরী।
-আব্দুল চাচা ভাত পাঠাইছে।
-ও,আচ্ছা।রেখে যান।
মেয়েটা খাবার ঘরে রেখে চলে গেল।তবে এতক্ষণে এক বারও আমার দিকে তাকায় নি।সবসময় নিচের দিকে তাকিয়ে ছিল।মেয়েটা খাবার দিয়ে চলে গেল।আমিও তখনই খেতে বসলাম।খাবার সময় হঠাৎ করেই আবার আত্মারামের আগমন। তবে এবার দেখতে পেলাম না।শুধু শব্দ শুনতে পেলাম।
-কেমন দেখলেন?
-কে?
-আমি আত্মারাম।
-ও।তা সামনে আসুন।
-দিনের বেলা আমি দেখা দিতে পারি না।
-ও।তা কি দেখার কথা বলছিলেন?
-বললাম বিলকিসকে কেমন দেখলেন?
-কে বিলকিস?
-এই যে আপনাকে খাবার দিয়ে গেল।
-আসলে..
-বিয়ে করতে রাজি থাকলে বলুন।মেয়েটাও বেঁচে যায়।
-আচ্ছা দেখছি।

এ ঘটনার পর ৭ বছর পেড়িয়ে গেছে।বিলকিসকে বিয়ে করেছি।এখন আমি রাজশাহী স্টেশনে কর্মরত আছি।সলপ স্টেশনে আমার আর ফিরে যাওয়া হয় নি।আত্মারামেরও আর দেখা পাই নি।

আজ এ পর্যন্তই আপনাদের যদি এসব কাহিনী ভালো লাগে তাহলে আমি আরো অনুপ্রেরণা পাব । তাই আপনারা চাইলে কমেন্টে আমাকে উৎসাহ দিয়ে কমেন্ট করতে পারেন । ধন্যবাদ গল্পটা পড়ার জন্য।

তো তাহলে আমার আজকের পোস্ট আমি এখানেই শেষ করছি। আশা করছি পোস্টটি আপনার বিন্দুমাত্র হলেও উপকার করবে। সবাইকে ধন্যবাদ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।

মানুষ মাত্রেই ভুল হয় , তাই পোষ্টে কোন ভুল থাকলে দয়া করে মাপ করে ‍দিয়েন, আর প্লিজ কমেন্টে লিখে ভুলগুলা শোধরানোর সুযোগ করে ‍দিয়েন।
কোন কিছু না বুঝলে বা কোন কিছু জানার থাকলে, আমাকে কমেন্টে জানান।
পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি লাইক দিবেন এবং কমেন্টে তা জানিয়ে দেবে যেন আমি আরো নতুন নতুন পোস্ট করার উৎসাহ পাই।

আর এরকম নিত্যনতুন আরো তথ্য জানতে এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকার জন্য আপনি আমাদের ফেইসবুক গ্রুপে জয়েন হতে পারেন l group link—>

আর যেকোন প্রবলেমে ফেসবুকে আমি [—>profile link]
তাহলে সবাইকে ট্রিকবিডির সাথে থাকার জন্য আমন্ত্রন জানিয়ে আজকে আমি আমার আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।


The post সামাজিক একটা ভুতের গল্প । appeared first on Trickbd.com.

আইএমডিবি রেটিং এ সেরা ৫-টি সিনেমা | ইতিহাস এর সেরা ৫ সিনেমা- রিভিউ।

Posted:

ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজ বা আইএমডিবি। বিশ্বের সব সিনেমা নিয়ে রেটিং দেয়ার মুক্তখাতা এই সাইটটি। দর্শকের ভোটেই নির্ধারিত হয় সিনেমাগুলোর অবস্থান। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন চলচ্চিত্রের তথ্যভান্ডার থেকে দর্শকের ভোটে নির্বাচিত হওয়া বিশ্বের সেরা ৫ সিনেমা নিয়ে আজকের আয়োজন।


#TheShawshankRedemption
আইএমডিবি তালিকায় ১ নাম্বারে থাকা সিনেমার নাম TheShawshankRedemption ।

গত ১২ বছর ধরে, আইএমডিবির তালিকায় সেরা অবস্থান ধরে রেখেছে এই সিনেমাটি।

বিখ্যাত এই মুভিটি নির্মাণ করেছে ফ্রাংক। সিনেমাটি জেলখানা থেকে ই মুক্তির কাহিনী। এখানে যেন বলা হচ্ছে জীবন থেকে বাঁচো। আশায় বাঁচো।

কখনো হাল ছেড়ে দিও না, সিনেমাটির আইএমডিবি রেটিং ৯ দশমিক ২


#TheGodfather
হলিউডের সেরা কিছু চলচ্চিত্রের নাম বললে সেখানে দ্য গডফাদার থাকবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
আর আইএমডিবি রেটিংয়ে ও সিনেমাটি বিশ্বের সেরা সিনেমার মধ্যে দ্বিতীয়।

সিনেমাটির রেটিং ৯.২ মার্কিন অপরাধজগতের কাহিনী নিয়ে নির্মিত এই সিনেমার মূল চরিত্র ইতালি থেকে আসা কল লিওনি।

সর্বকালের সেরা সিনেমা এই গডফাদার ইতিহাসের অন্যতম শক্তি শালী চরিত্রগত ধরে অভিনয় করেন মার্লোন ব্র্যান্ডো। আর এই চরিত্রটির জন্য অস্কার জয় করেন তিনি।


#TheDarkKnight
নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলানের। TheDarkKnighttol এর দ্বিতীয় সিনেমা TheDarkKnight
গৎবাঁধা কমিক এর গল্প থেকে সিনেমা টি সম্পূর্ণ আলাদা।

সিনেমাটি আইএমডিবি রেটিংয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। এর রেটিং ৯

২০০৮ সালে মুক্তি পাই #TheDarkKnight সিনেমাটি।
অভিনয় করেন Christian Bale
Batman, Bruce Wayne
জোকার চরিত্র দিয়েই বাজিমাত করেন অভিনেতা Heath Ledger


#TheGodfatherPartII
ইতিহাসের সেরা সিনেমার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে দ্য গডফাদার।
আর তারপর সিনেমার সিকিউল টাও জায়গা করে নেয় সেরা ৫ এর মধ্যে।
এর আইএমডিবি রেটিং ৯

দ্য গডফাদার সিনেমার ধারাবাহিকতাই। ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায় দ্য গডফাদার ২।
এই সিনেমায় Michael Corleone চরিত্রে অভিনয় করে Al Pacino


#12AngryMen
একটি কক্ষের ভিতর শাসরুদ্ধ কর এক নাটকীয়তার জন্য বিখ্যাত এই সিনেমাটি।
১২ জন বিচারক একটি কক্ষে একত্রিত হওয়ার অসাধারণ একটি গল্প নিয়ে সিনেমা #12AngryMen

সিনেমাটি আইএমডিবি রেটিং এ সেরা ৫ এর মধ্যে পঞ্চম।
সিনেমাটির রেটিং হলো ৮.৯

সেইসাথে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি দেখা হচ্ছে ঠিক আগামীকাল।
সে পর্যন্ত ট্রিকবিডির সঙ্গেই থাকুন।❤

The post আইএমডিবি রেটিং এ সেরা ৫-টি সিনেমা | ইতিহাস এর সেরা ৫ সিনেমা- রিভিউ। appeared first on Trickbd.com.

ঘরে বসে অনলাইনে কোরবানীর পশু বিক্রি করবেন যেভাবে!!

Posted:

আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় Trickbd এর সকল সদস্যগণ।

কেমন আছেন সবাই।

আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন সবাই।

আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

আজকের পোস্টে দেখাবো কিভাবে আপনি

বাসায় বসে অনলাইনে আপনার

কোরবানীর পশু বিক্রি করবেন।

ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ।

আমাদের মুসলিম সম্রদায় এর প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলো

ঈদ।

মুসলমানদের ২ টি ঈদ আছে।

এইগুলো হলো

ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা ।

ঈদুল আযহা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য,

আল্লাহ্ এর তাকওয়া অর্জন এর জন্য

প্রতি ঈদুল আযহা তে কোরবানী করতে হয়, সামর্থবান

ব্যক্তিদের।

কোরবানী এর জন্য সুস্থ সবল পশু

আল্লাহর নামে উৎসর্গ করতে হয়।

বর্তমানে সবকিছু ডিজিটাল হয়ে গেছে

এখন আর মানুষ হাটে গিয়ে পশু কিনে না

তারা অনলাইনে গরু কিনে নিজের পছন্দ মতো।

অনেকে জানেন না কিভাবে অনলাইনে নিজের

পশু গুলোর বিজ্ঞাপন দিবেন।

আজকের পোস্ট টি দেখলে আপনারা পারবেন।

বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ইকমার্স সাইট আছে

যেমন: দারাজ,বিক্রয় ডট কম, কিউকম, আলেশামার্ট, ইত্যাদি।

তবে অনলাইনে পশু এর অ্যাড দেওয়ার জন্য,

বিক্রয়.কম সবচেয়ে জনপ্রিয়।

প্রথমে আপনারা প্লে স্টোর থেকে বিক্রয়.কম এর

অ্যাপটি ইনস্টল করে নিবেন।

বা চাইলে এই লিংক থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।

ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন

এরপর নাম্বার বা Gmail দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে নিবেন।

আমরা সবাই কমবেশি জানি একাউন্ট কিভাবে খোলে

তাই বিস্তারিত বললাম না।

প্রথমে অ্যাপস টি ওপেন করুন

এরপর এই ( +) আইকণে ক্লিক করুন

এরপর আপনি, দেখতে পারবেন

“অন্য ক্যাটাগরিতে বিক্রি করুন”

এইটাই ক্লিক করুন।

এরপর

“পোষা প্রাণী ও জীবজন্তু”

সিলেক্ট করুন

এরপরে “গবাদি পশু” সিলেক্ট করুন।

তারপরে আপনার সামনে

এরকম একটি পেজ চলে আসবে

এখানে আপনি আপনার ঠিকানা আপডেট করুন।

স্কিনশটে দেখানো জায়গায় ক্লিক করুন

লোকেশন এড করতে হলে ওপরে দেখানো

লেখায় ক্লিক করবেন।

এরপর আপনার কোরবানী এর পশুর ছবি আপলোড করুন

স্ক্রিনশট এ দেখানো জায়গা তে ক্লিক করে।

এরপর আপনি বিস্তারিত লিখে পোস্ট করুন

সর্বোচ্চ 1 ঘন্টার মধ্যে আপনার

পোষ্ট পাবলিস হয়ে যাবে।

আর যদি পোস্ট করার পরে এই রকম

কোনো কিছু আসে

সেটা স্কিপ করে চলে আসবেন।

কারন বিক্রয়.কম অ্যাপসে ফ্রি তে

বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়।

আপনার পোস্ট পাবলিস হয়ে গেলে

আপনার ইমেইলে একটি এসএমএস যাবে

এভাবে আপনি ঘরে বসে

আপনার কোরবানীর পশু বিক্রি করতে পারবেন অনলাইনে।

ধন্যবাদ সবাইকে পোস্টটি পড়ার জন্য।

আল্লাহ হাফেজ সবাইকে।

যেকোনো প্রয়োজনে ফেসবুকে আমাকে পাবেন এই লিংকে

আমার ফেসবুক আইডি

The post ঘরে বসে অনলাইনে কোরবানীর পশু বিক্রি করবেন যেভাবে!! appeared first on Trickbd.com.

Post a Comment

0 Comments