Search box..

Windows 10 এর সমস্যা সমাধান করার জন্য নিয়ে নিন Software Repair Tool

Windows 10 এর সমস্যা সমাধান করার জন্য নিয়ে নিন Software Repair Tool


Windows 10 এর সমস্যা সমাধান করার জন্য নিয়ে নিন Software Repair Tool

Posted:

Windows অপারেটিং সিস্টেমের যেকোন ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য Windows কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ Microsoft একটি টুল তৈরি করেছে যাকে মূলত Software Repair Tool নামে ডাকা হয়। মাইক্রোসফটের তৈরি করা এই অ্যাপ বা টুলের মাধ্যমে আপনি আপনার পিসিতে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ভার্সন ১০ এর অর্থাৎ Windows 10 এর যদি অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে থাকা কোন ফাংশন কাজ না করে তাহলে তা কেন করতেছে না এবং এটির কিভাবে সমাধান করবেন তা এই টুল বা সফটওয়ারের মাধ্যমে জানতে পারবেন।

Microsoft মূলত এটি তৈরি করেছে তাদের তৈরি করা ল্যাপটপ Surface এর জন্য। যাতে করে সারফেসে যদি কোন অপারেটিং সিস্টেম জনিত সমস্যা হয় তাহলে তা সহজে সমাধান করা যায়। বুঝেনেই তো মাইক্রোসফট তাদের ডিভাইস সারফেসে অতিরিক্ত কিছু সুবিধা দেওয়ার কারণ হচ্ছে মার্কেটে এটির ভালো অবস্থান তুলে ধরার জন্য।

ডাউনলোড লিংকঃ
Software Repair Tool টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।

Windows 10 এ Software Repair Tool এর ব্যবহারঃ
আপনার কম্পিউটারের Windows 10 চালিত অপারেটিং সিস্টেমে যদি কোন সমস্যার সম্মুখীন হোন তাহলে এখানে ক্লিক করে আগে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন।

তারপর এটি রান করানোর জন্য মাউস ডাবল ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর দেখবেন উপরের স্ক্রিনশটের মত আসবে। এখানে I have read accepted the licence agreement বক্সে টিকমার্ক দিয়ে Proceed to scan and fix বাটনে ক্লিক করুন।

তারপর দেখবেন উপরের স্ক্রিনশটের মত আসবে। অর্থাৎ সে তার কার্যক্রম শুরু করে দিবে। বিশেষ করে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে যে সমস্যাগুলি বেশী হয়ে থাকে সেগুলো রিপাইয়ার বা মেরামত করবে। এটির পুরো প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর আপনার কম্পিউটারটি রিস্টার্ট দিন। তারপর দেখুন সব ঠিকঠাক আছে কিনা।

তথ্যসূত্র ও ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।

The post Windows 10 এর সমস্যা সমাধান করার জন্য নিয়ে নিন Software Repair Tool appeared first on Trickbd.com.

পড়ে নিন একটি আধুনিক চমৎকার গল্প [depression]

Posted:

Hello what’s up guys কেমন আছেন সবাই ? আশা করি ভালো আছেন । সবাইকে স্বাগতম আজকের একটি নতুন পোস্টে । টাইটেল আর thumbnail দেখে already বুঝে গেছেন আজকের টপিক কি । আশা করি পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখবেন । তো বেশি কথা না বলে আজকের পোষ্ট শুরু করা যাক   গল্পের নাম : ডিপ্রেশান    
রাত গভীর হচ্ছে, কিছুদিন যাবত লক্ষ্য করছি যে আমি তীব্র অনিদ্রা রোগে ভুগছি। ইংরেজিতে যাকে insomnia বলে আর কী। আগে আমার বন্ধু জয়ী আমাকে বলতো, ‘দোস্ত আমায় একটু ঘুম ধার দে না’। আমি বলতাম ‘ঘুম আবার ধার দেয়া যায় না-কি, শুয়ে ঘুমিয়ে পড়বি’। এটা বলে কথাটা উড়িয়ে দিলেও মনে মনে ভাবতাম, আচ্ছা কী এমন হয় মানুষের! যে সে রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে থাকে। এখন বুঝি যে কেন এই নির্ঘুম রাত, কীভাবে এই নিস্তব্ধতার মাঝেও দুচোখের পাতা এক হয় না। আসলে মানুষের মনের জগতে যখন আঁধার নেমে আসে তখন রাতের আঁধার তার মনে আরও স্পষ্ট কালো ছাপ ফেলে। এখানে মন জিনিসটা আমাদের মস্তিষ্ক। শহরটি এখন নিস্তব্ধ এটা বটে, কিন্তু মানুষগুলোর মস্তিষ্ক নিস্তব্ধ নয়, সেটা অবিরাম ছুটে চলেছে চিন্তার জগতে। মাঝেমাঝে অবাক হই আমার মস্তিষ্কের কথা ভেবে, রাত যত গভীর হচ্ছে, মস্তিষ্ক যেন আরও বেশি অস্থির হয়ে পড়ছে, কোনো এক কারণে প্রচণ্ড বিক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছে সে। কিংবা সে ভয় পেয়ে আছে কোনো কারণে। রাত যত গভীর হচ্ছে ভয় যেন আরও বাড়ছে, একটি নতুন ভোরের অপেক্ষায় আছে সে, কিন্তু সে ভোর আসছে না। দিনের পর দিন যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত নতুন ভোর কোনোভাবেই আসছে না। আচ্ছা মানুষ অন্ধকারে কেন থাকতে পারে না? হ্যা অনেক মানুষের কাছেই অন্ধকার প্রিয়, রাত প্রিয়, তার পছন্দের কাজগুলোও রাতে করতে সে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে, কিন্তু কোনো এক অদ্ভুত কারণে মানুষের মস্তিষ্ক কিংবা মস্তিষ্কের এক অংশ অন্ধকারকে এড়িয়ে চলতে চায়, তাই হোক না হোক অবচেতন মনে একটা আঁধার ভীতি মানুষের ঠিকই রয়েছে। আমার বিক্ষিপ্ত মনে কিছু চিন্তা যেন বিদ্যুতের গতিতে চলছে।

আচ্ছা insomnia কিন্তু আমার একার না। আমি আমার বয়সী আরও অনেক ছেলে মেয়েকে দেখেছি যারা insomnia তে ভুগে, তাদের রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটে। এই insomnia এর কারণ একেক জনের একেক রকম। কেউ পড়াশোনা বা নির্দিষ্ট কাজে রাত জাগতে জাগতে একটা পর্যায়ে এটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এবং এখন সে রাতে এমনিতেই ঘুমাতে চায় না বা পারে না। কিন্তু ১৩-২০ এই বয়সী ছেলে মেয়েদের রাত জাগার আরও একটি কারণ হলো ‘ডিপ্রেশন’। এখন হয়তো কেউ বলতে পারে এত কমবয়সী ছেলে মেয়েদের ডিপ্রেশন এত বেশি কিসের। যারাই এই প্রশ্নটি করবে তারাই বরং এই ডিপ্রেশনের একটি অন্যতম কারণ।

একবিংশ শতাব্দীতে এসে ডিপ্রেশন কোনো নতুন বিষয় না। ২০১৮ এর একটি জরিপে বিষয়টি উঠে এসেছে যে বিশ্বে প্রায় ৯৭০ মিলিয়ন মানুষ মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার স্বীকার। অর্থাৎ প্রতি একশো জনে ১৩ জন মানুষ কোনো না কোনো মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় ভুগছে। এর মধ্যে ২৬৪ মিলিয়ন মানুষ ‘ডিপ্রেশন’-এ ভুগছে। অর্থাৎ পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৩.৪৩% মানুষ ডিপ্রেশনের স্বীকার।

মানসিক সমস্যাজনিত সমস্যা বলতে যে শুধু ডিপ্রেশন না তা আগে বোঝা দরকার। মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার মধ্যে আছে আরও কয়েক ধরনের নির্দিষ্ট সমস্যা। এর মধ্যে আছে Depression, Anxietz, Bipolar disorder, Eating disorder, Schizophrenia, Drug use disorder, Alcohol use disorder etc.

এই সমস্যাগুলোয় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বা জরিপটাও ভিন্ন। এখন আমরা খুবই

বোরিং একটা জরিপ দেখব। কিন্তু পুরো বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার ব্যপারে একটি ধারণা পেতে উক্ত জরিপটি খুবই তথ্যবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ । Our World in Data’ নামক একটি সংস্থার ২০১৮ এর একটি প্রতিবেদনে উঠে আসা বিশ্বব্যপী মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার জরিপটি হলো : • Anxietz: প্রায় ২৮৪ মিলিয়ন। অর্থাৎ ৩.৮% মানুষ এই anxiety বা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। যার মধ্যে ৪.৭% নারী এবং ২.৮% পুরুষ।

• Depression প্রায় ২৬৪ মিলিয়ন, অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ৩.৪৩% মানুষ

এই depression বা হতাশায় ভুগছে। যার মধ্যে ৪.১% নারী এবং ২.৭% পুরুষ। • Alcohol use disorder প্রায় ১০৭ মিলিয়ন মানুষ। মোট জনসংখ্যার

১.৪%। ২% পুরুষ এবং ০.৮% নারী। • Drug use disorder প্রায় ৭১ মিলিয়ন মানুষ। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার

০.৯%। ১.৩% পুরুষ এবং ০.৬% নারী

Bipolar disorder : প্রায় ৪৬ মিলিয়ন, অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ০.৬%। এর মধ্যে ০.৬৫% নারী এবং ০.৫৫% পুরুষ এতে আক্রান্ত।

Schizophrenia: প্রায় ২০ মিলিয়ন, অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ০.৩% এই সমস্যায় আক্রান্ত। যার মধ্যে ০.২৬% পুরুষ এবং ০.২৫% নারী

. Eating Disorder : প্রায় ১৬ মিলিয়ন বা মোট জনসংখ্যার ০.২% মানুষ এর ভুক্তভোগী। যার মধ্যে ০.২৯% নারী এবং ০.১৩% পুরুষ।

পরিসংখ্যানটি একটু খেয়াল করলে একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায় যে উল্লেখিত ৭টি সমস্যার মধ্যে ৪টি সমস্যাতেই নারীরা বেশি ভুক্তভোগী। এবং একটি গড় হিসাবের মাধ্যমে এটি বেরও করা হয়েছে যে বিশ্বব্যপি মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় আক্রান্তদের মধ্যে ১৩.৩% নারী এবং ১২.৬% পুরুষ। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বেশ কিছু বছর ধরেই আশংকাজনক ভাবে বাড়ছে।

তবে বর্তমানে ২০২০ এ করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে এই পরিসংখ্যানটি আরও বহুগুনে বেড়েছে বলে ধারণা করছে বিশেষজ্ঞরা। মহামারীর এই সময়ে অনেকের চাকরি চলে গেছে। অনেক পরিবার পথে নেমে গেছে, অনেকের পরিবার পরিজন করোনায় আক্রান্ত। কারও আবার কাছের মানুষ মারা গেছে, কারও হয়তো হচ্ছে অনিশ্চিত মৃত্যুর ভয়। চারিদিকে মৃত্যু আর লাশের খবর, পুরো শহর, দেশে একটা অবরুদ্ধ অবস্থা। এমন এক ভয়ানক অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়া কোনো অবাক করার মতো বিষয় না। প্রথম আলোর একটি সংবাদে আসা একটি জরিপে দেখা যাচ্ছে যে এই মহামারীর প্রভাবে পৃথিবীর ৪০ শতাংশ মানুষ মানসিক চাপে আছে। অর্থাৎ করোনা মহামারীর কারণে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে ভয়াবহ আকারে। এর কারণটিও সুস্পষ্ট। পৃথিবীর প্রায় ৩ বিলিয়ন মানুষ এই মহামারীর সময়ে একটা দীর্ঘ সময়ে লকডাউনে ছিল। অর্থাৎ সেই সময়টায় সবাইকে গৃহবন্দী হয়ে জীবন যাপন করতে হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। এই দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীরা ঘরবন্দী জীবন যাপন করছে। একটি নির্দিষ্ট বয়স সাধারণত পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বাহিরের পরিবেশে সহপাঠী ও বন্ধু বান্ধবদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ, পড়াশোনা, খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা ইত্যাদির মাধ্যমে একটি স্বাভাবিক মনস্তাত্ত্বিক উন্নয়ন সম্ভব হয়। সেটি করার সুযোগটি এখন হচ্ছে না। তাই এই তরুণ শিক্ষার্থীদের একটি দীর্ঘ সময় ধরে একরকম মনস্তাত্ত্বিক অবরুদ্ধতার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত ঘরে থাকার কারণে অলস সময় ব্যয় হচ্ছে দিনের অধিকাংশ সময়ে। বিভিন্ন দেশের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে শিশু কিশোরদের আচরণে তাই বিভিন্ন প্রভাব দেখা দিচ্ছে যা পূর্বে ছিল না। আশঙ্কাজনকভাবে তাই শিশু-কিশোরদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী মানসিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। এছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক অভিভাবকদের মধ্যেও হতাশা ও দুশ্চিন্তাজনিত সমস্যা ব্যাপক হারে দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ অভিভাবকদের মধ্যেও দীর্ঘসময় ঘরবন্দী থাকার কারণে মানসিক চাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই মানসিক চাপ বা সমস্যা মহামারী পরবর্তী সময়ে প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছে। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে তাই এই মহামারী চলাকালীন সময়েও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন দৃষ্টি রেখে বিভিন্ন অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। শুধু এই মহামারী সময়েই না, এমনি সময়গুলোতেও দেখা গেছে যে উন্নত দেশগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যপারে সবসময়ে অনেক বেশি জোর দেয়া হয় এবং সেখানকার একদম স্কুল পর্যায় থেকে কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আলাদা কাউন্সিলিং সেকশন থাকে। এবং সেখানে মানসিক স্বাস্থ্য ও সমস্যা বিশেষজ্ঞ এবং এবিষয়ে জনবল ও প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমও খুবই দক্ষ ও সুপরিকল্পিত।

তবে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যপারটিতে আলাদা ভাবে জোর দেয়া হলেও বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো কিংবা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্যকে খুব বেশি গুরুত্বের সাথে দেখা হয় না।

আমাদের বাংলাদেশের কথাই যদি ধরি তবে ২০১৮-১৯ এর বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্য জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রাপ্তবয়স্ক দের মধ্যে ১৬% মানুষ বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় ভুগছে। ৭% ভুগছে ডিপ্রেশনে। এবার যদি অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু-কিশোরদের কথা ধরি তবে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৮% শিশু-কিশোর বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় ভুগছে। এবং ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে মানসিক সমস্যায় ভুক্তভোগীদের ৯০%ই কোনো প্রকার চিকিৎসা নিচ্ছেনা বা পাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞ দের মতে, এর মূল কারণ হচ্ছে আমাদের দেশে মানসিক স্বাস্থ্য এখনো অবহেলিত। যেকোনো শারীরিক স্বাস্থ্যকে যতটা গুরুত্বের সাথে দেখা হয়, মানসিক স্বাস্থ্যকে ততোটা গুরুত্বতো দেয়া হয়ই না বরং এখনো মানসিক সমস্যাকে ঠাট্টা বিদ্রুপ বা হালকা বিষয় হিসেবে নেয়া হয়। অনেকে মানসিক সমস্যাকে সমস্যা বলেই মনে করে না। কারণ দীর্ঘদিন ধরে ‘স্বাস্থ্য’ শব্দটিকে শুধু ‘শারীরিক’ শব্দটির মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য বলতে যে শারীরিক, মানসিক, আত্মিক ও সামাজিকভাবে ভালো থাকাকে বোঝায় তা আমাদের সমাজে প্রায়ই ভুলে যাওয়া হয়। এছাড়া দেশে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছে মাত্র ২২০ জন, যা জনসংখ্যার অনুপাতে খুবই নগন্য। তাই আমাদের দেশে মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় যে দেশের শিশু-কিশোরদের মধ্যে এই মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এটা অবশ্যই কাম্য না। এবং কিশোর বয়সী যারা রয়েছে অর্থাৎ ১৩-১৯ বছরের যারা, তাদের মানসিক সমস্যাগুলো ভয়াবহ প্রভাবও বিস্তার করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ২২% হলো কিশোর-কিশোরী। এবং বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক জরিপেও এটাই পরিলক্ষিত হয় যে এই বয়সী ছেলে মেয়েদের ১৮% মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় ভুগছে। অর্থাৎ পরিসংখ্যানটা কিন্তু ভয়াবহ।

১৩-১৯ এই বয়সটাকে বিদেশে বলে টিনএজ বাংলায় বলা হয় বয়ঃসন্ধিকাল। এই সময়টাতে একটি শিশু ক্রমশ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষে পরিণত হয়। এই সময়টাতে প্রতিটি কিশোর-কিশোরীর শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন পরিবর্তন আসে। এই সময় তারা অনেক নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয় এবং নতুন অনেককিছু ভাবতে শুরু করে। গবেষণায় দেখা যায় এই বয়সীদেরকে সঠিক যত্ন নিলে ও সুযোগ সুবিধা দিলে এরা ভবিষ্যতটা অনেক সুন্দরভাবে গড়তে পারবে। কিন্তু আমাদের দেশে ঠিক তার উল্টোটা হয়। এই বয়সীদের মধ্যেই মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা বেশি দেখা যায়। শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের মধ্যে একটা বড় অংশ এই টিনএজডরা। এর প্রধান কারণ সাধারণত তার পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেশ ও প্রেক্ষাপট। পারবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা, চাপ এগুলো বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে।

শহুরে পরিবেশে বেড়ে ওঠা কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সাধারণত মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা বেশি দেখা যায়। এর একটি অন্যতম কারণ পরিবার কাঠামো। শহুরে পরিবার গুলো সাধারণত ছোট ও একক পরিবার হয়। অনেকসময় দেখা যায় যে এসব পরিবারে বাবা মা দুজনই চাকুরিজীবী হওয়ায় সন্তানকে ঠিকমতো সময় দিতে পারে না। যার ফলে সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ যত্নের অভাবে ঠিকভাবে হয় না। এছাড়া অনেকক্ষেত্রে যেসব পরিবারে একটিমাত্র সন্তান, এবং বাবা মা দুজনই চাকুরিজীবী, সেসব পরিবারের সন্তানেরা সাধারণত একটা দীর্ঘসময় একা থাকতে থাকতে একটি মানসিক ট্রমার শিকার হয়। অর্থাৎ এসব ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কিশোর-কিশোরীদের প্যারেন্টিং এর অভাবে একাকীত্ব একরকম মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করে। ব্যাড প্যারেন্টিং, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কিশোর-কিশোরীদের মানসিক

স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ। বাংলাদেশের ৮০% অভিভাবক প্যারেন্টিং জিনিসটা বুঝে না। তারা তাদের নিজেদের সন্তানকে না বুঝে বিভিন্নভাবে মানসিক সমস্যার দিকে ঠেলে দেয়। এদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের ব্যক্তি জীবনের অপ্রাপ্তিগুলোকে সন্তানকে পাওয়াতে চায়। তাই তারা সন্তানের উপর বিভিন্ন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়। তারা সন্তান কী হবে জন্মের পরই সেটা ঠিক করে দেয়, সন্তানের নিজের কোনো স্বপ্ন আছে কি-না তা জানতে চায়ও না, পূরণ করার উৎসাহ তো দেয়ই না। এরা কোনো কিছুতেই সন্তুষ্টি বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। নিজের সন্তানের দাম তো দেয়ই না বরং এরা সারা জীবন অন্যের সাথে নিজের সন্তানকে তুলনা করে। ‘অমুক অংকে ৯৯ পেলো তুমি কেন ৬০ পেলা’। এইধরনের প্রশ্ন করে তারা সন্তানের জীবনে একটা ভয় ঢুকিয়ে দেয়। তারা সন্তানকে নতুন ব্যপারে উৎসাহ কম দেয় বরং অপরের সাথে তুলনা করে ছোট করতে থাকে। এভাবে অধিকাংশ সময়ে অভিভাবকরাই সন্তানের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ ছেলে-মেয়ে তাদের শৈশব বা কৈশোরের একটা দীর্ঘসময় হীনমন্যতায় ভোগে শুধুমাত্র তাদের বাবা-মার অতিরিক্ত শাসনের কারণে। কোথাও যেতে হলে, কোথাও কিছু করতে হলে, পড়াশোনার পাশাপাশি আরও কিছু করতে চাইলে, সবজায়গাতেই এখনো রক্ষনশীল পরিবারের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সুযোগ দেয় না। যদি বা দেয়ও তাও অনেক অনুরোধের পর। আবার এসব ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যও কম হয় না। মূলত লিঙ্গ বৈষম্যের কনসেপ্টটা একটা মানুষের মাথায় ঢুকে পরে শৈশবেই যখন তার পরিবারেই তাকে ও তার বিপরীত লিঙ্গের ভাই/বোন এর সাথে ভিন্ন আচরণ করা হয়। কোনো জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছেলে সন্তানকে যেই অনুমতিটা খুব সহজেই দেয়া হয়, মেয়ে সন্তানকে সেটা ততো সহজে দেয়া হয় না, কিংবা হয়তো দেয়াই হয় না। এক্ষেত্রে অবশ্য আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ও পরিবেশ প্রেক্ষাপটও অনেকাংশেই দায়ী। সমাজ ব্যবস্থার কারণে অভিভাবকরাও একরকমের প্রভাবিত হয়েছে এটার দ্বারা। কিন্তু শৈশবে বা কৈশোরে অভিভাবকদের এধরনের আচরণ সন্তানদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত শাসনের কারণে অনেক সন্তানের মনে তার নিজের বাবা মার প্রতি মারাত্মক ভয় বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঘৃণারও জন্ম নেয়। একটি মানুষের জন্য তার বাবা-মা সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তি বা ভালবাসার ব্যক্তিত্ব হওয়ার কথা, এটাই স্বাভাবিক। সেখানে কোনো সন্তান তার বাবা-মাকে ঘৃণা করবে এটা কত বড় একটা ভয়ংকর ব্যপার তাই না? তবে এটা হচ্ছে, শুধু আমাদের দেশেই না বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এটা ঘটছে। যেটি বয়ঃসন্ধিকালে মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার একটা বিরাট কারণ।

এছাড়া উন্নত দেশগুলো এবং বাংলাদেশেও কৈশোরে মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে সমস্যার একটি অন্যতম প্রধান কারণ হলো বাবা-মার জটিল সম্পর্ক। অনেক পরিবারেই দেখা যায় বাবা-মা প্রতিনিয়ত সন্তানের সামনে ঝগড়া করে। অনেক ক্ষেত্রে হাতাহাতিও হয়। শৈশবের এই দৃশ্যগুলো একটি মানুষের মস্তিষ্কে আজীবন গেঁথে যায় বলে অনেক মনোবিজ্ঞানীই মনে করেন। আমাদের দেশ অনেক পরিবারে সন্তানের সামনে বাবা সন্তানের মাকে অপমান করে এমনকি গায়ে হাত তুলে, গুরুতর আঘাতও করে। আবার বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনা তো আছেই। আমাদের দেশে তুলনামূলক কম হলেও বিদেশে বিবাহ বিচ্ছেদ একটি নিয়মিত ঘটনা। কোনো পরিবারে বাবা মার মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের ফলে সমস্ত পরিবারটি ভেঙে দুভাগ হয়ে যায়। মাঝখানে পড়ে যায় সন্তানটি, যে জানে না তার দোষ কোথায়! সন্তানটি কখনো তার মায়ের সঙ্গও পুরোপুরি পায় না, আবার বাবার সঙ্গও না। মনোবিজ্ঞানীদের মতে এইধরনের দৃশ্য বা ঘটনা শৈশবে একটি শিশুর সমস্ত মানসিক অবস্থাকেই পরিবর্তন করে দেয়। অনেকক্ষেত্রেই মানসিক বিকারগপ্ত অপরাধীদের ব্যকগ্রাউন্ড বা পারিবারিক তথ্য ঘাটলে এধরনের ঘটনা উঠে আসে। তাই শৈশব বা কৈশরের মানসিক চাপ বা পারিবারিক ভয়ংকর দৃশ্য একটি মানুষের সমগ্র জীবনের মানসিক স্বাস্থ্যে বিরাট ক্ষতি করে। আর এভাবে সন্তানের মানসিক অবস্থা নষ্ট হওয়ার একটি মূল কারণ ব্যাড প্যারেন্টিং। এই কিশোর-কিশোরীরা অভিভাবকদের অতিরিক্ত শাসনের চাপ দীর্ঘদিন সহ্য করতে করতে একটা পর্যায়ে দমে যায়। মুক্তির জন্য তখন অনেকে ঘর ছেড়ে পালায়, অনেকে জড়িয়ে যায় অপরাধ জগতের সাথে। কেউ আবার আত্মহত্যার মতো ভয়ংকর সিদ্ধান্ত নেয়।

শুনতে অবাক শোনালেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টিনএজ ছেলে মেয়েদের একটা বিরাট অংশ জীবনে একবার হলেও আত্মহত্যার কথা ভাবে। তাদের জীবন অনেকসময় এতটাই দূর্বিষহ হয়ে উঠে যে এটা থেকে মুক্তি পেতে তারা জীবনটাই শেষ করে দেয়ার কথা ভাবে। এবং একটা বিরাট সংখ্যার ছেলে মেয়ে এভাবে আত্মহত্যা করেও এবং আত্মহত্যার চেষ্টাও করে অনেকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী পৃথিবীব্যপী ১৪তম উল্লেখযোগ্য মৃত্যুর কারণ হচ্ছে আত্মহত্যা। এবং সকল মৃত্যুর পরিসংখ্যানের মধ্যে ১.৫ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী। আরও একটি জরীপে এসেছে যে প্রায় এক মিলিয়ন মানুষ প্রতিবছর আত্মহত্যার কারণে মারা যায়। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একেকটি আত্মহত্যাজনিত মৃত্যু হয়। শুনে অবাক লাগছে তাই না! জী অবাক লাগার মতোই। তবে এটিই বাস্তবতা। এবং যেখানেই আত্মহত্যার কথা আসছে সেখানেই মানসিক স্বাস্থ্যের কথা আসবে। এত বেশি আত্মহত্যার কারণ কি এটিই নির্দেশ করে না যে বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা, ডিপ্রেশন এগুলো ভয়াবহ একটি রোগে পরিণত হয়েছে। এবং এটি আমাদের তরুণ প্রজন্মের মাঝেও ব্যপকহারে দেখা দিচ্ছে! যান্ত্রিক জীবন, শহুরে পরিবেশের অভ্যস্ততা, কর্মব্যস্ততা, পারিবারিক অস্থিতিশীল অবস্থা, ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোেড়ন ইত্যদি বিভিন্ন বিষয় আছে যা আমাদের মধ্যে মানসিক অস্তিরতা বা চাপ সৃষ্টি করে। এগুলোর কোনো কোনোটি মস্তিষ্কের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবও ফেলে। যার ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের বিরাট ক্ষতি হয়, সৃষ্টি হয় বিভিন্ন মানসিক রোগ বা সমস্যা। বাড়ে আত্মহত্যার মতো আরও ভয়ংকর ও সাংঘাতিক ঘটনা। এমনকি বাড়তে পারে নৃশংস অপরাধমূলক ঘটনা।

এগুলো যাতে না হয় তারই জন্য প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্যের নিয়মিত যত্ন। পারিবারিক পর্যায়ে শুড প্যারেন্টিং ব্যপারটিকে জোড় দিয়ে দেখতে হবে, কারণ মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি শুরু হয় ঐ পরিবারের থেকেই। অভিভাবকদের সাথে সন্তানদের সম্পর্ক সুন্দর ও বন্ধুসুলভ হওয়াটাই আবশ্যক। এছাড়া সব দেশেই একদম স্কুল পর্যায় থেকে কর্মক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় পর্যন্ত মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নের জন্য আলাদা কাউন্সিলিং সেকশন প্রয়োজন। দেশে মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্বের সাথে দেখা প্রয়োজন সাথে সাথে মনোবিজ্ঞান, মানসিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত। এসব বিষয়ের জন্য কর্মক্ষেত্রে যথেষ্ট সুযোগসুবিধা রাখা উচিত।

কতো কিছুই তো উচিত বললাম যদিও। তবুও সবকিছু কি করে সম্ভব হবে? হয়তো আমরা কেউই বলতে পারি না। কিন্তু আমরা নিজেদের জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব চেষ্টাটা কিন্তু করতেই পারি। কে জানে হয়তো আমাদের কাছের পরিচিত মানুষটিই মানসিক সমস্যায় ভুগছে। আমরা তার এধরনের লক্ষণ দেখলে তাকে একটু সময় দেয়ার চেষ্টা করতে পারি। তার সমস্যাগুলো জানার চেষ্টা করতে পারি। সমাধান হয়তো নিজেরা সম্পূর্ণ না দিতে পারলেও, তার কথাগুলো শুনতে পারি, সঙ্গ দিতে পারি। এভাবে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা আমাদের পরিচিত

মানুষদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন একটু হলেও নিতে পারি, যার অবশ্যই সুফল দেখা যাবে।

একবিংশ শতাব্দীর এই যান্ত্রিক সভ্যতায়, মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা একটি নিয়মিত ব্যপার হয়ে গেছে। এখনি সময় এটিকে অবহেলা না করে, গুরুত্বের সাথে দেখা। প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়া। নাহলে হয়তো দেরি হয়ে যাবে এবং কে জানে, হতে পারে এই কারণে আমাদের প্রজন্মকে বা পরের প্রজন্মকে আরও বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে।

না অনেকক্ষণ জেগে আছি। ক্লান্ত লাগছে ঠিকই তবে ঘুম নেই চোখে। মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবতে ভাবতে আমারই দেখি এখন মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে গেছে । এইযে রাত, অনিদ্রা, আরও কতদিন থাকবে জানি না। আমার মতো আরও কত মানুষ এভাবে রাত জেগে আছে। কতজনের অনিদ্রার কারণ কতরকম! কতজনের কত গল্প মনের! সেগুলোও আরেক রহস্য! এই রহস্যময় পৃথিবীর সব গল্প, সব অনিদ্রার কারণও জানতে পারব কি-না বা তা আদৌও সম্ভব কি-না জানি না। কুকুরগুলো হঠাৎ হঠাৎ অদ্ভুত ভাবে ডেকে উঠছে, কেন ডাকছে তাও জানি না। বুঝছি না, আচ্ছা ওরাও কি রাতে অনিদ্রায় ভোগে? আর ওদের মাথায় যে চিন্তাই আসে চেঁচিয়ে সেটা প্রকাশ করে দেয়? আমরা মানুষরা কেন পারি না সেটা? এই নিস্তব্ধতা এত বেশি ভয়ঙ্কর লাগে আজকাল, যাই হোক এক নতুন ভোরের অপেক্ষায় আছি, অপেক্ষাটা এত তীব্র যে ঘুমকে কাটিয়ে দিচ্ছে। এতকিছুর মধ্যেও একটা জিনিসের ভরসায় আছি, সৃষ্টিকর্তার সেই অমর বাণী, "নিশ্চয়ই কষ্টের পরই স্বস্তি আছে তাই আমিও ভাবছি নিশ্চয়ই কেটে যাবে এই আঁধার, রাতের শেষে নতুন সূর্য উঠবে একদিন, আঁধার কেটে নতুন ভোরের আলোয় রাঙিয়ে দিবে চারিদিক! আমি আছি সেই নতুন ভোরের অপেক্ষায় । 
তো আজকে এই পর্যন্তই । মানুষ মাত্রই ভুল হয় । তাই ভুল হলে ক্ষমা করে দিয়েন । আশা করি পোস্টটি সবার ভালো লেগেছে । কোনো কিছু না বুঝতে পারলে কমেন্টে জানান । আপনি চাইলে এই লিংক এ ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে join করতে পারেন । আর যেকোনো প্রয়োজনে ফেসবুকে  আমার সাথে যোগাযোগ করবেন । 

The post পড়ে নিন একটি আধুনিক চমৎকার গল্প [depression] appeared first on Trickbd.com.

২বার নিষিদ্ধ হওয়া অর্ষার সাহসী) ওয়েব সিরিজ এখন Chorki তে | সাহসী ওয়েব সিরিজ বাংলা ক্লিন রিভিউ।

Posted:


আচ্ছা আপনার জীবনে করার সবচেয়ে সাহসী কাজ কনটি ? হয়তো একা ঘরে কোন ভুতের সিনেমা দেখেছেন।
কিংবা রাস্তায় বন্ধুদের হাত ছেড়ে হুট করে একাই পার হয়ে গেছেন , কিংবা বাসে অশ্লীল দৃষ্টিতে আপনার দিকে তাকানো কোন যুবকের বিরুদ্ধে গলা উঁচিয়ে প্রতিবাদ করেছেন।

এর মধ্যে যেকোনো একটি হতে পারে আপনার সাহসের গল্প কিন্তু পরিবার সমাজের বিরুদ্ধে গিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন কখনো?
তাহলে সেটি ই আপনার প্রকৃত সাহসের গল্প।

কথা বলছিলাম web film সাহস নিয়ে।

১৬ ই জুন ওটিটি তে মুক্তি পেয়েছে সাজ্জাদ খান পরিচালিত সিনেমা সাহস, চলুন আজ সাহস করে কথা বলি সাহস নিয়ে। প্রথমেই আমরা গল্প নিয়ে কথা বলবো বাগেরহাট শহরের নীলা ও রায়হান দুজন দুজনকে দীর্ঘদিন ধরে ভালোবাসে স্বপ্ন দেখে একসাথে ঘর বাঁধার কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এলাকায় একদল প্রভাবশালী মস্তান।

গল্প টা শুনতে হয়তো খুবই সহজ মনে হচ্ছে তবে ততটাই কিন্তু জটিল , ট্রেলারে আমরা দেখেছি একটি ধর্ষণের গল্প একটি সাহসের গল্প সাহস। হয়তো এমন গল্প আপনি হরহামেশাই শুনেছেন। খবরের কাগজে পড়েছেন টেলিভিশনে দেখেছেন। স্ক্রিনে দেখেছেন, কিন্তু উপলব্ধি করেন নি কখনো। সাহস আপনাকে সেই উপলব্ধি করাবে।

বাগেরহাটে যে গল্পটা দেখানো হয়েছে, হয়তো আপনারা এই গল্পটি দেখছেন অথবা টেলিভিশনে দেখছেন, যেটা বলছিলাম কিন্তু এরকম অনেক নীলার ই গল্প আছে যেগুলি আমরা জানতে পারিনা।
তো এই সিনেমাটার মাধ্যমে এই গল্পটার মাধ্যমে যদি আমাদের দেশের একটা নীলা ও সাহস দেখায় তাহলে হয়তো সেখানেই হবে এই সিনেমার সার্থকতা।

এবার একটু স্ক্রিন প্লে নিয়ে কথা বলি।

গল্পের সঙ্গে মিল রেখে স্ক্রিনপ্লে করা হয়েছে, খুব বেশি লেন্ডি করা হয়নি।
যার কারণে একটুও বোরিং লাগবে না আপনার। ক্যামেরার কাজ ও খুবই সাবলীল লেগেছে।
ন্যাচারাল লেগেছে, অতিরঞ্জিত কিছু দেখানো হয়নি।
তবে গল্পের শেষের দিকটায় এসে হয়তো দর্শক এর এক্সপেক্টেশন বেড়ে যাবে।
কারণ যেহেতু টাইটেলে আমরা দেখেছি সাহস।

কিন্তু কিছুটা তাড়াহুড়ো করে হয়তো এখানে ইতি টানা হয়েছে গল্পের। তবে নিঃসন্দেহ সাহসের যারা গল্পকার যিনি।
অনুপম দাস ও চিত্রনাট্যকার হাসান তারা অবশ্যই নিজেদের জায়গায় নিজেদের জায়গাটা দেখিয়েছেন।

এবার আমরা একটু সাউন্ড নিয়ে কথা বলি।

সাউন্ড এ ব্যাপারটা আমাদের দেশীয় কনটেন্টে কিছুটা কিন্তু গোলমেলে থাকে।
এখানেও সাউন্ডের অস্বাভাবিক ওঠানামা। চরিত্র রা যখন কথা বলছে।
তখন একটু আপডাউন এর ব্যাপারটা বোঝা গেল।

কিন্তু এখানে গানগুলো কিন্তু খুবই সুন্দর হয়েছে, বিশেষ করে প্রেমের একটা গান আছে যেটা খুবই সুন্দর।

এবার আমরা ডায়লগ নিয়ে কথা বলবো।
এছাড়াও এই সিনেমার ডায়লগ নিয়ে আলাদা করে কথা বলব কারণ পুরো সিনেমায় একটা আঞ্চলিক ভাষা দিয়ে নির্মিত হয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গের বাগেরহাটের ভাষায় নির্মিত হয়েছে *সাহস*
যারা দক্ষিণবঙ্গের তারা হয়তো দেখলেই সহজেই বুঝতে পারবেন।
রি লাইট করতে পারবেন।
যে কারণে অধিকাংশ আর্টিস্ট তারা, সেখানকার স্থানীয় বাগেরহাটের থিয়েটারকর্মী নিয়েছেন।

সবার ভাষাতেই মোটামুটি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে গল্প কারণ আমাদের দেশীয় কন্টাক্ট এ যে কাজটি হয় যে একটি আঞ্চলিক নির্মিত হলে আর্টিস্টরা অধিকাংশ সময় ই ভাষাটা খুব একটা রপ্ত করতে পারে না।


এখানে খুব দারুণ আধিপত্য যেটা বলছিলাম মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন আর্টিস্টরা, তবে কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী অর্ষা।
কোন কোন জায়গায় আঞ্চলিকতা ছেড়ে শুদ্ধ ভাষায় ভাষায় কথা বলতে শোনা যায় অভিনেত্রী অর্ষার।
তবে পুরোপুরি না হলেও কিছুটা হলো গুরু জঙ্গলে দোষ এখানে ধরা পড়ে অভিনেত্রীর।

যদিও বলতে যদি তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বা পড়াশোনার স্থান নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হত। তাহলে কিছু একটা যুক্তি দাঁড় করানো যেত।

আরেকটি বিষয় বলে রাখা ভালো যে গল্পে পছুর আঞ্চলিক গালিগালাজ ব্যবহার করা হয়েছে, যা হয়তো খুবই ন্যাচারাল।

এবং আরো একটি বিষয় বলে রাখতে চাই এই গল্পের ডায়লগ লেখার সঙ্গে কিন্তু জড়িত ছিলেন খোদ অভিনেতা মোস্তাফিজুর নূর ইমরান।

আমরা সবশেষ অভিনয় নিয়ে কথা বলতে চাই।
এককথায় অভিনয় নিয়ে কিছু বলতে হলে বলতে হবে, একদম পারফেক্ট প্রত্যেকটি চরিত্রের স্ক্রিন প্রেজেন্ট চোখে লাগার মত।

মোস্তাফিজুর ইমরানকে পর্দায় অভিনয় করতে দেখা একটা প্রিভিলেজ।
কেন এই মেধা আরো কাজে আসেনি। সেটা ভাববার বিষয়।

এছাড়া ওরসা বরাবরের মতই খুবই সাবলীল ছিলেন দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন তবে, আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন নীতি বাচক চরিত্রে কাজ করা তরুণ অভিনেতারা।
এত ভালো কাজ করেছেন যে এক মিনিটের জন্য ও স্ক্রিন থেকে কিন্তু আপনার চোখ সরবে না।

এমনকি ছোট ছোট চরিত্রে কাজ করা। রায়হানের চাচা নীলার বাবা তারাও মনে রাখার মত পারফরমেন্স দিয়েছেন।

তবে অপ্রয়োজনীয় জন্য লেগেছে। কিছূ টা অপ্রয়োজনীয় বলবো।
খাইরুল বাশার এর চরিত্র অভিনেতা তিনি খুবই ভালো এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই তবে তার স্ক্রীন পেজেন্ট খুবই কম।
এমনকি হার্ডলি একটা কি দুইটা ডায়লগ আছে।

তবে আমরা যদি তাকে গেস্ট হিসেবে ভাবি তাহলে জিনিসটা খুবই সুন্দর দাঁড়ায়।
কিন্তু এত ছোট চরিত্রের প্রচারণায়। তার ছবি বা নাম এত বিশাল আকার এ কেন ব্যবহার করা হয়েছে।
তার এক্সপ্লেনেশন নির্মাতাই দিতে পারবেন।

হয়তো তাকে কিছুটা সারপ্রাইজ হিসেবে রাখলে ই আরো অনেক ভালো লাগবে।

সবশেষ বলতে চাই তরুণ নির্মাতা সাজ্জাদ খান এর প্রথম সিনেমায় আসলেই সাহসের পরিচয় দিয়েছেন নির্মাতা।
তবে তার কাছে সামনে আরো প্রত্যাশা থাকবে দর্শকের।

আমরা রিভিউ এর একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি।
এবং আমাদের বিচারে আজকে *সাহস* পাচ্ছে ১০ এর মধ্যে ৮।

সেইসাথে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি দেখা হচ্ছে ঠিক আগামীকাল।
সে পর্যন্ত ট্রিকবিডির সঙ্গেই থাকুন।❤

The post ২বার নিষিদ্ধ হওয়া অর্ষার সাহসী) ওয়েব সিরিজ এখন Chorki তে | সাহসী ওয়েব সিরিজ বাংলা ক্লিন রিভিউ। appeared first on Trickbd.com.

বাচ্চাদের জন্য একটি সেরা খেলনা গাড়ি রিভিউ সাথে থাকছে Free Giveaway Contest

Posted: 27 Jun 2022 03:52 AM PDT

আজ আমরা ছেলে ও মেয়েদের জন্য zest 4 toyz Police Car Toy রিভিউ এবং টেস্টিং করব। তাছাড়াও আপনাদেরকে এক সুন্দর কনটেস্ট এর ব্যাপারে জানাবো যাতে অংশগ্রহণ করলে আপনিও পেয়ে যেতে পারেন এই সুন্দর খেলনা গাড়িটি। এই খেলা গাড়িটি ডিজাইন খুব সুন্দর লেগেছে আমার, কিন্তু বাইরের আবরণ নরম প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকা কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে তা নিয়ে আমার আশংকা আছে, যদি বাইরে প্লাস্টিক কি আরেকটু শক্ত হতো তাহলে এই খেলনাটি আরো সুন্দর ও নাম্বার ওয়ান চয়েস হতো বাচ্চাদেড় জন্য ।তবে আমার মতে এই খেলনা গাড়িটির রেটিং 4.5 – 5.0 হওয়া উচিত।

খেলনাটির মূল্য: $9.19 মাত্র

zest 4 Toyz Police Car Toy Review and Testing

Watch Now

কিভাবে খেলনার Giveaway Contest এ পার্টিসিপেট করবেন?

    • প্রথমে এই লিঙ্কে যান Click hare⬅
    • তারপরে একটু স্ক্রল করে Giveaway Section এ আসুন |
    • তারপর “Use Your Email ” এ ক্লিক করুন|
    • এরপর নিজের নাম ও Email সঠিক ভাবে লিখুন । তারপর Enter এ ক্লিক করুন।
    • তারপর আপনার সামনে নিচের ছবির মতো একটি ইন্টারফেস আসবে।
  • প্রথমেই আপনাকে “Subscribe Our YouTube Channel to Unlock” এ ক্লিক করে “Draw With Pappu ” YouTube Channel টি সাবস্ক্রাইব করুন।
  • তারপর ব্যাক চলে আসুন|
  • দেখুন “Subscribe Our YouTube Channel to Unlock” বাটনের পাশে একটি টিক চিহ্ন উঠেছে মানে টাস্ক আপনার সম্পূর্ণ হয়েছে ।
  • ওপর দিকে স্ক্রল করলে দেখতে পাবেন আপনার একাউন্টে ৫ পয়েন্ট যোগ হয়েছে।
  • এইভাবে Watch My Video তে ক্লিক করে একটি 3 মিনিটের ভিডিও সম্পূর্ণ দেখলে আপনি তিনটি কয়েন পাবেন । যদিও ভিডিওটি আপনারা প্রতিদিন দেখেন তো প্রতিদিনই আপনারা তিনটি করে কয়েন পাবেন। প্রতিদিন এসে আপনি আপনার ওই একই ইমেইল আইডি ও নাম দিয়ে লগইন করতে পারবেন।
  • ওর একটা ফেসবুক পেইজ লাইক করে আপনি 3 টি কয়েন পাবেন।
  • যদি রেফারে ফ্রেন্ড করে কোন কয়েন না পান তাহলে আপনি প্লে স্টোর থেকে বড় ফেসবুক এপপ্সটি ডাউনলোড করে সেটা দিয়ে লগইন করে আর একবার ট্রাই করে দেখবেন।
  • এইভাবে 33 দিন শেষ হওয়ার আগে যার বা যাদের কয়েন সবথেকে বেশি হবে তাদের মধ্যে পাঁচজনকে Draw With Pappu টিম দ্বারা লটারির মাধ্যমে Winners নির্বাচন করা হবে এবং তাদের সাথে Email এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা হবে।
  • মনে রাখবে কনটেস্ট জয়েন করার আগে Giveaway Rules ভালো করে পরে নেবেন।

 

The post বাচ্চাদের জন্য একটি সেরা খেলনা গাড়ি রিভিউ সাথে থাকছে Free Giveaway Contest appeared first on Trickbd.com.

Post a Comment

0 Comments