Search box..

[পর্ব ৩৫]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[উলুঘ বেগ]

[পর্ব ৩৫]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[উলুঘ বেগ]


[পর্ব ৩৫]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[উলুঘ বেগ]

Posted:


আসসালামু আলাইকুম

আশা করছি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন।

আমার আগের সব পর্ব:-
ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ১
ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ২

ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ৩

ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ৪

ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ৫

ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ৬

[পর্ব ৭] ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[নাসির আল দীন আল তুসি:-ত্রিকোণমিতির স্রষ্টা,জিজ-ইলখানি উপাত্তের উদ্ভাবক]

[পর্ব ৮] ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আবুল ওয়াফা:-ত্রিকোণমিতির মূল স্থপতি]

[পর্ব ৯]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আবু মারওয়ান/ইবনে জহুর:-পরভূক জীবাণু বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা,পরীক্ষামূলক সার্জারির জনক, পরীক্ষামূলক শারীরবৃত্তীয়, মানুষের ব্যবচ্ছেদ, অটোপস এর অগ্রদূত]

[পর্ব ১০]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আল মাওয়ার্দি:-বিশুদ্ধতম গণতন্ত্রের প্রবক্তা]

[পর্ব ১১]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আল জাজারি:-মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তিবিদ]

[পর্ব১২]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আবুল কাসিম আল জাহারাবী:-অপারেটিভ/আধুনিক সার্জারীর জনক]

[পর্ব১৩]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আব্বাস ইবনে ফিরনাস:-বিমানের জনক,প্রথম যিনি উড়েছিলেন আকাশে]

[পর্ব ১৪]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আল-কিন্দি:-ফার্মাকোলজির অগ্রদূত, পেরিপ্যাটেটিক দর্শনের জনক,সাংকেতিক বার্তার পাঠোদ্ধারকারী,সাইকোথেরাপি ও সংগীত থেরাপির অগ্রদূত]

[পর্ব ১৫]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[ফাতিমা আল ফিহরি:-বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যে নারী]

[পর্ব ১৬]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আল-খৈয়াম:-বাইনমিয়েল থিওরেমের প্রথম আবিষ্কারক,এনালিটিক্যাল জ্যামিতির জনক]

পর্ব ১৭]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[জাকারিয়া আল রাযি:-আরবীয় চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রাণপুরুষ]

[পর্ব ১৮]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আল ফারাবি:-অ্যারিস্টটলের পর দর্শনের সেকেন্ড মাস্টার,পদার্থ বিজ্ঞানে শূন্যের অবস্থান নির্ণয়কারী]

[পর্ব ১৯]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আল জারকালি:-সূর্যের সর্বোচ্চ উচ্চতার গতি প্রমাণকারী]

[পর্ব ২০] ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আলী ইবনুল-আব্বাস আল-মাজুসী:-ধাত্রীবিদ্যা এবং পেরিনেটোলজি এর অগ্রদূত]
[পর্ব ২১]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[ইবনে তোফায়েল:-প্রথম দার্শনিক উপন্যাস রচয়িতা]

[পর্ব ২২]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আল বালখি:-যিনি সর্বপ্রথম দেহ ও আত্মা সম্পর্কিত রোগসমূহকে সফলভাবে আলোচনা করেছিলেন]

[পর্ব ২৩]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[ছাবেত ইবনে কোরা:-স্টাটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা]

[পর্ব ২৪]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আবু কামিল:-এলজাব্রায় প্রথম উচ্চতর পাওয়ার ব্যবহারকারী]

[পর্ব ২৫]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আলী ইবনে সাহল রাব্বান আত তাবারী:-চিকিৎসা বিশ্বকোষ এর অগ্রদূত]

[পর্ব ২৬]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।

[পর্ব ২৭]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[ইবনে ইউনুস:-ঘড়ির পেন্ডুলাম আবিষ্কারক]

[পর্ব ২৮]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আল মাহানী]

[পর্ব ২৯]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[ইবনে বাজা]

[পর্ব 30]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[ফজলুর রহমান খান:-স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আইনস্টাইন,Father of tubular designs]

[পর্ব ৩১]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আবু সাহাল আল কুহি:-অঙ্কনে ব্যবহৃত কম্পাসের উদ্ভাবক]

[পর্ব ৩২]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আবদুর রহমান আল-সুফি:-তিনিই প্রথম Andromeda কে গ্যালাক্সি হিসেবে চিহ্নিত করেন]

[পর্ব ৩৩]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আল কারাজী]

[পর্ব ৩৪]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[হাবাশ আল-হাসিব আল-মারওয়াজী]

41.উলুঘ বেগ


বৈজ্ঞানিক সম্রাট উলুঘ বেগ ১৩৯৪ খৃস্টাব্দের ২২ মার্চ ইরানের সুলতানিয়া নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তৈমুর লং (১৩৩৬ – ১৪০৫) এর দৌহিত্র হলেন উলুঘ বেগ। তৈমুরের ছেলে এবং উলুঘ বেগের পিতার নাম হলাে শাহরুখ মির্জা এবং তাঁর মা ছিলেন গওহর শাদ নামে এক সম্ভ্রান্ত মহিলা। তৈমুরের জ্ঞানস্পৃহা বংশানুক্রমিকভবে উলুঘ বেগের মধ্যে সঞ্চারিত হয়।

জ্যোতির্বিদ্যা,ত্রিকোণমিতি (trigonometry) এবং গোলকীয় জ্যামিতিতে (spherical geometry) তার অবদানের জন্য তিনি বিখ্যাত। তিনি মহান মোঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্টাতা জহির উদ্দীন মোহাম্মদ বাবরের প্রৌপিতামহ।

বাল্যকাল থেকেই উলুঘ বেগ জ্ঞান পিপাসু ছিলেন। কিশাের বয়সেই তিনি কোরআনে হাফেজ হন। এরপর তিনি ইতিহাস, বিজ্ঞান, ধর্মশাস্ত্র প্রভৃতি বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। শিল্প, সাহিত্য ইত্যাদি বিষয়েও তাঁর প্রগাঢ় ভালবাসা ছিল। বিশেষভাবে বিজ্ঞানচর্চা ও গবেষণায় তিনি বিশেষ পাণ্ডিত্য অর্জনে সক্ষম হন।

তৈমুরের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র শাহরুখ সিংহাসনে আরােহণ করেন। সম্রাট শাহরুখ বিজ্ঞানী না হলেও জ্ঞানপিপাসু ছিলেন। বিজ্ঞানের চর্চায় ছিলেন। অত্যুৎসাহী।

উলুঘ বেগকে তিনি বিজ্ঞান, ইতিহাস, ধর্মশাস্ত্র ও আর্ট সম্বন্ধে বিশেষ শিক্ষাদান করেন, যুবরাজ উলুঘ বেগ তুর্কিস্তান ও ট্রান্স অক্সিয়ানার শাসনকর্তা থাকাকালে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাধনায় নিমগ্ন থাকেন এবং বিজ্ঞানের নানা শাখায় তিনি সুদক্ষ ছিলেন। জ্ঞান-বিজ্ঞান সাধনায় অন্যান্যদের প্রতি তার উৎসাহ প্রদানেও তিনি পরান্মুখ ছিলেন না।

পিতা শাহরুখের মৃত্যুর পর তিনি সিংহাসনে আরােহণ করেন। রাজনৈতিক ইতিহাসের মত তার বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসও সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। সম্রাট উলুঘ বেগ জ্যোতির্বিজ্ঞান, ত্রিকোনমিতি, জ্যামিতি প্রভৃতিতে সুপণ্ডিত ছিলেন।

পরিণত বয়সে উলুঘ বেগ তুর্কিস্থান ও ট্রান্সঅক্সিয়ানার শাসনকর্তা নিযুক্ত হন। সমরকন্দ (বর্তমানে উজবেকিস্তানে) তাঁর রাজধানী। তৈমুর এই সমরকন্দকে মুসলিম জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিবিখানম বিশ্ববিদ্যালয় জগদ্বিখ্যাত ছিল। কিন্তু তার সময়ে এটি জ্ঞান-বিজ্ঞানে তেমন উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারিনি। পিতার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করেন উলুঘ বেগ।

কিশোর শাসক শহরটিকে সাম্রাজ্যের বৌদ্ধিক কেন্দ্র হিসাবে পরিণত করার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন।
উলুঘ বেগ সমরকন্দে সুউচ্চ গম্বুজের বহু খানকা ও বহু মসজিদ নির্মাণ করেন এবং তিনি সেখানে অধ্যয়নের জন্য অসংখ্য ইসলামী জ্যোতির্বিদ ও গণিতবিদদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

জ্যোতির্বিজ্ঞান

জ্যোতির্বিদ্যায় উলুঘ বেগের সবচেয়ে বিখ্যাত শিষ্য ছিলেন আলী কুশচি ( ১৪৪৪ সালে মারা যান)। কালি জাদা আল-রুমী ওলুগ বেগের মাদ্রাসার সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য শিক্ষক ছিলেন এবং পরবর্তীতে জ্যোতির্বিদ জামশিদ আল-কাশি কর্মীদের সাথে যোগ দিতে এসেছিলেন।

এখানে তিনি ১৪২০ সালে ইসলামীয় সভ্যতার প্রাচীনতম বিশাল মানমন্দির স্থাপন করেন। এই সকল নির্মাণ কাজে তার গভীর স্থাপত্যবিদ্যা ও শিল্পকলার স্বাক্ষর বর্তমান ছিল।

মানমন্দিরটিতে ছিল একটি বিরাট মধ্যরেখা। মধ্যরেখা বরাবর পাহাড়ে ২ মিটার প্রশস্ত একটি গর্ত খনন করা হয়। টেলিস্কোপ নিয়ে কাজ করার সুযোগ না থাকায় বেগ ফাখরি সেক্সট্যান্ট নামে পরিচিত তার নিজস্ব যন্ত্র নিয়ে কাজ করতেন। এ সেক্সট্যান্টের ব্যাসার্ধ ছিল ৪০ দশমিক ৪ মিটার। উলুগ বেগের মানমন্দিরের অধিকাংশ যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছিল ভূগর্ভে।

মানমন্দিরটি ১৪৪৯ সালে ধ্বংস করা হয়েছিল এবং ১৯০৮ সালে খনন কাজ চালিয়ে এ মানমন্দিরের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়।

সমরখন্দে অবস্থিত উলুঘ বেগের মানমন্দির। স্থাপনের সময়ে দেয়ালগুলো মসৃন মার্বেল পাথরে আচ্ছাদিত ছিলো।

এটি অবস্থিত সমরকন্দের শহরাঞ্চল ছাড়িয়ে চুপান-আতা সমভূমিতে, প্রাচীন আফ্রাসিয়াব শহরের ধ্বংসস্তুপের মধ্যে।

১৯০৮ সালে রুশ প্রত্নতাত্ত্বিক ভ্লাদিমির ভিয়াৎকিন (Vladimir Viatkin)এই গোলাকার ত্রিতল মানমন্দিরের ভিত এবং মর্মর পাথরের এক বৃহদাকার সেক্সট্যান্টের মাটিতে প্রোথিত অংশ খুঁড়ে বের করেন।

গিয়াস আল-দিন জামশেদ কাশি এবং কাজি-জাদেহ রুমির মত জ্যোতির্বিদেরা এখানে কাজ করেছেন।


উলুঘ বেগ টেলিস্কোপ আবিষ্কারের দুই দশক পূর্বেই তার বানানো মানমন্দিরে মহাকাশ,তারা,গ্রহ সম্পর্কিত বিভিন্ন গবেষণা পরিচালনা করেন।যার বেশির ভাগ হিসাব অনেকাংশে নির্ভুল।

এছাড়াও তিনি টলেমির কাজের অনেক ভুল সংশোধন করেন।

উলুগ বেগ এক সৌর বছরের দৈঘ্য পরিমাপ করেছিলেন ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৯ মিনিট ১৫ সেকেন্ড।এই হিসেবে +২৫ সেকেন্ডের ত্রুটি রয়েছে , যা নিকোলাস কোপার্নিকাসের অনুমানের চেয়েও নির্ভুল ছিল,কারণ তার হিসাবে +৩০ সেকেন্ডের ত্রুটি ছিল ।

তিনি সহকর্মীদের নিয়ে রাতের পর রাত জাগ্রত থেকে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণের ফল নিয়ে একটি তালিকা প্রস্তুত করেন।

তার নাম হলাে জিজ-ই- জাদিদই- মুলতানি। এতে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে-১. বিভিন্ন গণনা ও বর্ষ, ২. সময় জ্ঞান, ৩. নক্ষত্রের গতিপথ, ৪. স্থির নক্ষত্রের অবস্থান প্রভৃতি সম্বন্ধে আলােচনা করা হয়েছে।

তালিকাটি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সর্বত্রই বিশেষভাবে সমাদৃত হয়। Ulugh Beg’s Table নামে এখনও তা বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে।

এতে পূর্ববর্তী বৈজ্ঞানিকদের পর্যবেক্ষণের বিভিন্ন তথ্যফল সহ তাঁদের নিজস্ব পর্যবেক্ষণের ফলাফলও বিস্তারিতভাবে আলােচনা করা হয়েছে। এই জিজ তৈরির কাজে সালাউদ্দীন মূসা, মােল্লা আল-কুশজী, গিয়াসউদ্দীন জামশিদ, মইনুদ্দীন কাশানী, কাজীজাদা রুমী প্রমুখ তাঁর সহকর্মী ছিলেন।

সপ্তদশ শতাব্দীতে অক্সফোর্ডের অধ্যাপক গ্রীভস তালিকাটির প্রতি বৈজ্ঞানিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ১৬৬৫ খৃস্টাব্দে মিঃ হাইড-এর ল্যাটিন অনুবাদ করেন।

১৭৬৭ খৃস্টাব্দে শার্প এই অনুবাদের অন্য একটি সংস্করণ প্রকাশ করেন। ১৮৪৭-৫৩ খৃস্টাব্দে মিঃ মেডিলাে এর উপক্রমণিকার অনুবাদ প্রকাশ করেন। অষ্টাদশ শতাব্দীতে জয়পুর রাজ্যের মহারাজ জয়সিংহ উলুঘ বেগ প্রণীত নক্ষত্র তালিকার অনুবাদ প্রকাশ করে রীতিমত গবেষণা শুরু করেন।

সম্রাট বৈজ্ঞানিক উলুঘ বেগের তালিকায় শুদ্ধ জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্বন্ধে আলােচনার সঙ্গে সঙ্গে জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্বন্ধেও বিস্তারিত আলােচনা ‘আরবাই চেঙ্গিস চেঙ্গিসের চার পুত্র গ্রন্থ রচনার মধ্যে তাঁর অগাধ জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়। মিঃ মেডিলাের মতে উলুঘ বেগের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই প্রাচ্যের জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চাও শেষ হয়ে যায়।

ত্রিকোনমিতি

ত্রিকোনমিতির সাইন, কোসাইন, ট্যানজেন্ট প্রভৃতি পূর্বাবিষ্কৃত ছিল বটে, কিন্তু সবগুলােই ছিল এলােমেলাে-প্রক্ষিপ্ত।

উলুঘ বেগই প্রথম বৈজ্ঞানিকদের সুবিধার জন্য সবগুলাে সংগ্রহ করে তালিকাভুক্ত করেন। এর আগে কোন বৈজ্ঞানিকই তা করেন নি এবং তার Sin,Tan এর বের করা মান আট দশমিক স্থান পর্যন্ত সঠিক ছিল।

এই তালিকায় তাঁর মৌলিক অবদান ছিল প্রচুর। তিনি অনেকগুলাে বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। সেসব মুদ্রিত ও পাণ্ডুলিপি অবস্থায় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন লাইব্রেরীতে পাওয়া যায়।

মৃত্যু

বিজ্ঞানে সাফল্য পেলেও প্রশাসক হিসেবে উলুগ বেগ দক্ষ ছিলেন না। বেশ কটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে তিনি পরাজিত হন।

শেষে ১৪৪৯ সালে উলুগ বেগের জ্যেষ্ঠ পুত্র আব্দ আল-লতিফ সাম্রাজ্য দখলের লড়াইয়ে পিতাকে পরাজিত এবং হত্যা করেন। বাবর তার রাজত্বকালে উলুগ বেগের দেহাবশেষ সমরকন্দে তৈমুরের সমাধিস্থলে স্থানান্তরিত করেন।

সম্মান

তার জ্যোতির্বিজ্ঞান সংক্রান্ত কাজের সম্মানে চাঁদের একটি গর্ত Ulugh Beigh, তার নামে নামকরণ করা হয়।

2439 Ulugbek নামের একটি main belt গ্রহাণুর নামকরণও তার নামে করা হয়।

এছাড়াও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি উলুঘ বেগ কে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ 6 জন জ্যোতির্বিদদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে পরিচিহ্নিত করেছে এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে সেই ৬ জন জ্যোতির্বিদদের বিশাল এক চিত্রকর্ম টাঙানো আছে।

The post [পর্ব ৩৫]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[উলুঘ বেগ] appeared first on Trickbd.com.

ঘরে বসে স্পোকেন ইংলিশ বই এর Pdf ডাউনলোড করুন

Posted:

Hello👋

তো আজকে স্পোকেন ইংলিশ এর একটি  PDF ই-বুক শেয়ার করবো। বই টি মুনজেরিন শহীদ এর লেখা😀

বইটি সম্পর্কে

-> লেখক মুনজেরিন শহীদ
-> এটির প্রকাশক হচ্ছে 10 Minute School
-> বইটির মূল ১৫০ টাকা
-> বইটি অসম্ভব সুন্দর করে ডিজাইন করা হয়েছে
-> বইটির সূচিপত্রে মোট ৬০ টা ক্লাস রয়েছে

বইটির কিছু স্কিনশর্ট

PDF ডাউনলোড করুন

আশা করি বইটি আপনাদের উপকারে আসবে, প্রতি টা লেকচার অনেক ভালো করে বুঝানো হয়েছে পড়লেই বুঝতে পারবেন। আর বই এর এত সুন্দর ডিজাইন আপনাকে বইটি পড়তে আগ্রহী করবে।

ধ্যনবাদ সবাইকে

আর হ্যা এমন আরো রিসোর্স পেতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে🙃

<-> [ Our Telegram ] <->

The post ঘরে বসে স্পোকেন ইংলিশ বই এর Pdf ডাউনলোড করুন appeared first on Trickbd.com.

Peaceful Warrior – জীবনের দেখা অন্যতম আন্ডাররেটেড ইনস্পিরেশন মুভির রিভিউ + ডাউনলোড লিংক

Posted:

“Where are you, Dan?

” Here.”

“What time it is?”

“Now.”

“What are you?”

“This moment.”

 

From – The Peaceful Warrior.

 

সক্রেটিস (ছদ্মনাম) নামের এক বৃদ্ধ লোক ড্যানকে এই প্রশ্নগুলি করে। ড্যানও আপনাদের মতো হা করেছিল প্রশ্নগুলো শোনে। এসব কোনো প্রশ্ন হলো যার কোনো আগা নেই, মাথা নেই!

 

কিন্তু যেদিন সে এসব প্রশ্নের মাহাত্ম্য বুঝতে পারে সেদিন জীবনের প্রতি তার ধারনাও বদলে যায়!

 

আমি আজ পর্যন্ত কোনো গ্রুপে এই মুভিটা নিয়ে কোনো রিভিউ পাইনি। গুগলেও সার্চ করে কোথাও কোনো বাংলা আর্টিকেল পাইনি মুভিটার ওপর। অবশ্য সার্চ করেছিলাম অনেক আগে। এখন কেউ লিখেছে কিনা তা অবশ্য জানা নেই।

 

আমি প্রায়সময়ই ইন্সপিরেশনাল মুভি দেখি। যা আমাকে মানসিক ভাবে বেশ শক্তি যোগায়। যখনই নিজেকে খুব ডাউন মনে হয় তখনই ইন্সপিরেশনাল মুভি গুলো দেখি।

 

আমার দেখা কিছু বেস্ট ইন্সপিরেশনাল মুভি নিয়ে অন্য একদিন আরেকটা রিভিউ লিখব। আজ লিখব The peaceful warrior নিয়ে।

 

সর্বপ্রথম আমি মুভিটার খোজ পাই ইউটিউবে। বিভিন্ন ইন্সপিরেশনাল মুভির ট্রেইলার দেখার সময় এই মুভিটার ট্রেইলার আমাকে বেশ উদ্ভুদ্ধ করে।

 

কাহিনী সংক্ষেপ – মুভিটা মূলত Dan Millman লেখা Way of the peaceful warrior বই এর ওপর বেস করে নির্মান করা হয়েছে। মুভি এবং বইয়ের স্টোরিটাও সত্য ঘটনার ওপর নির্মিত। আর এই গল্পের নায়ক স্বয়ং Dan millman।

 

তো মুভির নায়ক ড্যান একজন ভার্সিটির ছাত্র এবং পাশাপাশি সে তার এলাকায় মোটামুটি নামকরা একজন জিমন্যাস্ট। যার লাইফ ছিল কিছুটা ছন্নছাড়া। বন্ধু-বান্ধব দের সাথেও খুব একটা ভাল সম্পর্ক ছিল না। এমনকি এক বন্ধুর সাথে মেয়েজনিত ব্যাপারের কারনে তাদের সম্পর্ক বেশ খারাপ হয়ে যায়। একটা সময় তারা কথা বলাই বন্ধ করে দেয়।

 

ড্যানের ইচ্ছা ছিল সে একদিন ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে উইন হবে। কিন্তু সে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারতো না। তার অনিদ্রা জনিত অভ্যাশ ছিল। যার জন্য সে গভীর রাতেও রাস্তায় ওয়াক করে বেড়াতো।

 

এভাবেই এক রাতে সে এক কার সার্ভিসং স্টেশনে এক অদ্ভুত বুড়ো লোকের দেখা পায়। যে কিনা ড্যানকে প্রথম দেখেই তার কিছু সমস্যার কথা তাকে বলে দেয়। এবং ড্যানের সম্পর্কে আরো এমন কিছু কথা বলে যা ড্যান নিজেও জানে না। এতে ড্যান কিছুটা অবাক হলেও একটা সময় ঐ বুড়ো লোককে সে ভন্ড ভাবতে শুরু করে। তার অদ্ভুত কথা শুনে ড্যান ভাবতো লোকটা বুঝি পাগল।

 

এভাবে আরো কিছুদিন পর ড্যান লোকটার কিছু আধ্যাত্মিক ক্ষমতা দেখে তাকে বিলিভ করা শুরু করে। তার কাছ থেকে ট্রেনিং নেওয়ারও কথা জানায়। বৃদ্ধ লোকটাকে সে সক্রেটিস নামে অভিহিত করে। কারন লোকটা জীবন ধারনের জন্য এমন কিছু ইফেক্টিভ কথা বলতো যা ড্যানকে অনেক প্রভাবিত করে।

 

প্রথম প্রথম লোকটা ড্যানকে শেখাতে না চাইলেও পরে একসময় তাকে কিছু ট্রেনিং দেয়া শুরু করে। এরইমধ্যে একদিন ড্যান বাইক এক্সিডেন্ট করে। এতে তার একটা পা মারাত্মক জখম হয়ে যায়। ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে তার অংশগ্রহনের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায়।

 

এরপর বাকি স্টোরিটা আপনারাই দেখে নেবেন।

 

ব্যাক্তিগত মতামত – মুভিটা অনেকের কাছেই বোরিং লাগতে পারে। কারন এর স্টোরি অনেকটাই স্লো। আমার জন্য কিন্তু প্রত্যেকটা সিনই ছিল এনজয় করার মত। আসলে এনজয়ের কথা কি বলব এখানে আপনি এমন কিছু কনভার্সেশন পাবেন যা আপনার নোটবুকে টুকে রাখার মত।

 

আমাকেও সক্রেটিসের কথা গুলো অনেক প্রভাবিত করেছে। জীবন সম্পর্কে তার যে ধারনা সেটা আপনি যদি আপনার লাইফেও প্রয়োগ করেন তাহলে হয়তো আপনার জীবনটাও বদলে যাবে।

 

ইদানীং যারা খুব ডাউন ফিল করছেন তারা এই মুভিটা অনায়াসেই দেখে নিতে পারেন।

 

বি. দ্র. – মুভিটা সম্পর্কে আসলে আরো অনেক কিছু বলা উচিত ছিল কিন্তু সময়ের অভাবে পারিনি!

 

Download Link: Click Here

The post Peaceful Warrior – জীবনের দেখা অন্যতম আন্ডাররেটেড ইনস্পিরেশন মুভির রিভিউ + ডাউনলোড লিংক appeared first on Trickbd.com.

Free Survival Fire Battleground (সেরা Offline Battleground Game)

Posted:

আস সালামু আলাইকুম।কেমন আছেন সকলে?আশা করি সকলে অনেক অনেক ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালোই আছি।ট্রিকবিডির সদস্য হতে পেরে আরও বেশি ভালো আছি।

আমরা বাংলাদেশের মতো এমন দেশে বসবাস করি যেখানে জীবন ধারণ করাই হচ্ছে কষ্টসাধ্য।সেখানে আমাদের বিনোদনের জন্য ‘Pubg/Free Fire’ এর মতো উন্নত মানের গেম খেলার জন্য উন্নত মানের ফোন কেনা তো দূরের কথা।তো আজ আমি আপনাদের মাঝে (227 MB) এর এমন একটি গেম শেয়ার করবো যা হুবহু ‘Pubg’ এর মতো।বলতে গেলে ‘Pubg’ এর যমজ ভাই।তো চলুন শুরু করা যাক।

নিচে দেওয়া ডাউনলোড লিংক থেকে এ্যাপটি ডাউনলোড করে নিন।

Play store download link:ডাউনলোড এর জন্য এখানে ক্লিক করুন

গেমটি ডাউনলোড হয়ে গেলে ওপেন করলে নিচের মতো দেখতে পাবেন।

তারপর যা যা ‘permission’ চাইবে ‘allow’ করে দিবেন।

সব ‘permission’ কে ‘allow’ দেওয়ার পর এরকম ফন্ট আসবে।এখানে আপনি আপনার নাম এবং গুগল একাউন্ট দিয়ে ‘log in’ করে নিতে পারবেন।

তারপর উপরে ‘Start’ এ ক্লিক করলে গেম ‘Start’ হয়ে যাবে।শুরুতেই বলে রাখি এই গেম এ একটাই ‘Map’ রয়েছে।

এই গেম এর সবচেয়ে চমৎকার বিষয় হচ্ছে ‘Air-plane’ অর্থাৎ এই গেম এ ‘Pubg’ এর মতো ‘Plane’ থেকে লাফ দেওয়া এবং প্যারাসুট এর ‘Option’ রয়েছে।

এবার আসি গেম এর ‘Map’ এর বিষয়ে গেমটিতে অনেক বড় ‘Map’ রয়েছে।নিচে ‘Map’ টি দেখতে পারেন।

মাটিতে ল্যান্ড করার পর দেখতে পাচ্ছেন ‘Pubg’ এর মতো ‘Gun/Helmet/Vest etc লুট করতে হবে।

এই গেম এ ‘Pubg’ এর মতো ‘Control Customize’ এর option রয়েছে।

এই গেম এ ‘Pubg’ এর মতো ‘Graphics’ low থেকে শুরু করে very high পর্যন্ত করতে পারবেন।এর সাথে ‘Sensitivity’ control তো থাকছেই।

img id=715698]

এবার ‘Gameplay’ দেখে নেওয়া যাক।

এখন বলবো গেম এর ‘Graphics’ এর কথা।আমার ফোনের কন্ডিশন খুব একটা ভালো না তাই আমি ‘Graphics’ low করে আপনাদের দেখালাম।নিচে যেই ‘ Screenshots’ গুলো দেওয়া তার প্রথমটি হচ্ছে আমার দেখানো low ‘Graphics’ আর দ্বিতীয়টি হলো high ‘Graphics’ আপনারাই তুলনা করুন গেমের ‘Graphics’ কেমন।

আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল-ভ্রান্তি থাকে ক্ষমাশীল দৃষ্টিতে দেখবেন।মানুষ মাত্রই ভুল করে। ট্রিকবিডির সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।সকলেই ভালো থাকবেন।সুস্থ থাকবেন।

ফেসবুকে আমি:For any problem

The post Free Survival Fire Battleground (সেরা Offline Battleground Game) appeared first on Trickbd.com.

পবিত্র রমযান মাসে ইফতারের তালিকায় তরমুজ রাখুন, তরমুজ এর পুস্টিগুন ও উপকারিতা জেনে নিন।

Posted:

আসসালামুআলাইকুম।আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে লিখতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো,তরমুজ এর উপকারিতা ও পুস্টিগুনগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত। তরমুজ এই ফল টি খেতে অনেক সুস্বাদু। সারাদিন রোযা রাখার পর ইফতার এর সময় এই ফলটি খেলে অনেক ভাল লাগবে। প্রানটা জেন জুরে যায়,ইফতার এর পর এই ফলটি খেলে।এই তরমুজ হলো একটি মৌসুমি ফল।গরমকালে এর চাহিদা থাকে অনেক অনেক। এই তরমুজে রয়েছে ৯২ শতকরা জল ও ২ শতকরা অন্যান্য উপাদান ও ৬ শতকরা চিনি। তরমুজে ভিটামিন জাতীয় অনেক উপাদান রয়েছে।ক্লান্তি দুর করতে প্রচুর ভুমিকা পালন করে এই ফল। সারাদিন রোযা রেখে এই রমযান মাসে আমাদের ইফতার এর তালিকায় এই ফল রাখা উচিৎ। এই ফলে ক্যালরির মাত্রা কম আছে,এবং বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধির কোনো ভয় থাকে না। ৯২ শতকরা পানি রয়েছে এই তরমুজে, যা আমাদের শরীরের পানি ঘাটতি পুরন করে।এছাড়া ও তরমুজে রয়েছে পটাশিয়াম, আশ ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ। আমাদের শরীরের জন্য ব্যাপার উপকারী এই ফল।
এবার জেনে নেয়া যাক,তরমুজ এর পুস্টিগুন এর তালিকাঃ

১০০ গ্রাম তরমুজ এর পুস্টিগুনগুলো জেনে নিনঃ

পানি<৯৬ গ্রাম।
ভিটামিন-সি<৬ মিলিগ্রাম।
ভিটামিন-এ<৫৬৮ মিলিগ্রাম।
আমিষ<৩.২ মিলিগ্রাম।
ফসফরাস<১২ মিলিগ্রাম।
ক্যালসিয়াম<১০ মিলিগ্রাম।
আশ<০.২ গ্রাম।
আয়রন<৭.৯ গ্রাম।
শর্করা<৩.৫ গ্রাম।
খাদ্যশক্তি<১৬ কিলোক্যালরি।

এবার জেনে নেয়া যাক,তরমুজ খাওয়ার উপকারিতাগুলোঃ

১) হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখেঃ

তরমুজ খেলে আপনার হৃদপিন্ড সুস্থ থাকবে।তরমুজ খেলে হৃদপন্ড এর রক্ত চলাচল ঠিক থাকে।এছাড়া ও উচ্চরক্তচাপ কমায়।আমাদের তরমুজ খেতে হবে।

২) যৌনশক্তি বৃদ্ধিঃ

তরমুজ যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে প্রচুর ভুমিকা পালন করে।তরমুজ পুরুষের শ্রুকানু ও মহিলাদের ডিম্বাণুকে অনেক গুন শক্তিশালী করে। তাই যাদের যৌন সমস্যা রয়েছে,তারা তরমুজ খাবেন বেশি হারে।

৩) দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়ঃ

তরমুজ এ রয়েছে চোখের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিটা ক্যারোটিন এই উপাদান তরমুজে রয়েছে,যা আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বহুগুন বাড়ায়। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন-এ, যা আমাদের দৃস্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রাতকানা রোগের ও ঝুকি কমায় এই তরমুজ।

৪) হাড় মজবুত করেঃ

হাড়কে মজবুত করতে ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এই ক্যালসিয়াম তরমুজে রয়েছে। ক্যালসিয়াম এর অভাবে হাড় দূর্বাল হয়ে পড়ে, তরমুজ খেলে হাড় মজবুত হয়। তাই তরমুজ খেতে হবে আমাদের।

৫) কিডনির কার্যক্ষমতা সচল রাখেঃ

কিডনির কার্যক্ষমতা সচল রাখতে নিয়মিত তরমুজ খাবেন। অনেকের কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে,তরমুজ খেলে কিডনিতে পাথর হয় না।যাদের কিডনির সমস্যা আছে,তারা ও তরমুজ খাবেন বেশি করে।

৬) ত্বকের যত্নেঃ

তরমুজ খেলে ত্বক ভাল থাকে। সবাই তার ত্বক কে সুস্থ রাখতে চায়,এজন্য তরমুজ খেতে হবে।তরমুজে ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি রয়েছে,যা ত্বকের জন্য অত্যান্ত উপকারী। ত্বকের জাবতীয় সমস্যা দূর করতে প্রচুর ভুমিকা পালন করে তরমুজ।

৭)স্টোক থেকে বাচাঁতেঃ

তরমুজ স্টোক থেকে বাচাঁতে প্রচুর ভুমিকা পালন করে। কারন তরমুজে রয়েছে ৯২% পানি।তাই আমাদের বেশি বেশি তরমুজ খেতে হবে।

৮) ক্যান্সার প্রতিরোধঃ

তুরমুজ আমাদের ক্যান্সার এর হাত থেকে রক্ষা করে। কারন, তরমুজে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড, এই ক্যারোটিনয়েড আমাদের ক্যান্সার এর হাত থেকে রক্ষা করে। তাই আমাদের তরমুজ খাওয়া উচিৎ।

ক্লান্তি দূর করতে তরমুজ ব্যাপক ভুমিকা পালন করে,তাই ইফতার এর তালিকায় আমাদের তরমুজ রাখা উচিৎ।

টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ

Youtube Channel

আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী আর্টিক্যাল এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।

যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon

ধন্যবাদ

The post পবিত্র রমযান মাসে ইফতারের তালিকায় তরমুজ রাখুন, তরমুজ এর পুস্টিগুন ও উপকারিতা জেনে নিন। appeared first on Trickbd.com.

Post a Comment

0 Comments