Search box..

নিজের প্রোগ্রামিং skill কে আরো improve করুন। প্রোগ্রামিং practice করার সেরা এ্যাপ

নিজের প্রোগ্রামিং skill কে আরো improve করুন। প্রোগ্রামিং practice করার সেরা এ্যাপ


নিজের প্রোগ্রামিং skill কে আরো improve করুন। প্রোগ্রামিং practice করার সেরা এ্যাপ

Posted:

মুসলিম ভাইদের আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজকের পোস্ট টি শুরু করছি।হ্যালো ট্রিকবিডির দর্শকেরা কেমন আছেন সকলে?

আশা রাখছি অনেক বেশি ভালো আছেন।আর যারা ভালো নেই তারাও এই পোস্ট দেখে ভালো হয়ে যাবেন ইন শাহ আল্লাহ। আজকের পোস্টটাই এমন।বেশি ফালতু বক বক না করে চলুন শুরু করি কাজের কথা।

টাইটেলে তো নিশ্চ্য়ই আপনারা দেখেছেন আজকের পোস্ট টি কি বিষয়ে। আজ আপনাদের মাঝে এমন একটি এ্যাপ শেয়ার করবো যা ব্যবহার করে আপনারা আপনাদের programing language এর practice করতে পারবেন।

[ যাই হোক আমি তাদের জন্য পোস্ট লিখি না যারা আলতু ফালতু মন্তব্য করে।আমার পোস্ট দেখে উপকৃত হয়ে লাইক করে আর সুন্দর কমেন্ট করে তাদের জন্য মূলত পোস্টটি বানানো।আশা করি সকলেই একটি করে ‘Like’ করবেন ইনশাল্লাহ ]

প্রথমেই দিয়ে দিচ্ছি এ্যাপ টির ডাউনলোড লিংক:

ডাউনলোড লিংক

এ্যাপটি ডাউনলোড হয়ে গেলে এ্যাপটি ওপেন করে নিন।কিছুটা এমন interface দেখতে পাবেন।

আপনারা এখন থেকে শিখতে পারবেন।অথবা practice করতে পারবেন।এখানে যেসকল language রয়েছে নিচে তালিকা দেওয়া হলো।

আপনারা এর মধ্যে যেকোনো select করতে পারবেন। আমি simply HTML select করে দেখাচ্ছি।

যেই icon দেখতে পাচ্ছেন এখানে press করলে কাংক্ষিত ভাষার সকল tag দেখতে পাবেন।

আর output এ চাপ দিলে ফলাফল দেখতে পাবেন। যে আপনার কোড গুলোর দ্বারা তৈরী রেজাল্ট কি।

এবার আসি গেম এ। এখানে আপনারা ভাষার tag গুলো চর্চা করতে পারবেন।আপাতত এখানে শুধু দুটি ভাষা অ্যাড করা আছে। ভবিষ্যতে আরো হবে আশা রাখছি।

আশা করি পোস্ট টি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। এতো কষ্ট করে আপনাদের জন্য পোস্ট লিখি। একটা লাইক আশা রাখছি। পোস্টটি ধৈর্যসহকরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। শীঘ্রই আপনাদের মাঝে নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ আল্লাহ যদি তাওফিক দান করেন।

প্রযুক্তি এবং আরো নিত্যনতুন বিষয় সম্মদ্ধে আপডেট পেতে ট্রিকবিডির সাথে থাকুন।

…………..আল্লাহ হাফেজ।ফি আমানিল্লাহ।…………..

ফেসবুকে আমি:For any problem

অথবা যেকোনো সমস্যার সমাধান পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল এ জয়েন হতে পারেন:
Telegram Channel

The post নিজের প্রোগ্রামিং skill কে আরো improve করুন। প্রোগ্রামিং practice করার সেরা এ্যাপ appeared first on Trickbd.com.

প্রতিদিন ৩$ আয় করুন মাত্র ২/৩ ঘন্টা কাজ করে চলুন দেখে আশা যাক।

Posted:

আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি।

আজ অনেক দিনপর আপনাদের সামনে নিয়ে আসলাম একটি Online earn করার ট্রিক।

আমরা সবাই চাই কম বেশি ইনকাম করি কিন্তু আমরা তা পারি না বা কাংখিত app or website পাই না।

আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম পার্ট টাইম ইনকাম করার জন্য একটি ওয়েবসাইট ।আপনি যদি ফুলটাইম কাজ করেন তাহলে ভালো একটা amount ইনকাম করতে পারবেন।

ওয়েবসাইটের নাম workupjob

তো চলুন শুরু করা যাক।

প্রথমে আমরা নিচের লিংক থেকে sing up করে নিবো।

    Register

 

 

এই রকম একটা পেইজ পাবো সব ফিল আপ করে নিবো।

নাম,  ইমেল , পাসওয়ার্ড এবং দেশ সিলেক্ট করে created account ক্লিক করবো

Account হলে এই রকম দেখতে পাবো।

account করা হলে আপনি লগইন করবেন।

এবং  এখন কথা হচ্ছে আপনার account টি ভেরিফিকেশন করতে হবে। তা না হলে  ব্যান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ বায়েরর কাজ তো সঠিক ভাবে সব কাজ করতে পারবেন না তাই আমি recommended করবো আগে আইডি ভেরিফিকেশন করে তারপর কাজ শুরু করা।

আইডি ভেরিফিকেশন করার দুইটি উপায় আছে।

১) আপনি কাজ করে  1$ করবেন তা দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে পারবেন।

২) আবার আপনি চাহলে deposit করে ভেরিফিকেশন করতে পারেন।  deposit করার জন্য আপনি পাচ্ছেন বিকাশ , নগদ আরো কিছু মোবাইল ব্যাংকিং।

 

প্রোফাইলে গেলে আপনি এই অপশন গুলো দেখতে পারবেন। এখানে আপনার কাজের details পাবেন।

এখন কথা হচ্ছে ওয়েবসাইটের কাজ কি ।

Find job নামে একটি অপশন‌ দেখতে পাচ্ছেন ওইখানে ক্লিক করবেন।

দেখতে পাচ্ছেন কি সুন্দর কাজ। বেশি সময় লাগে না কাজ গুলো শেষ করতে।

দেখতে পাচ্ছেন আমি একবার পেমেন্ট পাইছি তাই ওয়েবসাইটি শেয়ার করলাম যাতে আমার মতো যারা student আছেন নিম্ন পরিবারের তাদের অনেক উপকার হবে।

তো আজ এই পর্যন্তই ভালো থাকবেন।

 

 

The post প্রতিদিন ৩$ আয় করুন মাত্র ২/৩ ঘন্টা কাজ করে চলুন দেখে আশা যাক। appeared first on Trickbd.com.

কম এমবির মধ্যে উজ্জ্বল গ্ৰাফিক্সের অফলাইন রেসিং গেম।

Posted:

আসসালামুয়ালাইকুম ! TrickBD তে সবাইকে স্বাগতম। কোনো ভুল হলে দয়া করে ক্ষমা করবেন। বেশি কথা না বলে শুরু করছি।

আমরা যারা এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করি কমবেশি সবাই গেম খেলি। বর্তমান সময়ের Free Fire, PUBG এগুলোর কথা তো বাদ‌ই দিলাম।

অনেকেই আছেন যারা রেসিং গেম খেলতে পছন্দ করেন। প্রায়‌ই Hill Climb Racing, Hill Climb Racing 2, Moto raceing, Car raceing ইত্যাদি গেম খেলে থাকেন। এবং এগুলো গেলে এখন আর ভালো লাগে না খেলতে, নতুন কোনো গেম চান, তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট।

আগেই বলে রাখি এটা কোনো বড় সাইজের গেম না, তাই 1GB Ram, 512 Mb Ram এর ফোনেও ভালো ভাবো খেলতে পারবেন। এটাও রেসিং গেম তবে অন্য লেভেলের।

এই গেমের নাম হলো: Beach Buggy racing

গেমটার Installation Name : BB Racing

নাম শুনেই বুঝতে পেরেছেন এই গেমে রেস হবে সমুদ্র সৈকতে। যার কারণে এই গেম খেলতে আরো ভালো লাগবে।

গেমটার গ্ৰাফিক্স, ব্যাকগ্ৰাউন্ড মিউজিক, এবং ইউজার টিউটোরিয়াল সত্যি‌ই প্রশংসনীয়। পাশাপাশি কন্ট্রোল নিয়ে কোনো সমস্যা পাই নি, স্মুথ রান হয়েছে। বেশি ভালো লেগেছে এই গেমের গ্ৰাফিক্স কোয়ালিটি।

রেসিং গেম তো অনেক খেলেছেন, একবার এই গেমটা খেলে দেখুন আশা করছি ভালো লাগবে। এই গেমটার বেস্ট এক্সপেরিয়েন্স পেতে ইয়ারফোন ব্যবহার করুন।

আপনাকে রেস চলাকালীন গেমের Unknown Box কালেক্ট করতে হবে, এবং বক্সে কি রয়েছে সেটা ব্যবহার করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আপনাকে পেছনে ফেলে কেউ সামনে এগিয়ে গেলে তাকে ডেভিল বল দিয়ে হিট করে রেস থেকে বের করে দিতে হবে, তবে হ্যাঁ এটা তখন‌ই করতে পারবেন যখন সামনের রেসার আপনার নাগালের মধ্যে থাকবে।

যতটা সম্ভব দ্রুত গতিতে ছুটে যেতে হবে কারণ আপনার পেছনে যারা থাকবে তারাও আপনাকে ডেভিল বল মেরে রেস থেকে আউট করে দিতে পারে।

গেমটার সাইজ মাত্র ৮০ এমবি। কিন্তু গ্ৰাফিক্স নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই, ক্লিন ইউআই।

গেমটার কিছু স্ক্রীনশর্ট দেখে নিন:

জানি এই পোস্ট ছোট হয়েছে, কিন্তু আমি এই গেমটা সম্পর্কে যতটুকু জানি, তার উপরেই আপনাদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এই গেমটা প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন। ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করুন।

Download Game

Extra Tips: গ্ৰাফিক ডিজাইন কি?

এই পোষ্ট এতটুকুই ! এতক্ষণ সময় নিয়ে পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ। 🙂

The post কম এমবির মধ্যে উজ্জ্বল গ্ৰাফিক্সের অফলাইন রেসিং গেম। appeared first on Trickbd.com.

Dying Light 2 Game Review: When Zombies Meet Parkour

Posted:

ডাইং লাইট 2 স্টে হিউম্যান — এখন পিসি এবং কনসোলে আছে — নামে একটি “2” থাকতে পারে তবে এটি আসলে একটি সিক্যুয়াল নয়। আপনি যদি ডাইং লাইট সিরিজে নতুন হন তবে চিন্তা করবেন না। প্রথম শিরোনামটি খেলার জন্য এটি একেবারে প্রয়োজনীয় নয় কারণ “সিক্যুয়েল” এ এটির সাথে খুব বেশি সংযোগ নেই। অবশ্যই, তারা কিছু পরিচিত নাম সামনে এবং পিছনে উল্লেখ করেছে — এবং গেমপ্লে, যুদ্ধ এবং মিথস্ক্রিয়াতে মিল রয়েছে, তবে ডাইং লাইট 2 স্টে হিউম্যান একটি স্বতন্ত্র শিরোনাম হিসাবে কাজ করে। এখানে গল্পটি হারানে ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের (প্রথম খেলা থেকে) প্রায় 20 বছর পরে সেট করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা আসল ভাইরাসের জন্য একটি ভ্যাকসিন খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছিলেন, কিন্তু কোনোভাবে কিছু রাসায়নিককে বিভ্রান্ত করতে এবং আরও মারাত্মক ভাইরাস তৈরি করতে পেরেছিলেন যা অবশ্যই জম্বিদের একটি নতুন প্রাদুর্ভাব সৃষ্টি করেছিল।

গেমটি শুরু হয় আপনার সাথে অজানা জঙ্গলের মাঝখানে দৌড়ানো, রক্তপিপাসু জম্বিদের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়া, সেতুতে লাফ দেওয়া, পাদদেশে আরোহণ করা, প্রিয় জীবনের জন্য হাঁপিয়ে ওঠা — স্বাভাবিক রুটিন — বন্ধুত্বপূর্ণ মুখের সাথে দেখা করার আগে, স্পাইক, যে আপনাকে কিছু মধু তুলতে সাহায্য করে এবং ক্যামোমাইল যখন সে তার ছোট আত্মার কথা মনে করিয়ে দেয়, সে যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল এবং এইডেনকে মনে করিয়ে দেয় যে সে একজন তীর্থযাত্রীর জন্য বয়স্ক এবং ধীর হয়ে যাচ্ছে। ওহ, আমি আপনাকে ডাইং লাইট 2 স্টে হিউম্যান-এর নতুন প্রধান চরিত্রের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে ভুলে গেছি — এইডেন ক্যালডওয়েল (জোনাহ স্কট দ্বারা কণ্ঠ দিয়েছেন, বিস্টারসে লেগোশি) একজন তীর্থযাত্রী যিনি এখন কয়েক বছর ধরে ব্যবসা করছেন৷ এইডেন এক শহর থেকে অন্য শহরে ভ্রমণ করে ঠিক আপনার প্রতিদিনের পথিকের মতো। যাইহোক, তার গল্প জম্বিতে ভরা এবং কীভাবে তাদের আটকানো যায় তার একটি দ্রুত গাইড।

এইডেন তার ছোট বোন মিয়াকে খুঁজছেন, যার সাথে একটি নির্দিষ্ট ডাক্তার একটি বন্ধ সুবিধায় তাদের বয়সের শিশুদের উপর জঘন্য পরীক্ষা চালানোর পরে তার সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছিল। তিনি ভিলেডোর নামক একটি শহরে পৌঁছাতে সক্ষম হন, যেটি মৃতদের সাথে ভরাট করে এবং তাদের শেষ পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা ভবনগুলির সাথে। শহরটি বিভিন্ন দলে বিভক্ত যারা পানির টাওয়ার, বিদ্যুৎ সাবস্টেশন এবং অন্যান্য সম্পদের জন্য লড়াই করছে। দুটি দল, পিসকিপারস (পিকে) এবং সারভাইভারস, যুদ্ধে যেতে চলেছে কারণ প্রাক্তনরা মনে করে যে তাদের নেতা লুকাস পরবর্তীদের দ্বারা নিহত হয়েছিল।

স্থানীয়রা প্রাচীরের বাইরের লোকেদের প্রতি সন্দিহান এবং এইডেনকে তাদের আস্থা অর্জন করতে হয়। তিনি শীঘ্রই নিজেকে একটি চিরস্থায়ী যুদ্ধের মতো মনে হয় এমন মধ্যে আটকে পড়েন। এইডেনের একমাত্র লক্ষ্য হল মিয়ার অবস্থানের উত্তর খোঁজা এবং দুষ্ট ডাক্তার ওয়াল্টজের প্রতিশোধ নেওয়া, যার কাছে মিয়া সম্পর্কে তথ্য থাকতে পারে। এইডেন যখন ভিলেডোর ভাঙ্গা শহরের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করেন, তখন তিনি মিয়া এবং তার সুবিধার ফ্ল্যাশব্যাকে আঘাত পান। পথ ধরে, মুষ্টিমেয় বন্ধু তৈরি করার সময় এইডেন অনেক শত্রু তৈরি করে।

Dying Light 2 review: a dropkick here and a dropkick there

জম্বি গেমগুলি সাধারণত বন্দুক, তলোয়ার এবং হোয়াটনোট দিয়ে মৃতদের উপর আঘাত করার জন্য পরিচিত। যদিও ডাইং লাইটে এর সবই রয়েছে, এটি সম্পূর্ণরূপে এর বিক্রয় বিন্দু নয়। কি? পার্কোর Aiden সহজে এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে সুইং করতে সক্ষম, যদিও গেমের স্ট্যামিনা মেকানিজম কিছুটা হতাশাজনক — এটি গল্পের দৃষ্টিকোণ থেকে বোঝা যায়। স্থানীয়রা ছাদে নিরাপদ ঘর তৈরি করেছে এবং প্রয়োজনের সময় UV Light, গাছপালা এবং অস্ত্র দিয়ে নিজেদের সজ্জিত করেছে। অমৃতরা রাস্তায় আড্ডা দেয় এবং প্রথম ডাইং লাইটের মতো, রাস্তা পার না হয়ে এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে লাফ দেওয়া ভাল। রাত নামার সাথে সাথে জম্বিরা শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং তাজা রক্তের সন্ধানে বেরিয়ে আসে। নির্ভীকদের জন্য, রাতে সম্পাদিত মিশনগুলি XP আকারে ভাল রিটার্ন দেয়।

ডাইং লাইট 2 স্টে হিউম্যানের প্রথম কয়েক ঘন্টা সত্যিই ক্লান্তিকর, নড়বড়ে এবং কম স্ট্যামিনা এবং রুকি ক্লাইম্বিং দক্ষতার কারণে টলমল করে। এমনকি একটি চার ফুট সিঁড়ি আরোহণ সম্পূর্ণরূপে Aiden আউট নিষ্কাশন. গেমটিতে কিছু সময় কাটানোর পরে, আপনি অনেকগুলি ক্ষমতা আনলক করেন। স্কিল ট্রি একটি parkour section and a combat section নিয়ে গঠিত। এখানে প্রচুর Nifty Skills রয়েছে যা যুদ্ধের সময় বা জম্বিদের একটি দলকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সময় ব্যবহার করা যেতে পারে। Love potion ছাদ থেকে একটি জম্বি লাথি এবং এটি ? যান এবং এটি আনলক. আরেকটি যুদ্ধের দক্ষতা আপনাকে শত্রুকে jumping tale হিসাবে ব্যবহার করতে দেয় যখন আপনি সরাসরি একটি অজানা শত্রুর মুখে তাকে বিস্মৃতিতে ফেলে দেন।

Dying Light 2 review: the mechanism

আসল ডাইং লাইটের ভালো একটি কাহিনী ছিল তবে যুদ্ধটি কিছুটা দোলা দিয়েছিল। টেকল্যান্ড মনে হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে এটিতে কাজ করেছে যুদ্ধ এবং পার্কুরকে দেখতে এবং অনেক উন্নত মনে করতে। সংক্রামিত বা মানুষের শত্রুদের দিকে অস্ত্রের স্লিঙ্গিং আর বিরক্তিকর মনে হয় না। কিছু যুদ্ধ দক্ষতার সাথে দম্পতি এবং আপনি জেলা 13 স্তরের অ্যাকশন পাবেন।

জম্বিদের তুলনায় মানুষের শত্রুরা ততটা স্মার্ট বলে মনে হয় না। 1v3-এর যুদ্ধে, মানুষ একটি দলে না হয়ে স্বতন্ত্রভাবে আক্রমণ করতে পছন্দ করে যা আপনার কাজকে সহজ করে তোলে। এটি একটি বলিউড অ্যাকশন দৃশ্যের মতো দেখায়।

অন্যদিকে, জম্বিরা সর্বদা সতর্ক এবং তাদের আশেপাশের বিষয়ে সচেতন থাকে এবং ইচ্ছামত আক্রমণ করে – এমন একটি সুযোগ রয়েছে যে তারা আপনাকে অফ-গার্ডও ধরতে পারে। প্রায় 10 টি বিভিন্ন ধরণের জম্বি রয়েছে, সবগুলি প্রাণঘাতী। বিটার্স থেকে শুরু করে, যারা মৃতদের সবচেয়ে সাধারণ রূপ, বোল্টার থেকে, যারা বিরল লুটের অধিকারী।।

 

Rating (out of 10): 7

রেটিং (10 এর মধ্যে): 7

ডাইং লাইট 2 স্টে হিউম্যান পিসি, প্লেস্টেশন 4, প্লেস্টেশন 5, এক্সবক্স ওয়ান, এবং এক্সবক্স সিরিজ এস/এক্সে 4 ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে। Nintendo Switch এ 2022 সালে (ক্লাউডের মাধ্যমে) পরে উপলব্ধ।

আমি একটি বাজেট পিসি গেমিং রিগে ডাইং লাইট 2 স্টে হিউম্যান খেলেছি যেটিতে একটি Nvidia GeForce 1660 Super, 16GB RAM, AMD Ryzen 5 3600, এবং একটি 512GB SSD রয়েছে৷

দাম শুরু হচ্ছে ২৯৯৯ টাকা থেকে। স্টিম এবং এপিক গেম স্টোরে 2,999, এবং Rs. প্লেস্টেশন স্টোর এবং এক্সবক্স স্টোরে 3,999 টাকাতে পাওয়া যাচ্ছে ।

 

পোস্ট টি ভালো লাগলে আমার ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন- developsbd.com

The post Dying Light 2 Game Review: When Zombies Meet Parkour appeared first on Trickbd.com.

Kinemaster একদম latest ভার্সন সাথে থাকছে 4k এবং 120 fps ভিডিও export enable option. [(Hot post) না দেখলে পস্তাবেন ]

Posted:

মুসলিম ভাইদের আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজকের পোস্ট টি শুরু করছি।হ্যালো ট্রিকবিডির দর্শকেরা কেমন আছেন সকলে?

আশা রাখছি অনেক বেশি ভালো আছেন।আর যারা ভালো নেই তারাও এই পোস্ট দেখে ভালো হয়ে যাবেন ইন শাহ আল্লাহ। আজকের পোস্টটাই এমন।বেশি ফালতু বক বক না করে চলুন শুরু করি কাজের কথা।

টাইটেলে তো নিশ্চ্য়ই আপনারা দেখেছেন আজকের পোস্ট টি কি বিষয়ে। আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো kine master এর একদম latest premium ভার্সন। সাথে থাকছে 4k/2k এবং 60/120 fps video export enable ট্রিক।

[ যাই হোক আমি তাদের জন্য পোস্ট লিখি না যারা আলতু ফালতু মন্তব্য করে।আমার পোস্ট দেখে উপকৃত হয়ে লাইক করে আর সুন্দর কমেন্ট করে তাদের জন্য মূলত পোস্টটি বানানো।আশা করি সকলেই একটি করে ‘Like’ করবেন ইনশাল্লাহ ]

প্রথমেই দিয়ে দিচ্ছি এ্যাপ টির ডাউনলোড লিংক:

Normal play store download link

Kine Master premium download link

এ্যাপটি ডাউনলোড হয়ে গেলে এ্যাপটি ওপেন করে নিন।যা যা permission চাইবে allow করে দিন।

দেখুন install হয়ে গেলো আমাদের কাংক্ষিত premium kinemaster এ্যাপ টি।আপনারা এখানে press করে check করতে পারেন যে এটি premium verson.


এখন আসি মূল বিষয়ে। আমরা জানি normally kinemaster এ kono. ভিডিও এডিট করার পর export (save) করার সময় সর্বোচ্চ 1080p এবং 30 fps এ সেভ করা যায়। আমি যেই পদ্ধতি দেখাচ্ছি অনুসরণ করলে 2/4k অবদি এবং 60/120 fps অবদি export করতে পারবেন। কিভাবে আমরা এটি করবো সেটা দেখানোর আগে একটি ভিডিও এডিট করে আপনাদের দেখাতে চাই প্রুফ হিসেবে যে 1080p এবং 30 fps এর বেশি তে export করা যায়না।

এই ভিডিওটি আমি এডিট করছি দেখুন export করলাম।এখানে 1080p এবং 30 fps এর বেশি option নেই।

এখন নিচের দেখানো পদ্ধতি অনুসরণ করুন:

আমার ডিভাইস এ 60 fps এর বেশি support করে না। যাদের ফোনে একটু ভালো তাঁদের তা তে 60 fps এর নিচে আরেকটা option থাকবে 120 fps enable করার। তো আমি এটা অন করে নিচ্ছি। আমাদের 60 fps on হয়ে গেছে।

এখন আমরা 2/4k enable করবো। তার জন্য নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুন:

এখানে দেখুন 1080p dekhacche maximum video quality.

এখন এখানে চাপ দিয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন।

কাজ শেষ দেখুন এখন maximum video quality 2k দেখাচ্ছে। আর যাদের ফোনে একটু ভালো তাঁদের টা তে 4k অবদি সাপোর্ট করবে।

আমরা আবার আগের ভিডিও টি এডিট করে export করে দেখবো video quality আর fps কাজ করে কি না!দেখুন এটি কাজ করছে। আগে 1080p এবং 30 fps ছিল আর এখন 1440p এবং 60 fps দেখাচ্ছে।

আশা করি পোস্ট টি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। এতো কষ্ট করে আপনাদের জন্য পোস্ট লিখি। একটা লাইক আশা রাখছি। পোস্টটি ধৈর্যসহকরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। শীঘ্রই আপনাদের মাঝে নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ আল্লাহ যদি তাওফিক দান করেন।

প্রযুক্তি এবং আরো নিত্যনতুন বিষয় সম্মদ্ধে আপডেট পেতে ট্রিকবিডির সাথে থাকুন।

…………..আল্লাহ হাফেজ।ফি আমানিল্লাহ।…………..

ফেসবুকে আমি:For any problem

অথবা যেকোনো সমস্যার সমাধান পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল এ জয়েন হতে পারেন:
Telegram Channel

The post Kinemaster একদম latest ভার্সন সাথে থাকছে 4k এবং 120 fps ভিডিও export enable option. [(Hot post) না দেখলে পস্তাবেন ] appeared first on Trickbd.com.

অ্যান্ড্রোয়েড ফোনের জন্য সেরা ৫ টি Brain Game

Posted:

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই?

আশা করছি সবাই আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন।

বর্তমান সময়ে আমরা অল্পটুকু ফ্রী সময় পেলেই টাইম পাসের জন্য অ্যান্ড্রয়েড গেমের শরণাপন্ন হয়।

কিন্তু এতে করে আমাদের টাইম পাস হলেও সত্যি বলতে আমাদের কোনো উপকার হয় না।বরং অনেক ক্ষতি হয়।

তাই গেম যদি খেলতেই হয়,তাহলে সেসব গেম খেলুন যেগুলো খেললে আপনা ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পাবে এবং কিছুটা হলেও যা আপমার উপকারে আসবে।

তাই আজকে আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি সেরা পাচটি ব্রেন গেম।যেগুলো আপনাদের অবশ্যই অবশ্যই ভালো লাগবে।

তো চলুন শুরু করা যাকঃ-

1.Elevate

Size:-39 mb

Ratting:-4.5

Downloads:-10M+

এটি অ্যান্ড্রোয়েড ফোনের জন্য সবচেয়ে সেরা একটি Brain Game.
কি নেই গেমটির মধ্যে!

গেমটিতে Speaking,Listening,Writing,Reading এবং Math বিষয়ে অসংখ্য ব্রেন গেম।

Writing এর মধ্যে রয়েছে Spelling,Syntax,Punctuation,CommasCommas ইত্যাদি
Listening এর মধ্যে রয়েছে Focus,Name Recall,Synthesis

Speaking এর মধ্যে রয়েছে Memory,Pronunciation,Adjective Recall.

Math এর মধ্যে রয়েছে Measuring,Subtraction,Percentage,Division,Average ইত্যাদি অসংখ্য ব্রেন গেম,
যেগুলো খেলে আপনি আপনার ব্রেন পাওয়ার ইমপ্রুভ করতে পারবেন।
এছাড়াও রয়েছে প্রতিদিনের জন্য আলাদা Exercise এর সুবিধা।

আপনি এই Exercise এর ওপর ভিত্তি করে আপনার Performance ও দেখতে পারবেন।

দুঃখজনক ভাবে এই গেমটি খেলার জন্য আপনাকে বছরে ৪০ ডলার দিতে হবে।আর আমি জানি এটা কারোর পক্ষেই সম্ভব নই।তাই আমি আপনাদের দিচ্ছি গেমটির মোড ভার্সন।

ডাউনলোড করে ইনজয় করুন।

Download Link:-Elevate Mod

2:-NeuroNation

Size:-59 mb

Rating:-4.6

Downloads:-10M+

অ্যান্ড্রোয়েড ফোনের জন্য আরেকটি সেটা ব্রেন গেম হলো NeuroNation.

গেমটিতে ৩০ টিরও বেশি exercise রয়েছে আপনার মেমোরি এবং কনসেন্ট্রেশন এর জন্য।
যার মধ্যে প্রায় সবগুলো exercise একদম ইউনিক এবং যেগুলো আমি অন্য ব্রেন গেমে খুজে পায় নি।

প্রতিটি এক্সারসাইজ ঠিক করা হবে আপনার progress অনুসারে।

Download Link:-NeuroNation

3:-Train Your Brain 2

Size:-8 mb

Rating:4.8

Downloads:-100K+

এটি কম এম্বির মধ্যে সেরা একটি brain game.

Train Your Brain 2 এর মধ্যে রয়েছে ৭ টি ব্রেন এক্সারসাইজ।

যার মধ্যে রয়েছে Colours,Fly,Schulte Table,Numbers,Rotation,Rotation +,Anagrams

যেগুলো প্রত্যেকটিই আপনি অবসর সময়ে খেলতে পারেন এবং নিজের ব্রেন পাওয়ার ইমপ্রুভ করতে পারেন।তাই অবশ্যই ট্রাই করবেন।

Download Link:-Train Your Brain 2

4:-Reaction Training

Size:-9 mb

Rating:-4.6

Downloads:-1M+

Reaction Training হচ্ছে আরেকটি সেরা ব্রেন গেম,যার মধ্যে রয়েছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ব্রেন এক্সারসাইজ।

এর মধ্যে রয়েছে ৪১ টি ব্রেন গেম।যেগুলোর প্রতিটিই সেরা।
যদিও সবগুলো আপনাকে এড দেখার মাধ্যমে আনলক করতে হবে।

Download Link:-Reaction Training

5:-ReaderPro

Size:-58 mb

Rating:-4.4

Downloads:-1M+

ReaderPro অ্যান্ড্রোয়েড ফোনের জন্য সুন্দর একটি ব্রেন এক্সারসাইজ গেম।
গেমটির মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৫ টির মতো ব্রেন চ্যালেন্জ।যেমনঃ-Anagrams,Letter Search,Number Search,Remember the Number ইত্যাদি।

এছাড়াও আপনি নিদিষ্ট সময় নিয়েও গেমগুলো খেলতে পারেন।


Download Link:-ReaderPro
তো আজকে এই পর্যন্তই,সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন,নিয়মিত নামাজ আদায় করবেন আর ট্রিকবিডির সাথেই থাকবেন সবসময়।

আল্লাহ হাফেজ

The post অ্যান্ড্রোয়েড ফোনের জন্য সেরা ৫ টি Brain Game appeared first on Trickbd.com.

কোডিং করার জন্য ক্লাউড বেইসড একটি কম্পাইলার যেখানে সব ভাষা সাপোর্ট করে, সকল প্রোগ্রামারদের জন্য

Posted:

App Review



DETAILS

Name:Dcoder, Compiler IDE:Code &Programming on mobile
Download: 10M
Genre:Language
Reffer Code: yasirycs
Price: Free
Rating: 3.7/5
Size:15-30MB


DOWNLOAD LINK

Dcoder, Compiler IDE:Code &Programming on mobile

যারা নিয়মিত প্রোগ্রামিং, html ইত্যাদি প্রেকটিস করেন তারা হয়ত বেশিরভাগ কাজ পিসিতে করেন। কিন্তু আপনি চাইলে আপনার সকল কাজ আপনার ফোনেই করতে পারেন। যেহেতু আমার ফোন সারাদিন আমার হাতেই থাকে সেহেতু প্রোগ্রামিং এবং প্রয়োজনীয় সকল অ্যাপস আমি আমার হাতের কাছেই রাখি। অনেকে হয়ত ভাবেন ফোন এর মধ্যে প্রোগ্রামিং করে তেমন মজা নেই বা সবকিছু করা যায় না । কিন্তু কথাটি একদম সঠিক নয় ফোন আপনি প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে সবকিছুই করতে পারবেন। টেকনোলজী এত উন্নত হয়েছে যে এখন আমরা সকল কাজ আমাদের ফোনেই করতে পারি। প্রোগ্রামিং এর লাইব্রেরী ফাইল একসেস, গ্রাফিক্স ফাইল একসেস থেকে শুরু করে অ্যানিমেশন, এডিটিং সবকিছুই ফোন এর মধ্যে করা যায়। ফোন এর মধ্যে মাল্টিটাস্কিং করে যে মজা পাই আমি সেটি আর কোথাও পাওয়া যায় না। ফোন এর মধ্যে প্রোগ্রামিং করতে আমি মূলত ৩ টি IDE বা কম্পাইলার ব্যাবহার করি। এবং এই ৩ টির মধ্যে আমার সবচেয়ে পছন্দের কম্পাইলার টি নিয়ে আজকের পোস্ট। ফোন এর মধ্যে এর চেয়ে ভাল আর কোনো কম্পাইলার হয় না। আমার এক স্যার আমাকে সাজেস্ট করেছিল। অ্যাপটির ডাউনলোড লিংক সহ সকল ডিটেইলস আমি উপরে দিয়ে দিয়েছি এখন এ নিয়ে বিস্তারিত বলব।


DCODER

অ্যাপটি হল একটি ক্লাউড based IDE এর অর্থ সহজে বললে এটি চালাতে আপনার নেট কানেকশন লাগবে। তবে এর কারণে আপনি অনেক সুবিধা পাচ্ছেন এবং সেগুলো হল অ্যাপটির সাইজ অনেক কম। কারণ আপনার প্রোগ্রামটি রান করতে যেসব ফাইলের প্রয়োজন হবে সেগুলো সে ক্লাউড থেকেই একসেস করে নিচ্ছে । ফলে আপনার ফোনে এক্সট্রা কোনো স্টোরেজ এর দরকার হচ্ছে না। আপনার ram/rom এর উপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলছে না। অনলাইনে সার্চ করলে আপনি অনেক কম্পাইলার পাবেন এই অ্যাপ এর কম্পাইলার টি সেগুলোর মতোই কাজ করে তবে অ্যাপটি খুব ভাল ভাবে ডেভেলপ করা হয়েছে। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যাবহারের পরেও এতে কোনো ইস্যু দেখতে পাইনি। অ্যাপ টির মধ্যে রয়েছে অনেক ইউসফুল ফিচার যার বেশিরভাগ আমি ব্যবহার করি। তবে সমস্যা হল এর সবগুলো ফিচার আপনি ব্যাবহার করতে পারবেন না। কিন্তু যারা begginer আছেন তাদের এ নিয়ে টেনশন করতে হবে না কারণ এইসব ফিচার এর কোনো দরকার নেই আপনার। অ্যাপটির ফিচারগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

THEME & UI


অ্যাপটি একদম ডার্ক। যার কারণে কোডিং করতে একটু প্রো প্রো ভাব পাবেন এবং এটি আপনার চোখের কম ক্ষতি করবে এবং আপনার ব্যাটারির লাইফ increase করবে। অ্যাপটি এর প্রিমিয়াম ভার্সনে বেশ কিছু থিম এর একসেস করার সুযোগ রয়েছে তবে ফ্রি ভার্সনে আপনি ২-৩ টি থিম পাবেন। এর প্রিমিয়াম এবং ফ্রি থিম এর মধ্যে আমি তেমন কোনো তফাৎ দেখি না। তাই এই ব্যাপারে চিন্তা করার কোনো দরকার নেই। অ্যাপটির ui একদম ইউজার ফ্রেন্ডলী এবং কোনো রকম ল্যাগ নেই। কিন্তু কম্পাইলার এর মধ্যে কোড রান করার সময় ইন্টারনেট স্লো হলে মাঝে মাঝে একটু ডিস্টার্ব করে। কিন্তু বেক এসে আবার রান করলে এই সমস্যা ঠিক হয়ে যায়। অ্যাপটি যেকোন ফোনের মধ্যে একদম ফাস্ট কাজ করে এবং কম সাইজ হওয়াতে যেকোন জায়গায় ইন্সটল দেয়া যায়। এই অ্যাপটি ব্যাবহারের জন্য মিনিমাম অ্যান্ড্রয়েড 4 দরকার। কিন্তু বর্তমানে আমার মনে হয় না অ্যান্ড্রয়েড 7 এর নিচে কোনো ফোন আছে। এর থিম এবং ui একদম টপ ক্লাস।

LANGUAGE


অ্যাপটি দিয়ে শুধু আপনি c/c++ করতে পারবেন এমন না। আপনি জেনে অবাক হবেন এটি প্রচুর পরিমাণে ভাষা সাপোর্ট করে। এর একটি মাত্র কারণ এবং সেটি হল এটি ক্লাউড বেইসড এই কারণে এর সব ফাইল গুলো ক্লাউড এর মধ্যে থাকে এবং প্রোগ্রাম বা কম্পাইলার রান করতে এর অধিক পরিমাণে জায়গা এর দরকার হয় না। অ্যাপটি যেসকল ভাষা সাপোর্ট করে সেগুলো লিস্ট আকারে নিচে দিচ্ছি যদি আপনি প্রেকটিস করতে চান এর মধ্যে নিচের কোনটি তাহলে দেখে নিতে পারেন ।
এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি ৫০ টির ও বেশি ভাষা প্রেকটিস করতে পারবেন। অ্যাপটির বাংলাদেশী নাম দিলে এর নাম হত একের ভেতর সব।

  1. C
  2. C++
  3. C#
  4. Java
  5. Python 3
  6. Python 2
  7. PHP
  8. Html
  9. Css
  10. Node Js
  11. VisualBasic
  12. Assembly
  13. Objective C
  14. Ruby : Ruby version 1.9
  15. Go : Go Lang 1.6
  16. Lua : Lua Interpreter 5.2
  17. VB.net
  18. F#
  19. Common Lisp
  20. R
  21. Scala
  22. Perl
  23. Pascal
  24. Swift
  25. Tcl
  26. Prolog
  27. Haskell
  28. Clojure
  29. Kotlin
  30. Groovy
  31. Scheme
  32. Rust
  33. Bf
  34. And More…..


SYNC

আমি শুরুতেই বলেছি আমার ব্যাবহার করা ৩ টি অ্যাপ এর মধ্যে আমার এটি সবচেয়ে বেশি পছন্দ।
এর কারণ হচ্ছে এর সিংক, আপনি যদি একাধিক ডিভাইসে গুগল আইডি বা অন্য কোনো উপায়ে লগইন করেন তবে এক ডিভাইসে কোড লেখার পর আপনি সেটি সাথে সাথে অন্য ডিভাইসে একসেস করতে পারবেন। বর্তমানে আমি ডাবল ফোন ইউস করি এবং আমার এক ফোন এর চার্জ শেষে আমি ফোন চার্জ এ দিয়ে অন্য ফোন এর মধ্যে আমার কোড কমপ্লিট করি।বিষয়টি আমার খুব ভাল লাগে এবং কোডগুলো যত্নে সেইভ থাকে অ্যাপ ক্রেশ করার কোনো সুযোগ নেই। যেহেতু অ্যাপটি ক্লাউড based তাই আপনাকে সবসময় ইন্টারনেট কানেকশন সংযুক্ত করে রাখতে হবে এবং এই কারণে কোনো শব্দ লেখার সাথে সাথে সেটি অনলাইনে সেইভ হয়ে যায়। আপনার তৈরি করা ফাইলটি আপনি চাইলে প্রাইভেট অথবা পাবলিক করে রাখতে পারেন। এবং এই ফিচারটি ও আমার খুব পছন্দ হয়েছে।

CHALLANGES

অ্যাপটির মধ্যে রয়েছে চ্যালেঞ্জ এর ব্যাবস্থা। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা দিয়ে এর ইউজার গুলো এইসব প্রবলেম ক্রিয়েট করে রেখেছে এবং এগুলো সলভ করার মাধ্যমে অ্যাপ এর মধ্যে আপনার পয়েন্ট বাড়বে এবং লিডার বোর্ডে আপনার রেঙ্ক বাড়বে। এই অপশনটি অন্য একটি কারণ আমার এই অ্যাপটিকে টপ এ রাখার জন্য। একটি উদাহরণ দেই ধরুন আপনাকে বলা হল ৩ টি সংখ্যার গর বের করার প্রোগ্রাম লিখ। সেটি আপনি আপনার পছন্দের ভাষায় বা আপনাকে নির্দিষ্ট করে দেয়া ভাষায় লিখতে হবে। লিখার পর কোডটি রান করবেন তারা অটোমেটিক চেক করে নিবে আউটপুট ঠিক আছে কিনা। ইনপুট আগে থেকে দেওয়া থাকে। কোনো চ্যালেঞ্জ অনেকেই একসেপ্ট করতে পারে একসাথে। অ্যাপটি এর মধ্যে নিয়মিত চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনি আপনার স্কিল কে নিয়ে যেতে পারবেন সম্পূর্ন এক অন্য লেভেলে।
আমরা যারা প্রোগ্রামিং করি তারা বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে প্রবলেম সলভ করে থাকি কিন্তু এটি এমন একটি অ্যাপ যেখানে আপনি কোড লিখার সাথে সাথেই প্রবলেম সলভ করবেন। ব্যাপারটি বেশ ইউস্ফুল এবং আমার ভাল লেগেছে এই বিষয়টি।

SETTING


অ্যাপটির রয়েছে নিজস্ব সেটিং মেনু এবং এর সাহায্য আপনি কম্পাইলার এর সাইজ , লেখার সাইজ এইসব পরিবর্তন করতে পারবেন। আপনি চাইলে অ্যাপ টির ফন্ট পরিবর্তন করতে পারবেন। এতে বিল্ট ইন অনেক গুলো ফন্ট রয়েছে সেগুলো থেকে বাছাই করে নিতে পারেন। ফন্ট এর পাশাপাশি থিম বাছাই করতে পারেন। আপনার পছন্দ অনুযায়ী লেখার সাইজ করতে পারেন । এতে html আউটপুট এর সুবিধা আছে এবং সেটিং থেকে চাইলে আপনি চালু করে নিতে পারেন codewarp.
অ্যাপটির রয়েছে নিজস্ব বিল্ট ইন কিবোর্ড। যদিও আমি গুগল কিবোর্ড ব্যাবহার করে সব কাজ করি কিন্তু আপনি চাইলে decoder keyboard ব্যাবহার করে দেখতে পারেন। আপনার ভাল লাগতে পারে, এই কিবোর্ডটি কোডিং এর কথা মাথায় রেখে বানানো হয়েছে তাই বলতে পারি এটি আপনাকে হতাশ করবে না।

FEED

অ্যাপ টিতে ফিড নামে একটি অপশন আছে। এর সাহায্য আপনি trending কি আছে সেটি দেখতে পারবেন। অন্যান্য প্রোগ্রামার দের প্রজেক্ট এবং তাদের পাবলিক করা কোড গুলো আপনি দেখতে পারবেন। তারা কি চ্যালেঞ্জ দিল সেটি আপনি দেখতে পারবেন। শুধু দেখতে para এই ফিডের কাজ না আপনি চাইলে পাবলিক করা সব ফাইল এবং প্রজেক্ট একসেস করতে পারবেন। এই কাজটির জন্যই হয়ত পয়েন্ট খরচ হয়। আপনি রেফার করার মাধ্যমে যে পয়েন্ট পাবেন তার কিছুটা এইসব পাবলিক ফাইল খুলতে খরচ হবে। এই ছাড়া পয়েন্ট এর তেমন কোনো কাজ আর আমি দেখি না।

USEFUL FEATURES


অ্যাপটির ইউসফুল ফিচারগুলোর মধ্য রয়েছে এর কম্পাইলার মডিফিকেশন। একাধিক ভাষায় লেখালেখি করার সুযোগ। বিভিন্ন রকমের চ্যালেঞ্জ এবং সেগুলো সলভ করা। ফিড থেকে পাবলিক ফাইল একসেস করা। রিয়েল টাইম সিংক এর ব্যাবস্থা। এক বা একাধিক ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে কাজ করা। এক বা একাধিক প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করা। Redo/undo করার সুযোগ রয়েছে এতে । লিডার বোর্ড আছে আপনার পজিশন দেখার জন্য। কোড প্রেকটিস এর মাধ্যমে আপনার স্কিল বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ফিচার হচ্ছে সিনট্যাক্স হাইলাইট করা। কাস্টম মেনু, কাস্টম কোড এডিটর, ফন্ট সাইজ এডিট, বিভিন্ন রকমের থিমস সহ রয়েছে নানান রকমের ফিচার। অ্যাপটি আপনি যেকোন অ্যান্ড্রয়েড ফোন চালানোর পাশাপাশি ওয়েব ব্রাউজারে ও আপনি উপেন করতে পারবেন এটি। যেসকল কোড আপনি লিখেছেন সেগুলো আপনি চাইলে ব্রাউজার এর মাধ্যমে পিসি বা অন্য কোনো ডিভাইস এর সাহায্য একসেস করতে পারবেন। আমার জানা মতে এমন অন্য কোনো কম্পাইলার নেই যা আপনাকে এতগুলো ফিচার দিবে বিনামূল্য। আপনি চাইলে আপনার git থেকে ফাইল ইমপোর্ট করতে পারেন। ফ্রেন্ড দের সাথে আপনার কোড গুলো শেয়ার করতে পারেন। আপনার ফাইল শেয়ারের অপশন আছে ফ্রেন্ড দের সাথে এবং রয়েছে আপনার কোড এর মধ্যে কমেন্ট করার অপশন। কোড শেখার জন্য এর চেয়ে ভাল কোনো অ্যাপ আর হয় না। সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা ধারা পরিপূর্ন এই অ্যাপ এবং নিয়মিত আপডেট এর মাধ্যমে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করার পাশাপাশি বিভিন্ন ছোটখাট bug ভাল্লুক দূর করা হচ্ছে। আশা করি এই অ্যাপ টি ব্যাবহার করার মাধ্যমে আপনি একদম নিরাশ হবেন না ।

CREATE


অ্যাপটির মধ্যে আপনি যেকোন ভাষায় কোডিং এর জন্য ফাইল create করতে পারবেন। আপনি চাইলে আপনার নিজের মত করে চ্যালেঞ্জ দিতে পারেন। আপনি চাইলে আপনার git ক্লোন করতে পারেন। একাধিক ফাইলের সাথে আপনি কোনো প্রজেক্ট ওপেন করে সেখানে কাজ করতে পারেন।
কমিউনিটি এর মধ্যে আপনি যেকোন প্রশ্ন করতে পারেন । কোডিং রিলেটেড বা অন্য কোনো প্রশ্ন থাকলে আপনি কমিউনিটিতে জিজ্ঞেস করে সাহায্য পেতে পারেন। আপনি চাইলে বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল লিখতে পারেন । আপনি বীগিনার দের জন্য অথবা আপনি নতুন কিছু শিখলে আপনি দে বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে পারেন। আপনি অন্যকে শেখানোর মাধ্যমে নিজের স্কিল ডেভেলপ করতে পারেন।

PROBLEMS

অ্যাপটি ব্যাবহার করে তেমন কোনো মেজর সমস্যা আমি পাইনি। সবসময় ইন্টারনেট কানেকশন না থাকতে পারে সেক্ষেত্রে এই অ্যাপটি কোনো কাজের না। যদিও এর আলোচনা আগে করেছি কেন ইন্টারনেট দরকার এই অ্যাপ এর। এর কম্পাইলার অফলাইন এর কম্পাইলার গুলোর চেয়ে তুলনামূলক ভাবে স্লো কাজ করে। বেশ কিছু লাইব্রেরী ফাংশন এখানে কাজ করে না তারমধ্যে একটি হল graphics.h এর চ্যালেঞ্জ এর মধ্যে একটি ব্যাপার হল চ্যালেঞ্জ গুলো সব এলোমেলো। এর মধ্যে beginner এবং এক্সপার্ট দের জন্য আলাদা কোনো ক্যাটাগরি নেই । যার যার মত চ্যালেঞ্জ গুলো দেয়া আছে এবং এগুলো থেকে আমার লেভেলের প্রবলেম খুঁজে সলভ করা বিরক্তি কর। এতে প্রায় ২০ লাখের মত coder আছে এবং তারা নিয়মিত কোডিং করে যাচ্ছে। আমি যে সমস্যা গুলোর কথা বললাম সেগুলো আসলেই কোনো সমস্যাই না। কিন্তু তারপরেও এইসব কারণে অ্যাপ টিকে ১০০ পারসেন্ট পারফেক্ট বলা যাচ্ছে না, কেননা কোনো কিছুই পারফেক্ট না।

REFFERAL


অ্যাপটির মধ্যে আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব – আত্মীয় সজন সবাইকে ইনভাইট করতে পারবেন সোসিয়াল মিডিয়া এবং অন্যান্য মাধ্যমে। প্রতিজন কে ইনভাইট দিলে আপনাকে ১০০ পয়েন্ট করে দিবে কিন্তু এই পয়েন্ট এর কি কাজ সেটি আমি এখনও ভাল করে জানি না। আপনি ইন্সটল করার পর চাইলে আমার রেফার কোড হিসেবে yasirycs ব্যাবহার করতে পারেন।
এটি হল dcoder নিয়ে আজকে আমার বিস্তারিত পোস্ট, আশা করি এর মাধ্যমে আপনার একটু হলেও উপকৃত হয়েছে । আগামীতে আমি প্রোগ্রাম রিলেটেড আরো অনেক পোস্ট করব যদি আপনারা চান।

Tested Device

Device: Samsung J6
Android: 11
Root: Rooted (Magisk)
Magisk: Latest Rom:Pixle Experience

The post কোডিং করার জন্য ক্লাউড বেইসড একটি কম্পাইলার যেখানে সব ভাষা সাপোর্ট করে, সকল প্রোগ্রামারদের জন্য appeared first on Trickbd.com.

বিজ্ঞান ও ইসলাম কি পরস্পর প্রতিপক্ষ?

Posted:

[লেখাটি ২০২০ সালের আগস্টে প্রথম নিয়নবাতিতে প্রকাশিত এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী কিছুটা সম্পাদনা হয়েছে। বর্তমানে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ বিষয়ক বিতর্কে এটি প্রাসঙ্গিক মনে হওয়াতে ট্রিকবিডিতে প্রকাশ করা।]

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু। অজ্ঞতাবশত অনেকের মধ্যে ধারণা প্রচলিত আছে, বিজ্ঞান ও ধর্ম বিপরীতধর্মী কথা বলবে, দুটো একসাথে চলতে পারে না। এ থেকে কেউ কেউ বিজ্ঞান ও ধর্মকে প্রতিপক্ষরূপে উপস্থাপন করে। অর্থাৎ, বিজ্ঞান ও ধর্মের একটা বেছে নিতে হবে।

ইসলাম নিয়েও কারো ধারণা এমনটাই। কিছুটা ইসলাম চর্চা করেন, এমন অনেকের মধ্যেও ধারণা দেখা যায়, বিজ্ঞান বিজ্ঞানের স্থানে, ইসলাম ইসলামের স্থানে। বিজ্ঞান ও ইসলামকে মিক্স আপ করা যাবে না। দুটো আলাদাভাবে থাকবে। ব্যক্তিজীবনে একজন সালাত, সাওম এরকম ইবাদত পালন করতে পারে, কিন্তু বিজ্ঞানের কোন কথা ইসলামের মাধ্যমে যাচাই করা যাবে না।

অনেক বিষয়ে বাস্তবিক ভাবেই ইসলাম ও বিজ্ঞান কিছুটা ভিন্ন কথা বলে। তাহলে, এখানে আমাদের মনোভাব কেমন হওয়া উচিৎ?

ইসলাম: একটি পূর্ণাঙ্গ দ্বীন

ধর্ম বলতে আমরা অনেকে একজন ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করে নেওয়া, তার উপাসনা ও আনুসঙ্গিক কিছু আনুষ্ঠানিকতা অনেকটা এরকম বুঝে থাকি। কোন কোন ধর্মের ক্ষেত্রে এই সংজ্ঞা প্রযোজ্য হতে পারে, কিন্তু ইসলাম এর চেয়ে বেশি কিছু।

ইসলাম ব্যাপারটার সাথে সবচেয়ে বড় অবিচার হলো একে 'ধর্ম' বলা

– শামসুল আরেফিন শক্তি

ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পন। একজন মুসলিম একমাত্র আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পন করে এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর নির্দেশনা মেনে চলে। ইসলাম হলো আল্লাহ তায়ালার মনোনীত দ্বীন। এখানে আছে একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা।

আজান হলে আমি মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে আসবো, আবার নামাজ শেষে মদ-গাঁজা নিয়ে পড়ে থাকবো, ইসলাম এরকম কোন ধর্ম নয়। বরং এখানে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের দিকনির্দেশনা রয়েছে।তাই জীবনের কোন কাজই ইসলামের বাহিরে নয়। হোক সেটা সালাতে দাঁড়ানো কিংবা জ্ঞানচর্চা। আমাদের প্রতিটি কাজ হতে হবে আল্লাহর জন্য।

আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।

সূরা আল মায়িদাহ – আয়াত ৩

বিজ্ঞান কী?

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান অর্থ বিশেষ জ্ঞান, আর ইংরেজি ভাষায় Science শব্দটি ল্যাটিন শব্দ scientia থেকে, যার অর্থ জ্ঞান। তবে সব ধরণের জ্ঞানকে বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। কোন জ্ঞানকে বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত বিবেচনা করা হবে, তা নিয়ে কিছু জায়গায় ভিন্নমত রয়েছে, যেটা স্বাভাবিক।

প্রচলিতভাবে, গবেষণা ও পরীক্ষণের ভিত্তিতে কোন বিষয় সম্পর্কে অর্জিত প্রমাণিত জ্ঞান ও যুক্তিযুক্ত পূর্বাভাসকে আমরা বিজ্ঞান হিসেবে ধরে থাকি। আমরা যদি উইকিপিডিয়ার সংজ্ঞা দেখি, সেখানে বলা হয়েছে, " Science is a systematic enterprise that builds and organizes knowledge in the form of testable explanations and predictions about the universe ।"

এই সংজ্ঞা যদি আমরা গ্রহণ করি, তাহলে বিজ্ঞানকে কেবল নিশ্চিত প্রমাণিত বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। বিভিন্ন হাইপোথিসিস, প্রেডিকশন বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত হবে।

এখন ব্লাক হোলের অস্তিত্ব প্রমাণিত। আমরা কিছুদিন আগে ব্লাক হোলের ছবি পেয়েছি। তবে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব থেকে প্রথম যখন ব্লাক হোলের ধারণা করা হয়েছিলো, তখন কিন্তু এটা প্রমাণিত ছিলো না।

মানুষের সীমাবদ্ধতা ও পরিবর্তনশীল বিজ্ঞান

বিজ্ঞান যেহেতু কিছু শর্তসাপেক্ষে মানুষের অর্জিত জ্ঞানেরই সংগ্রহশালা, তাই মানুষের সীমাবদ্ধতাগুলো বিজ্ঞানের জন্যও প্রযোজ্য। মহাবিশ্বে যে কতশত রহস্য লুকিয়ে আছে, তার খুব অল্পই আমরা জানি।

আল্লাহ তায়ালা বলেন:

‍আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সুপ্রতিষ্ঠিত ধারক। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না। তাঁর জন্যই আসমানসমূহে যা রয়েছে তা এবং যমীনে যা আছে তা। কে সে, যে তাঁর নিকট সুপারিশ করবে তাঁর অনুমতি ছাড়া? তিনি জানেন যা আছে তাদের সামনে এবং যা আছে তাদের পেছনে। আর তারা তাঁর জ্ঞানের সামান্য পরিমাণও আয়ত্ব করতে পারে না, তবে তিনি যা চান তা ছাড়া। তাঁর কুরসী আসমানসমূহ ও যমীন পরিব্যাপ্ত করে আছে এবং এ দু'টোর সংরক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ, মহান।

সূরা আল বাকারা – আয়াত ২৫৫ (আয়াতুল কুরসী)

এই আয়াতে আল্লাহ রব্বুল আ'লামীন স্পষ্ট ঘোষণা করে দিয়েছেন, আল্লাহ তায়ালা সকল বিষয়ে জানেন। অন্যদিকে, মানুষ শুধুমাত্র সে জ্ঞানটুকুই অর্জন করতে পারেন, যতটুকু তিনি চান।

মানুষের জ্ঞানের এই সীমাবদ্ধতা বিজ্ঞানও স্বীকার করে। কোয়ান্টাম মেকানিক্স থেকে আমরা জানতে পেরেছি, প্রকৃতির সব রহস্য আমরা কখনোই জানতে পারবো না। একটা পর্যায়ে গিয়ে বিজ্ঞানীরা আর বলতে পারবেন না যে, এটা এরকম, বরং সর্বোচ্চ এমনটা বলতে পারবেন, এটা এরকম হতে পারে।

সময়ের সাথে আমরা নতুন নতুন তথ্য জানছি। আমাদের জ্ঞানের পরিধি একটু একটু করে বাড়ার সাথে সাথে বিজ্ঞানও আধুনিক হচ্ছে। বিজ্ঞানের পুরনো ধারণাগুলো ভুল প্রমাণিত হয়ে নতুন ধারণা সে স্থান নিচ্ছে। আবার একদিন হয়ত সেটাও বদলে যাচ্ছে।

টলেমি জন্ম নিয়েছিলেন ১০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে। তিনি বলেছিলেন, পৃথিবী আছে জগতের কেন্দ্রে, আর গ্রহ-নক্ষত্র যা কিছু আছে সবকিছু পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। তখন মানুষেরাও এটাই বিশ্বাস করেছে।

কিন্তু তারপর কেউ কেউ দেখলেন আকাশের কিছু তারার গতিপথের দিকে তাকিয়ে কথাটা ঠিক মেলানো যাচ্ছে না। ষোড়শ শতকের দিকে নিকোলাস কোপারনিকাস বললেন, সূর্য কেন্দ্রে, পৃথিবীসহ গ্রহগুলো সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। প্রায় দেড় হাজার বছর যেটা ছিলো বিজ্ঞান, সেটা বদলে গেলো। আচ্ছা, এখন যদি কেউ পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেলে বিশ্বাসী হয়, তাকে কি বিজ্ঞানমনস্ক বলা যাবে?

বিজ্ঞানী নিউটন বললেন, আলো এক ধরণের কণা। বিজ্ঞানী হাইগেন বললেন, না, আলো এক ধরণের তরঙ্গ, যেটা ইথার মাধ্যমে বিচরণ করে। বিজ্ঞানী মাইকেলসন ও মোরলে পরীক্ষা করে জানিয়ে দিলেন ইথার বলে কিছু নাই। বিজ্ঞানী ম্যাক্সওয়েল বললেন, আলো আসলে তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ। মাধ্যম ছাড়া চলে। বিজ্ঞানী ম্যাক্স প্লাঙ্ক বললেন, আলো আসলে গুচ্ছ গুচ্ছ কনা আকারে নির্গত হয়। এটাই সাইন্স, এটা ধ্রুব কিছু নয়। মানুষের নতুন কিছু জানার সাথে যেটা বদলে যেতে থাকে।

বিশ্বজগতের যে অংশটুকু থেকে পৃথিবীতে আলো পৌঁছেছে, তা হলো পৃথিবীর চারিদিক থেকে প্রায় চার হাজার ছয়শ পঞ্চাশ কোটি আলোকবর্ষ। এই এরিয়াটুকুকে বলা হয় দৃশ্যমান মহাবিশ্ব। যত শক্তিশালী টেলিস্কোপই হোক না কেন, মানুষ এর বাইরে দেখার ক্ষমতা রাখে না।

কসমিক ইনফ্ল্যাশন তত্ত্ব বলছে, সম্পূর্ণ মহাবিশ্ব এই দৃশ্যমান মহাবিশ্বের 1.5*10^23 গুণ আর হতে পারে তা অসীম। এর বাহিরে মাল্টিভার্স বা প্যারালাল ইউনিভার্স, এসবের কথা না-ই বা বলি। সম্পূর্ণ মহাবিশ্বও না ধরি, শুধু দৃশ্যমান মহাবিশ্বের কতটুকু মানুষ জানে? বলা হয়, পৃথিবীর সমুদ্র তলদেশের মাত্র ৫% মানুষ উম্মোচন করতে পেরেছে। এই পৃথিবীরই কত রহস্য জানা বাকি রয়ে গেছে!

পক্ষপাতী বিজ্ঞান

বিজ্ঞানীরাও কিন্তু মানুষ। তারা মানবীয় দোষত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। বিজ্ঞানের অন্ধকার দিকও রয়েছে। কখনো বিজ্ঞানীরা নিজেরাই পক্ষপাতী হয়েছেন, অথবা কখনো সামাজিক, রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় চাপ তাদেরকে পক্ষপাতী করেছে। কখনো ফলাফল নির্ধারিত হয়ে গেছে গবেষণার আগেই, আর কখনো সত্যকে গোপন করা হয়েছে। কখনো পূর্বের বদ্ধমূল ধারণাকে ঠিক রাখতে গবেষণা এদিক-ওদিক করে ফেলা হয়েছে।

ইদানীং আমরা যে IQ টেস্ট করি সেই পদ্ধতিটি ১৯৫০-এর দশকে Dr. D Wechsler-এর বানানো। শুরুতে তিনি পেলেন, ৩০-এরও বেশি টেস্ট নারী-পুরুষের মাঝে 'একজনের' পক্ষে 'বৈষম্য' করছে। যেন, টেস্টেরই দোষ, সে কেন একই রেজাল্ট দিচ্ছে না। কেন দুই লিঙ্গ দুই রকম পারফর্ম করবে? উভয়ে তো সমান। অতএব, টেস্টই ঠিক নেই। বুইঝেন ব্যাপারটা।

পারফর্মেন্স গ্যাপ যেগুলোতে বেশি, সেই টেস্টগুলো বাদ দিয়ে দিলেন Wechsler সাহেব। 'সমস্যা'টা সমাধান করা দরকার। এরপরও যখন দুই লিঙ্গকে সমান দেখানো যাচ্ছে না, তখন যেটা করা হল: কিছু টেস্ট রাখা হল যেগুলোতে পুরুষ ভালো করে, নারী খারাপ করে। আর কিছু টেস্ট রাখা হল, যেগুলোতে নারীরা ভালো করে, পুরুষ খারাপ করে। পুরোটাকে বলা হল 'IQ টেস্ট'; এবং 'নারী-পুরুষ' আইকিউ সমান।

এই হল বিজ্ঞানের অবস্থা। যখন গবেষণার রেজাল্ট আপনার পছন্দ হচ্ছে না, মনমতো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে আপনি প্রাপ্ত ডেটাগুলো এদিক-সেদিক করে নিচ্ছেন। উদাহরণ যেন, অলিম্পিকে কোনো পোলভোল্ট ইভেন্টে কয়েকজন অ্যাথলেটকে আপনি ওজনের বাটখারা বেঁধে দিচ্ছেন। আর কয়েকজনকে পোলের উচ্চতা কমিয়ে দিচ্ছেন। যাতে 'সত্য'টা প্রমাণিত হয় যে, শক্তি আর দ্রুততা যাই হোক, সৃষ্টিগতভাবে সব পোলভল্টারই সমান। (all the pole-vaulters, regardless of their prowess and agility, are created equal)

ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২ – শামসুল আরেফিন শক্তি

তবে এটা বিজ্ঞানের অপব্যবহার, যা কিছু মানুষ করেছে এবং করছে- কেননা বিজ্ঞান কোন নির্দিষ্ট অথোরিটির হাতে সীমাবদ্ধ নয়। বিজ্ঞানের অপব্যবহার আর অপপ্রয়োগগুলো নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে সবসময়ই।

যিনি সব জানেন…

ইসলাম এসেছে এই সমগ্র বিশ্ব জাহানের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তার কাছ থেকে, যিনি সবকিছু জানেন ও সবকিছুই তার আয়ত্তাধীন। আল্লাহ তায়ালা বলেন,

আমি যাকে ইচ্ছা, মর্যাদায় উন্নীত করি এবং প্রত্যেক জ্ঞানীর উপরে আছে অধিকতর এক জ্ঞানীজন।

সূরা ইউসুফ – আয়াত ৭৬

আল্লাহ তায়ালা তার প্রেরিত কিতাবকে প্রজ্ঞাময় উল্লেখ করেছেন,

প্রজ্ঞাময় কোরআনের কসম।

সূরা ইয়াসিন – আয়াত ২

আল কুরআনে বিজ্ঞান

বিজ্ঞান কিছু বছর আগে যেটা আবিষ্কার করেছে, তার অনেক কিছুই কুরআনে রয়েছে চৌদ্দশত বছর আগে থেকেই। সূরা আল আম্বিয়ার ৩০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন:

অবিশ্বাসীরা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল; অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম; এবং জীবন্ত সব কিছু পানি থেকে সৃষ্টি করলাম; তবুও কি তারা বিশ্বাস করবে না?

সূরা আল আম্বিয়া – আয়াত ৩০

আশ্চর্যজনক নয় যে, বর্তমান বিজ্ঞানের সাথে কুরআনের এই আয়াত মিলে যায়। বিগ ব্যাং থিউরিতে এরকমটাই বলা হয়েছে। আর প্রাণের সূচনা যে পানি থেকে হয়েছে, বর্তমান বিজ্ঞানের ধারণাও এরকমই।

এরপর সূরা আয যারিয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন:

আমি আমার ক্ষমতাবলে আকাশ নির্মাণ করেছি এবং আমিই একে সমপ্রসারিত করছি।

সূরা আয যারিয়াত – আয়াত ৪৭

এখানেও আধুনিক বিজ্ঞান আল্লাহ রব্বুল আলামীনের কথারই স্বীকৃতি দিবে। বর্তমান বিজ্ঞান সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্বের ধারণা সমর্থন করে। আর এটা কুরআনের মু'যেজার একটি যে, বিজ্ঞান যত আধুনিক হবে, স্বাভাবিকভাবেই বিজ্ঞান কুরআনের কথাগুলোরই সত্যতার সাক্ষ্য দিতে থাকবে।

কুরআন পৃথিবীর কোন মানুষের রচনা হলে এটা সম্ভব হতো না। কারণ, কুরআনের অনেক তথ্য মানুষ জেনেছে কুরআন নাজিলের অনেক পরে। আর এখানে দুএকটি উদাহরণ দেওয়া হলো, এরকম আরো অনেক বৈজ্ঞানিক তথ্য মহাগ্রন্থ আল কুরআনে রয়েছে।

বৈপরীত্ব ও করণীয়

মানুষ সর্বজ্ঞানী নয়, মানুষের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। মানুষের পক্ষে সবকিছুর চূড়ান্ত রায় দেয়া সম্ভব না, সবকিছু জানা সম্ভব না- বিজ্ঞান এটা স্বীকার করে। এই সীমাবদ্ধতাকে পাশে রেখেই মানুষের জ্ঞানকে আরো উন্নততর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া বিজ্ঞানের সাধনা। কিন্তু বিজ্ঞানকে মানবীয় ত্রুটির ঊর্ধ্বে পরম সত্য ধরে নেওয়া যেতে পারে কি? কখনোই না!

বিজ্ঞান কোন পরম স্ট্যান্ডার্ড হওয়া সম্ভব নয়, কেননা মানবীয় সব সীমাবদ্ধতাই বিজ্ঞানের জন্য প্রযোজ্য। বিজ্ঞানীদের মধ্যে ভিন্নমত থাকবে, বিজ্ঞানের কখনো অপব্যবহার হবে- এটা বাস্তবতা। কিন্তু বিজ্ঞান হলো মানুষের জ্ঞান আহরণের নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া- মানুষের অস্তিত্বের সাথে বিজ্ঞানের অস্তিত্ব অনিবার্য।

তাই বিজ্ঞানকে আমরা ইসলামের প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখি না, আবার বিজ্ঞানকে পরম সত্যও মনে করি না। আমরা বিজ্ঞান দিয়ে কুরআনকে জাস্টিফাই করব না। বিজ্ঞান যা বলছে তা যদি কুরআন বা ইসলামের সাথে না মিলে, তাহলে আমরা বলবো, ইসলাম সত্য, এবং বিজ্ঞান হয়ত পরবর্তীতে ইসলাম যা বলেছে তার সত্যতার সাক্ষ্য দিবে।

এর কারণ হলো, ইসলাম এসেছে আল্লাহ রব্বুল আলামীনের কাছ থেকে, যিনি সবকিছুই জানেন ও দেখেন। ইসলাম যা বলেছে, তার কোন পরিবর্তন হবে না, অথচ আজকের বিজ্ঞান কালকেই বদলে যেতে পারে।

ইসলামে চিন্তা ও গবেষণার গুরুত্ব

আল্লাহ তায়ালা বিজ্ঞান বা জ্ঞানচর্চাকে কুরআনের প্রতিপক্ষ করেননি। বরং জ্ঞানচর্চাকে কুরআনে উৎসাহিত করা হয়েছে। কুরআনের প্রথম যে আয়াত নাজিল হয়েছে, সেখানেই বলা হয়েছে,

তুমি পড় তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।

সূরা আল আলাক্ব – আয়াত ১

সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করলে স্রষ্ঠার মহিমা বোঝা যায়। কুরআনে সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-গবেষণা ও জ্ঞান অর্জনের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

যারা আল্লাহকে দন্ডায়মান, উপবিষ্ট এবং শায়িত অবস্থায় স্মরণ করে থাকে এবং আসমান ও যমীনের সৃষ্টির ব্যাপারে চিন্তা করে (ও বলে) : 'হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এসব অনর্থক সৃষ্টি করনি, তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি, সুতরাং আমাদেরকে অগ্নির শাস্তি হতে রক্ষা কর।

সূরা আল ইমরান – আয়াত ১৯১

আল্লাহ তায়ালা তার সৃষ্টিতে নিদর্শন রেখেছেন। তাই আমাদের চিন্তা ও গবেষণা করতে হবে।

তিনি তা দিয়ে তোমাদের জন্য জন্মান শস্য, যায়তূন, খেজুর, আঙ্গুর এবং সর্বপ্রকার ফল। এতে চিন্তাশীল মানুষদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। তিনিই রাত ও দিনকে তোমাদের উপকারে নিয়োজিত করেছেন। আর সুরুজ ও চাঁদকেও; এবং তারকারাজিও তাঁরই নির্দেশে নিয়ন্ত্রিত; বিবেকসম্পন্ন লোকেদের জন্য এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে।

সূরা আন নাহল – আয়াত ১১-১২

আল কুরআনে আরো বলা হচ্ছে:

নিশ্চয় আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টির মধ্যে, রাত ও দিনের পরিবর্তনের মধ্যে, যে সব জাহাজ মানুষের লাভের জন্য সাগরে চলাচল করে তাদের মধ্যে, আল্লাহ আকাশ থেকে যে পানি বর্ষণ করে মৃত ভূমিকে জীবিত করেন এবং সকল প্রকার প্রাণী তাতে ছড়িয়ে দিয়েছেন, আর বায়ুরাশির প্রবাহের মধ্যে (গতি পরিবর্তনে) এবং আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী (আল্লাহর আজ্ঞাধীন ভাসমান) মেঘের মধ্যে জ্ঞানী লোকের জন্য অবশ্যই (আল্লাহর মহিমার) বহু নিদর্শন রয়েছে।

সূরা আল বাকারা – আয়াত ১৬৪

মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, আমরা চিন্তা ও গবেষণার সাথে এই গ্রন্থ থেকে নতুন নতুন তথ্য জানতে পারবো।

তাহলে তারা কি (আল্লাহর) এ বাণী সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে না? কিংবা তাদের কাছে এমন কিছু (নতুন বস্তু) এসেছে যা তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে আসেনি?

সূরা আল মু'মিনুন – আয়াত ৬৮

এখন আমরা ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে জানি, কিন্তু কুরআন যখন নাজিল হয়,তখন মানুষের এ বিষয়ে ধারণা ছিলো না। সূরা আল ওয়াকিয়ার ৭৫ নম্বর আয়াতে বলা হচ্ছে,

সুতরাং আমি কসম করছি নক্ষত্ররাজির অস্তাচলের, আর নিশ্চয় এটি একটি মহাকসম, যদি তোমরা জানতে,

সূরা আল ওয়াকিয়া – আয়াত ৭৫, ৭৬

বর্তমানে এই আয়াতের ব্যাখ্যা করা হচ্ছে যে, এখানে কৃষ্ণগহ্বর বিষয়ে বলা হয়েছে। এটা কুরআনের একটি মু‌‌'জেজা যে, চিন্তা ও গবেষণা করলে আমরা কুরআন থেকে নতুন নতুন তথ্য জানতে পারব। এটা এমন এটি গ্রন্থ যা চির আধুনিক।

বিজ্ঞান কি ইসলামের প্রতিপক্ষ?

ইসলাম চিন্তা ও গবেষণাকে উৎসাহিত করে। সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা মানুষকে আল্লাহর নিকটবর্তী করতে পারে। বিজ্ঞান ও ইসলাম প্রতিপক্ষ নয়। তবে, ইসলাম এসেছে স্রষ্ঠার নিকট থেকে যিনি সমস্ত ভুলত্রুটি থেকে পবিত্র। অন্যদিকে, বিজ্ঞান মানবীয় দোষত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়।

বিজ্ঞান ও ইসলাম প্রতিপক্ষ নয়। তবে একজন বিশ্বাসীর জন্য ইসলাম সবার আগে। বিজ্ঞান ও ইসলামের মধ্যে কোথাও অমিল থাকলে সেটা মানুষের সীমাবদ্ধতা। হতে পারে, ভবিষ্যতে বিজ্ঞান অমিলের বিষয়গুলোতেও ইসলামের সত্যতার সাক্ষ্য দিবে। ইসলাম এসেছে বিশ্বজাহানের প্রতিপালকের কাছ থেকে, আর নিঃসন্দেহে ইসলাম সত্য।

মানুষের মধ্যে কেউ কেউ জ্ঞান, পথনির্দেশ ও দীপ্তিমান কিতাব ছাড়াই আল্লাহ সম্বন্ধে বিতন্ডা করে।

সূরা আল হাজ্জ – আয়াত ৮

আরেকটি বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে, ইসলামের বিধানগুলো আমরা আল্লাহর আদেশ হিসেবেই মানবো। সালাত, সাওম এরকম ইবাদতগুলোর বৈজ্ঞানিকভাবে বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে, আমরা তা নিয়ে গবেষণা করতে পারি এবং এজন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে পারি, কিন্তু আমাদের ইবাদতের উদ্দেশ্য হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি। কোনভাবেই এর ওপরে তার পার্থিব উপকারিতা যেন আমাদের ইবাদতের মূল কারণ না হয়ে যায়।

JWST বিষয়ক সংযোজন

বিজ্ঞান মূলত যুক্তি ও প্রমাণনির্ভর। বর্তমানে মানুষের পরীক্ষণলদ্ধ জ্ঞান অনুযায়ী দূরবর্তী স্থান থেকে আলো আসতে একটা সময় প্রয়োজন। তাই অনেক দূরের কোন কিছুর ছবি তোলা হলে, ছবিটা সেটার বর্তমান অবস্থার না, বরং যত আলো সেখান থেকে আলো আসতে যতটা সময় নিয়েছে, তত আগের অবস্থানের হয়। এটা শুধু JWST-র বেলায় প্রযোজ্য না, হাবল বা অন্য টেলিস্কোপের ছবিগুলোতেও প্রযোজ্য। এমনকি আমরা যখন চোখ দিয়ে দূরবর্তী কোন তারা থেকে আসা আলো দেখি, তারও অতীতের অবস্থা দেখি আমরা। তবে JWST-র মার্কেটিংয়ে এই ব্যাপারটা আনা হচ্ছে বেশি।
ধরা যাক, একটি অন্ধকার রুমকে টর্চ জ্বালিয়ে আলোকিত করা হলো। আপনার থেকে কেউ যদি 9.461 ট্রিলিয়ন কিলোমিটার দূরে থাকে, তাহলে সে সাথে সাথে এই আলো (তথা রুমকে আলোকিত) দেখবে না। আলো তার কাছে যেতে ১ বছর সময় নিবে। ১ বছর পর তার কাছে যখন আলো গেলো, সে মূলত ১ বছর আগে রুমটি থেকে যাত্রা করা আলো দেখছে, অর্থাৎ রুমের ১ বছর আগের অবস্থা দেখতে পাবে সে। অবশ্য এখানে আরেকটি বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। মহাবিশ্ব যেহেতু প্রসারণশীল, এটির একটি প্রভাব রয়েছে। কাজেই বর্তমানে কোনকিছু যত আলোকবর্ষ দূরত্বে আছে, তার থেকে আলো তত বছরের আগেই আসা সম্ভব।
প্রসঙ্গত, আলোকবর্ষ সময়ের না, দূরত্বের একক। এক বছরে আলো যে দূরত্ব অতিক্রম করে সেটা এক আলোকবর্ষ। এটার মান 9.461 ট্রিলিয়ন কিলোমিটার। এই অংশের আলোচনাটুকু সরলীকৃত, এই বিষয়টি নিয়ে আমার বেসিক লেভেলের পদার্থবিজ্ঞানের বাইরে যথেষ্ট পড়াশোনা নেই।

বিশেষ কৃতজ্ঞতা

এই লেখাটি লিখতে শাইখ ইফতেখার সিফাত, সাব্বির হোসাইন ভাই, মনির আহমদ মনির ভাই, মুহাম্মদ রাফসান নাসির ভাই, দীন মুহাম্মদ শেখ ভাই, তৌহিদুর রহমান মাহিন সহ আরো অনেক ভাইয়ের সহযোগিতা পেয়েছি। ভাইদের প্রতি আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। আল্লাহ উনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

সহায়তা:

আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ রব্বুল আলামীনের অশেষ রহমতে তিনি যতটুকু তাওফিক দিয়েছেন লিখতে চেষ্টা করেছি। লেখাটির বিষয়বস্তুর গুরুত্ব বিবেচনায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনে সচেষ্ট থেকেছি। এরপরও কোন ভুলত্রুটি থেকে যেতে পারে, মহামহিম রব এজন্য আমাকে ক্ষমা করুন, আমিন। কোন ভুলত্রুটি চোখে পড়লে আমাকে জানালে ইন শা আল্লাহ সংশোধনে সচেষ্ট হব।

একটি নিয়নবাতি পরিবেশনা

The post বিজ্ঞান ও ইসলাম কি পরস্পর প্রতিপক্ষ? appeared first on Trickbd.com.

ফোনের চার্জ আর এমনি এমনি শেষ হবে না। ফোনকে smooth ভাবে চালানোর জন্য সেরা এ্যাপ। [না দেখলে মিস করবেন ]

Posted:

হ্যালো ট্রিকবিডির দর্শকেরা কেমন আছেন সকলে?

আশা রাখছি অনেক বেশি ভালো আছেন।আর যারা ভালো নেই তারাও এই পোস্ট দেখে ভালো হয়ে যাবেন ইন শাহ আল্লাহ। আজকের পোস্টটাই এমন।বেশি ফালতু বক বক না করে চলুন শুরু করি কাজের কথা।

টাইটেলে তো নিশ্চ্য়ই আপনারা দেখেছেন আজকের পোস্ট টি কি বিষয়ে। আজ আপনাদের মাঝে এমন একটি এ্যাপ শেয়ার করবো যেই app ব্যবহার করে আপনাদের ফোনে যে সকল এ্যাপ আছে সকল এ্যাপ এর force stop করতে পারবেন। এক ক্লিকের মাধ্যমে।

[ যাই হোক আমি তাদের জন্য পোস্ট লিখি না যারা আলতু ফালতু মন্তব্য করে।আমার পোস্ট দেখে উপকৃত হয়ে লাইক করে আর সুন্দর কমেন্ট করে তাদের জন্য মূলত পোস্টটি বানানো।আশা করি সকলেই একটি করে ‘Like’ করবেন ইনশাল্লাহ ]

প্রথমেই দিয়ে দিচ্ছি এ্যাপ টির ডাউনলোড লিংক:
এখানে ক্লিক করে সরাসরি play store থেকে ডাউনলোড করে নিন।

এ্যাপটি ডাউনলোড হয়ে গেলে এ্যাপটি ওপেন করে নিন।যা যা permission চাইবে allow করে দিন।

আমাদের ফোনে এখন মোট ২৮ টি এ্যাপ রান করছে। যা আপনার ফোনকে স্লো করে দিচ্ছে আবার। ফোনের ব্যাটারি drain করছে। আপনি use না করলেও।আপনার এ্যাপ গুলোর force stop করলে আপনার ফোনে অনেকটা ফাস্ট হয়ে যাবে, গরম কম হবে আর ব্যাটারি drain কম হবে। মানে চার্জ অনেক কম খরচ হবে।

Kill লেখা এই option এ ক্লিক করুন।

Permission allow করে দিন।

Accessibility তে নিয়ে যাবে এখন থেকে এ্যাপ টি select করে permission allow করে দিন।

তারপর back button এ press করলে আপনাকে আবার কংক্ষিত এ্যাপ এ নিয়ে আসবে। আবার kill এ press করুন।

এখন অটোমেটিক যত এ্যাপ আপনার ফোনের run হচ্ছে সব এ্যাপ এর force stop হয়ে যাবে।

সব এ্যাপ কিল হওয়ার পর এখন দেখুন আমাদের ফোনে কয়টি এ্যাপ run করছে।মানে কোনো এ্যাপ রান করছে না এখন। ব্যাটারি ও খরচ হবে না এভাবে ফোনে রেখে দিলে।

আশা করি পোস্ট টি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। এতো কষ্ট করে আপনাদের জন্য পোস্ট লিখি। একটা লাইক আশা রাখছি। পোস্টটি ধৈর্যসহকরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। শীঘ্রই আপনাদের মাঝে নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ আল্লাহ যদি তাওফিক দান করেন।

প্রযুক্তি এবং আরো নিত্যনতুন বিষয় সম্মদ্ধে আপডেট পেতে ট্রিকবিডির সাথে থাকুন।

…………..আল্লাহ হাফেজ।ফি আমানিল্লাহ।…………..

ফেসবুকে আমি:For any problem

অথবা যেকোনো সমস্যার সমাধান পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল এ জয়েন হতে পারেন:
Telegram Channel

The post ফোনের চার্জ আর এমনি এমনি শেষ হবে না। ফোনকে smooth ভাবে চালানোর জন্য সেরা এ্যাপ। [না দেখলে মিস করবেন ] appeared first on Trickbd.com.

YOUTUBE PREMIUM | নিয়ে নিন নতুন YT ReVance Apk | আর Enjoy করুন Ads Free YouTube

Posted:

আসসালামু আলাইকুম
➤ট্রিকবিডিবাসী আশা রাখছি সকলে ভালো আছেন।


তো চলুন পোস্টে শুরু করা যাক

Okay

😌

আপনারা অনেকেই YouTube Vance এর সাথে পরিচিত। এডস ফ্রি এবং প্রিমিয়াম ফিচার্স এ ভরপুর।

YouTube Vance নিয়ে আগের পোস্ট টি দেখতে পারেন

২ বছর আগের ⇨Add Free YouTube Vance / Auto Back / Crush Problem Solve

কিন্তু এখন Vance এর ডেভলপার রা Vance Project আর Continue করছেন না। তাদের Official সমস্ত Source Remove করে দিছে। যদিও Unofficial অনেক সাইটে Availble আছেই। এখনো চলছে But কোন আপডেট আসবে না আর।


তাই আজ নিয়ে আসলাম YouTube ReVance এটাও সেম Vance এর মতো।

ReVanced Features এর মধ্যে Background Play & Ads Free কাজের বেশি। 🐸
তবে এটায় রেগুলার আপডেট সহ অনেক ফিচার্স পাওয়া যাবে

ReVanced Team এর Official Telegram Channel + Github এর লিংক দেওয়া থাকলো জয়েন হয়ে নিবেন।

ReVanced Official Channel



ReVanced On Github

এবার লেটেস্ট ReVanced এবং MicroG Install করে নিন


Download From Mega


MicroG

Download From Telegram


MicroG

Download From Mega


ReVanced

Download From Telegram


ReVanced

Screenshots






—————————————————-
⬇

Telegram Channel

⬇

Join Telegram



—————————————————
—————————————————

আল্লাহ হাফিজ

The post YOUTUBE PREMIUM | নিয়ে নিন নতুন YT ReVance Apk | আর Enjoy করুন Ads Free YouTube appeared first on Trickbd.com.

Post a Comment

0 Comments