Search box..

IDOR Tutorial: ওয়েব অ্যাপ্লিকেশান থেকে ইনফরমেশন হ্যাক করা।

IDOR Tutorial: ওয়েব অ্যাপ্লিকেশান থেকে ইনফরমেশন হ্যাক করা।


IDOR Tutorial: ওয়েব অ্যাপ্লিকেশান থেকে ইনফরমেশন হ্যাক করা।

Posted:

আসসালামু আলাইকুম।

আগের পোস্টে সাপোর্ট এবং রেস্পন্স পাওয়ার জন্য নতুন টিউটোরিয়াল নিয়ে আসছি।আজ এডভান্স টিউটোরিয়াল নিয়ে লিখবো।

বি.দ্রঃ আমি ফেসবুক হ্যাক বা ইমু হ্যাক পারি না।তাই ফেসবুকে এই মেসেজগুলো দিবেন না।শুধুমাত্র আমার পোস্টের টপিক নিয়ে সমস্যা থাকলে মেসেজ করতে পারেন।

আজ যে টপিক নিয়ে আলোচনা করব তা Owaps top 10 এর একটি। আজকের টপিক IDOR(Insecure Direct Object Reference)
অনেকে হয়তো এটার বিষয়ে জানেন না তাই প্রথমে জেনে নেয়া যাক।

IDOR কি: এই ভালনেরেবিলিটি দিয়ে প্রধানত পারমিশন বাদেও কোন ওয়েবসাইটের ইউজারের তথ্য দেখা যায়। যেমন আমি কোন ওয়েবসাইটের ইউজারের মোবাইল নম্বর, ইমেইল, ঠিকানা এই রকম ইনফোরমেশন পেতে পারেব। আবার অন্য ইউজারের অ্যাকাউন্ট টেকওভারও করতে পারেন।

IDOR দিয়ে কি কি সম্ভবঃ
১.ওয়েবসাইট থেকে ইনফরমেশন পাওয়া।
২.ইউজারের পাসওয়ার্ড বা ইমেইল পরিবর্তন করা।
৩.ইউজারের ইনফরমেশন পরিবর্তন করা।
৪.ইউজারের অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করা।

ফেসবুক, টুইটার এই জাতীয় ওয়েবসাইটেও এই বাগ পাওয়া গেছে তাই ট্রাই করতে পারেন।

এতে লাভ কি?:
গত কিছু পোস্টে এই প্রশ্নটি পেয়েছি। যদি ফেসবুক হ্যাক না করা যায় তাহলে এই রকম পোস্টের লাভ নাই।
আমি যে পোস্ট গুলো করেছি এইগুলো হ্যাকিং টিউটোরিয়াল। আমি স্পামিং পোস্ট করি না।আমার টিউটোরিয়াল দিয়ে ব্লাক হ্যাট হ্যাকিং এবং সাদা টুপি ও হতে পারেন।বাগ বাউন্টিতে IDOR একটি পরিচিত নাম এবং এটি বাগ বাউন্টি বিগিনারদের জন্য সহজ। সর্বনিম্ন ৫০ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৫০০০ বা তারও বেশি বাউন্টি পেতে পারেন।

যা যা প্রয়োজনঃ
১.পিসি
২.ইন্টারনেট কানেকশন
৩.Burp Suite
৪.আগ্রহ

এখন স্টেপ বাই স্টেপ শুরু করিঃ
১.আপনার টর্গেট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
২.ওয়েবসাইটে লগিন করে আপনার অ্যাকাউন্ট এ প্রবেশ করুন।(প্যারামিটার পাওয়ার জন্য প্রয়োজন)
৩.এখন আমাদের IDOR. খুজতে হবে।তাই প্রথমে Burp Suite এবং ব্রাউজার configure করুন।IDOR খুজতে আপনাকে সব ট্যাব বা সেক্টর বা api এর রেস্পন্স চেক করে দেখতে হবে Burp suite দিয়ে।আপনাকে idor প্যারামিটার খুজতে হবে।প্যারামিটার গুলো অনেক রকমের হয়।যেমন userid,
post id,
user/112342,
login/113354,
account/edit/374838

৪.আমি এই ওয়েবসাইটে ব্যাংক ডিটেইলস অপশনে idor প্যারামিটার পেয়েছি।আমি user id প্যারামিটার পেয়েছি। Bank Details >Add Bank Details >এখন burp suite ওপেন করে intercet on করুন> তারপর OTP/Password যেকোন একটি সিলেক্ট করলে Burp Suite অটো রেসপন্স ক্যাপচার করবে।এই ভাবে আপনি এই ওয়েবসাইটে প্যারামিটারটি পাবেন।



৫.এখন Burp suite এর রেসপন্স দেখতে পাবেন।

এখানে খেয়াল রাখতে হবে সব userid প্যারামিটার কিন্তু idor কাজ করবে না।যে প্যারামিটার গুলোর নাম্বার ধারনা করা যায় শুধুমাত্র এই গুলোই সম্ভব। এখানে আমার নাম্বারটি একটি ধারা বা সিরিয়াল মেইনটেইন করছে।কিন্তু নাম্বারটি 37292993818379292,
324-gjh-233-uhg,
এই রকম বড় ধারণা করা সম্ভব নয় এমন হলে বা প্রতিবার রেন্ডম নাম্বার জেনারেট করলে IDOR সম্ভব নয়।

প্যারামিটারটি সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে Do intercept > Response this request এ ক্লিক করুন।তারপর forward এ ক্লিক করুন।এখন নতুন রেস্পন্স দেখতে পাবেন।

৬.এখন আমরা আমাদের অ্যাকাউন্ট এর ইনফরমেশন দেখতে পাবো।ইমেল এবং মোবাইল নম্বর। সুতরাং এই ওয়েবসাইট ভানরেনেবল। এখন exploit করার পালা।এখন আবার প্রথম স্টেপ থেকে শুরু করেন।আপনার ইউজার আইডি Burp এর রেসপন্স এ নিয়ে আসুন।

৭.এখন আমরা এই রেসপন্সকে forward করব না।যেকোন জায়গায় মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করুন। তারপর Send to repeater অপশনে ক্লিক করুন।intetcept off করুন।

৮.এখন Burp এর রিপিটার ট্যাবে প্রবেশ করুন।

এখানে আপনি আগের রেসপন্স দেখতে পাবেন। নিচে আমাদের ইউজার আইডি খুজুন।

এখন এই আইডি নাম্বার পরিবর্তন করে তার রেস্পন্স দেখব।আইডি নাম্বারের শেষ ২ ডিজিট পরিবর্তন করব।আমার আইডির লাস্ট ২ ডিজিট ০৭ পরিবর্তন করে ০৬,০৫,০৪,০৩ ব্যবহার করব।

৯.এখন আইডি পরিবর্তন করার পরে উপরে send বাটনে ক্লিক করব।

১০.এখন আপনি পরিবর্তন করা আইডির ইনফরমেশন দেখতে পারবেন।অন্য ইউজারের আইডি দিয়ে তার অ্যাকাউন্ট এর ইনফরমেশন দেখতে পারবেন।

এটা বেসিক কনসেপ্ট।আপনি যদি পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের রেসপন্স এ প্যারামিটার পান এবং এক্সপ্লোইট করা যায় তাহলে আপনি অ্যাকাউন্ট টেকওভার করতে পারবেন।

ভিডিও টিউটোরিয়ালঃ

আমার চ্যানেল

The post IDOR Tutorial: ওয়েব অ্যাপ্লিকেশান থেকে ইনফরমেশন হ্যাক করা। appeared first on Trickbd.com.

[��Free Download] Infinity Portfolio Premium Blogger Template

Posted:

Infinity Portfolio Premium Blogger Template

আস্সালামুআলাইুম…
হ্যালো বন্ধুরা !
আমি যরেক্স যিরা, ,কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আশা করব আমাদের প্রতিতে পোস্ট আপনাদের কাছে ভাল লাগবে?

👉আজ আমি আপনাদের সামনে নিয়ে আসলাম Infinity Portfolio Premium Blogger Template.

থিমটি সম্পূর্ণ Responsive থীম। ডাউনলোড করে নিন একটি অসাধারন ব্লগার প্রিমিয়াম টেম্পলেট। যারা ভাবতেছেন ব্লগার একটি সাইট বানাবেন তারা অবশ্যই এই টেমপ্লেটটি ইউজ করতে পারেন। কারণ এই টেমপ্লেটটি তে রয়েছে অসাধারণ সকল ফিচার যা আপনার সাইটকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তুলবে।

👉আর অবশ্য এই থীমটি আমি আপনাদেরকে ফ্রীতে দিচ্ছি । এটা আপনারা টাকা দিয়া কিনতে হবে না।

কথা না বাড়িয়ে কাজ এ চলে যাই।

                                                                                   🔸🔸থিমটির পরিচয়:🔸🔸🔸
নামঃ Infinity Portfolio Premium Blogger Template
বর্তমান ভার্সন: v1.0
মূল ডিজাইনারঃ soratemplates
পাবলিশারঃ যরেক্স যিরা

✿থীম সম্পর্কে বর্ণনাঃ

Infinity Blogger Template is a stunning modern portfolio blogspot theme that we designed to showcase your work the way it truly deserves. In this theme You will get a huge selection of exciting illustration, design and the perfect color combination. Infinity is the perfect portfolio theme that helps you to make a professional website with greater ease.

✿থীম স্ক্রিনশট:

✿টেমপ্লেট বৈশিষ্ট্য:-

 

➥Performance and Documentation:

থীম সাপোর্টঃ

  • ফ্রী ভার্সন এর সাপোর্ট এর জন্য Contact Us
  • প্রিমিয়াম ভার্সন এর সাপোর্ট এর জন্য Contact Us

➥কিভাবে টেম্পলেট ইনস্টল করবেন?

  • > প্রথমে ব্লগের Dashboard এ যান।
  • > তারপর Template এ যান।
  • > এবার Restore/Backup এ ক্লিক করুন উপরের চিত্রের মতো আসবে ডাউনলোড করা টেম্পলেট choose করে upload করুন।
  • > আপলোড হয়ে গেলে নিজের মতো customize করুন।

ফর হেল্পঃ

অবশ্য আপনাদের কোন সমস্যা হলে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। আমি আমার সম্পূর্ণ দেয়ে হেল্প কারার চেষ্টা করব। ইনশাআল্লাহ!

সকল প্রকার টিপস পেতে আমার সাইটে ভিজিট করুন । 

আরো এইরকম অন্যান্য পোস্ট পড়তে আমাদের সাইট Zorexzira ও ZorexTheme.Online ভিজিট করুন ।

সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ
আমার ফেসবুক : Zorexzira
আমার সাইট ভিজিট কারার অনুরুধ রইল।
সাইট লিঙ্কঃ

খোদা হাফেজ

The post [🔥Free Download] Infinity Portfolio Premium Blogger Template appeared first on Trickbd.com.

[167-1] আসুন পরিচিত হই লিনাক্স টার্মিনালের সাথে। সাথে জেনে নিন কয়েকটি কমান্ড ও তাদের ব্যবহার। (পর্ব -১)

Posted: 16 Apr 2021 05:15 AM PDT

লিনাক্স
কি বিশাল একটা নাম তাইনা?
শুনেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই টার্মিনাল বা কমান্ড লাইন আর কালি লিনাক্সের সেই অন্ধকার জগত। যেখানে শুধু হ্যাকিং এর আনন্দ আর সবাইকে চমকে দেওয়ার মজা
>>" দেখ বেটা আমিও লিনাক্স চালাই, আমি হ্যাকার। ২ মিনিটে তোর সিস্টেম খেয়ে নেব। “

হুম অনেকের কাছে লিনাক্স মানে শুধু এতটুকুই। কিন্তু আসলেই কি তাই? না, ভাই/বোন । লিনাক্সের ইউনিভার্স এর চেয়ে অনেক বড়। তবে হ্যাঁ লিনাক্স কিন্তু নিজে এত বড় না। এটি শুধুমাত্র একটা কার্নেল। যা আপনার হার্ডওয়্যার আর সফটওয়্যার এর মধ্য সংযোগ তৈরি করে। এর চেয়ে বেশি কিছু হবার ক্ষমতা খোদ লিনাক্সেরও নেই। লিনাক্সকে বড় করে এর উপর ভিত্তি করে তৈরি সফটওয়্যার গুলো। তাই এই টিউটোরিয়ালে আমরা যখনই লিনাক্স কথাটি বলবো তখন আমরা লিনাক্স কার্নেল না বুঝিয়ে এর উপর ভিত্তি করে তৈরি কোন সফটওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেমের কথা বলবো।

তো প্রথমেই যে কথা বলছিলাম, লিনাক্স কি শুধুই টার্মিনাল? না। বর্তমানে এমনও লিনাক্স ডিস্ট্র (লিনাক্স বেইসড অপারেটিং সিস্টেমকে লিনাক্স ডিস্টোবিউশন বলা হয়, আর ডিস্টোবিউশনকে সংক্ষেপে ডিস্ট্র বলা হয়) আছে যেমনঃ উবুন্টু, মিন্ট, এলিমেন্টরি ইত্যাদি যেগুলো আপনি একবারের জন্যও টার্মিনাল ওপেন না করে আপনার দৈনন্দিন জীবনের সব কাজ অনায়াসে চালিয়ে যেতে পারবেন।

>> তাহলে ভাই টার্মিনালটা দিয়েছে কেন?
— উত্তর হলো- যাতে আপনি আপনার সিস্টেমের সমস্ত সুবিধা নিতে পারেন। লিনাক্স টার্মিনালে এমন অনেক অসাধারণ কাজ এত সহজে করা যায় যেগুলো সাধারণ গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস (gui) প্রোগ্রাম গুলোতে করা কঠিন বা আদতে সম্ভব নয়। তবে ভয় পাবেন না এর মানে এটা নয় যে আপনি gui তে কিছুই করতে পারবেন না। সাধারণ ইউজারদের জন্য এটা কোন সমস্যা নয়। আপনি যদি পাওয়ার ইউজার হতে চান, বা লিনাক্সকে ভালোভাবে জানতে চান তবে টার্মিনালই শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। আর এখানে পাওয়ার ইউজার বলতে আমি কিন্তু হ্যাকার বুঝাচ্ছি না।

তবে কিছু টার্মিনাল কমান্ড আছে যা সবারই জেনে রাখা ভালো। এতে যেমন আপনার নিজের কম্পিউটার সিস্টেম সম্পর্কে জ্ঞান বাড়বে তেমনি অন্যদের কাছে কিছুটা শো-অফ করতে পারবেন। আজকে এমনি কিছু টার্মিনাল কমান্ড নিয়ে আলোচনা করবো, আর টার্মিনালের  সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব।

এক্ষেত্রে প্রথমেই যে সফটওয়্যারটি আপনাদের দরকার তা হলো একটি টার্মিনাল। প্রত্যেকটি লিনাক্স os এর মধ্য একটি টার্মিনাল থাকে। আপনি ctrl+alt+t প্রেস করে বা আপনার মেনু সিস্টেম থকে টার্মিনালটি চালু করতে পারবেন। সাধারণত একটি লিনাক্স টার্মিনাল দেখতে নিচের ছবির মতো হয়।

j@S:~$

>>এইগুলা কি ভাই?
— একটু দাঁড়ান বলতেছি। তো সাধারণত টার্মিনাল দেখতে এই রকমই। বাস টার্মিনাল না ভাই লিনাক্স টার্মিনাল। {{আমি এখানে xfce4 terminal ব্যবহার করতেছি। ডিস্ট্রিবিউশন অথবা ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্ট ভেদে আপনার টার্মিনাল দেখতে অন্যরকম হতে পারে। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। প্রায় সব টার্মিনালেই বেসিক জিনিসগুলো একইরকম হয়।}} আচ্ছা এখানে j@S হলো আমার ইউজারনেম আর আমার হোস্টনেম বা আমার কম্পিউটারের নাম। এখানে আমার ইউজারনেম হলো j আর আমার কম্পিউটার নেম বা হোস্টনেম হলো S যেগুলো আমিই লিনাক্স সেটআপ দেয়ার সময় অ্যাড করেছিলাম। এরপর ~ ক্যারেক্টারটি হলো আমাদের হোম ডিরেক্টরি বা হোম ফোল্ডারের সংক্ষিপ্ত রূপ। ~ ক্যারেক্টারটি থাকার অর্থ হলো আমরা আমদের হোম ডিরেক্টরিতে আছি। এরপর $ চিহ্নটির মানে হলো আমরা সাধারণ ইউজার হিসেবে লগডইন আছি। যারা জানেন না তাদের বলছি লিনাক্স সিস্টেমে সাধারণত ২ জন ডিফল্ট ইউজার থাকে। অবশ্যই আপনি চাইলে আরও ইউজার যুক্ত করতে পারেন। তবে ডিফল্টভাবে দুটোই থাকে। একজন হলো রুট (root) ইউজার আর অন্যজন হলো সাধারণ ইউজার। মূলত দুইজনই হলেন আপনি। এক্ষেত্রে পার্থক্য হলো রুট ইউজার সিস্টেমের প্রায় সবকিছু change করতে পারবে আর নন রুট ইউজার সাধারণ কাজ যেগুলো রুট পার্মিশন ছাড়া করা যায় সেগুলো করতে পারবে।

>> হুম বুঝলাম $ মানে সাধারণ ইউজার। তাইলে আমি রুট কেমনে হইমু ব্রাদার??
— রুট ইউজার বা সুপার ইউজার হওয়ার জন্য আপনাকে টার্মিনালে sudo -s টাইপ করতে হবে এরপর আপনার ইউজার পাসওয়ার্ড বা রুট পাসওয়ার্ড দিতে হবে তাহলেই আপনি সুপার ইউজার বা রুট ইউজার হয়ে যাবেন।

এখানে দেখুন আমার ইউজারনেম চেঙ্গ হয়ে root চলে আসছে এর মানে আমি এখন রুট ইউজার। আবার $ ক্যারেক্টারটির জায়গায় # ক্যারেক্টারটি আসছে। # থাকার অর্থ হলো আমি রুট ইউজার বা সুপার ইউজার। এখন আপনি আপনার সিস্টেমের প্রায় সকল ক্ষমতার অধিকারী।

>> থাক ভাই এত ক্ষমতা আমার লাগবে না। রুট থেকে আবার নরমাল কেমনে হইমু তাই বলেন।

— ঠিকই বলেছেন নতুন মানুষের হাতে এত ক্ষমতা দেয়া উচিত না। তো রুট থেকে আবার নরমাল হতে চাইলে exit লিখে এন্টার চাপুন তাহলেই হবে।


আচ্ছা এবার বেসিক কিছু কমান্ড নিয়ে আলোচনা করা যাক।

১ . pwd

pwd এর পূর্ণরূপ হলো print working directory আপনি যদি আপনার টার্মিনালে এই কমান্ডটি এন্টার করেন তবে আপনি এখন যে ডিরেক্টরিতে আছেন তা দেখতে পারবেন।

আমি বর্তমানে আছি আমার হোম ডিরেক্টরিতে। এখানে প্রথম / নির্দেশ করে আমাদের মেইন ফাইলসিস্টেম, আমাদের রুট ডিরেক্টরি। তারপর home হলো লিনাক্স সিস্টেমের এমন একটি ফোল্ডার যেখানে সকল সাধারণ ইউজারের ফাইলগুলো থাকে। j হলো আমার ইউজারনেম অর্থাৎ এটি j ইউজারের হোম ফোল্ডার। এখন আপনি যদি k নামে একজন ইউজার ক্রিয়েট করেন তবে তার হোম ফোল্ডার হবে /home/k ।

>> আচ্ছা বুঝলাম, আমি টার্মিনালে আমার হোম ফোল্ডার দেখতে পারব। এখন আমি যদি দেখতে চাই যে আমার হোম ফোল্ডারে কি কি আছে তাহলে কি করতে হবে??

— সেজন্য রয়েছে ls কমান্ড। চলুন এবার এটা নিয়ে আলোচনা করা যাক।

২ . ls

ls (এল এস) মানে হলো লিস্ট । এই কমান্ডটি মূলত আমরা বর্তমানে যে ডিরেক্টরিতে কাজ করছি তার মধ্য যা কিছু আছে তা দেখাবে।

এখানে আমার হোম ফোল্ডারে অনেকগুলো ডিরেক্টরি আছে যেমনঃ Desktop, Documents, Downloads ইত্যাদি। উল্লেখ্য এখানে নীল রঙয়ের লেখাগুলো হলো ফোল্ডার আর অন্য রঙ্গের লেখাগুলো ফাইল।

প্রায় প্রত্যেকটি কমান্ডেই কিছু ফ্ল্যাগ দেয়া যায়। এখানে ফ্ল্যাগ মানে আমাদের কমান্ডের সাথে কিছু কথা যুক্ত করা যাতে কমান্ডটি দিয়ে একটু বেশি কিছু করা যায়। তো এখানে ls কমান্ড দিলে ফাইল এবং ফোল্ডারগুলো দেখাচ্ছে। তবে আসলেই কি সব ফাইল দেখাচ্ছে??
না সব ফাইল দেখাচ্ছে না। লিনাক্স সিস্টেমে কিছু হিডেন ফাইল থাকে যেগুলো সাধারণত দেখা যায় না। আপনার হাতের মোবাইলফোনে যেমন কোনও ফোল্ডার বা ফাইলের সামনে . (ফুলস্টপ / পিরিয়ড) দিলে সেটি হাইড হয়ে যায় ঠিক তেমনই লিনাক্স সিস্টেরমেও কিছু ফাইল ও ফোল্ডারের সামনে . থাকে। অর্থাৎ সেগুলো লুকোনো থাকে। তো সেগুলো যদি দেখতে চান তবে ls কমান্ডের সাথে -a (a = all) ফ্ল্যাগটি যুক্ত করতে হবে। তাহলে পুরো কমান্ডটি হবে ls -a

এখানে লক্ষ করার মতো একটি বিষয় হলো যে সকল ফাইল বা ফোল্ডার কিন্তু লিস্ট আকারে আসছে না এগুলো পাশাপাশি আসছে। আমরা যারা উইন্ডোজ বা মোবাইলফোন ব্যবহার করি তারা তো আর এভাবে দেখে অভ্যস্ত নই। তাই আমরা ls কমান্ডের সাথে একটি -l ( এল, l = long) ফ্ল্যাগ যুক্ত করে
এগুলোকে উপর নিচে অর্থাৎ এক লাইনে নিয়ে আসতে পারবো।

>>কিন্তু ভাই হিডেন ফাইল গুলোতো আর দেখা যাচ্ছে না।
— আচ্ছা হিডেন ফাইলগুলোকেও যদি দেখতে চান তবে -a আর -l ফ্ল্যাগ এক সাথে লেখতে হবে। এক্ষেত্রে কমান্ডটি হবে ls -l -a

তবে আপনি চাইলে কমান্ডটি শর্ট করে ls -la লিখতে পারেন।

অর্থাৎ আপনি দুটো ফ্ল্যাগ একসাথেও লিখতে পারেন।

>> ভাই ls কমান্ড দিয়ে কি শুধু এই দুটোই করা যায়??
— না ভাই এই কমান্ড দিয়ে আরও অনেক কিছু করা যায়। যার সবগুলো আমার জানা নেই। তবে আপনি যদি চান তবে ls দ্বারা কি কি করা যায় তা জেনে নিতে পারেন আপনার কমান্ডলাইন থেকেই। এজন্য আপনাকে টাইপ করতে হবে man ls এটা লিখে এন্টার দিলে আপনি নিচের ছবির মতো দেখতে পাবেন।

এখানে আপনি ls কমান্ড কি কাকে বলে এর কাজ কি এর দ্বারা কি কি করা সম্ভব তার সবকিছুই জানতে পারবেন।

>> ভাই এটা দিয়ে কি শুধু ls এরই সব কিছু জানা যাবে ? অন্যগুলোর দেখা যাবে না?

— হ্যাঁ ভাই যাবে। এখানে man মানে হলো manual । আপনারা যখন কোনও পণ্য কেনেন তখন তার সাথে পণ্যটি কিভাবে প্যবহার করতে হবে সে সম্পর্কিত একটি বই থাকে। যাকে বলে manual বা ব্যবহারবিধি। ঠিক সেই রকমই লিনাক্স এর প্রতিটি সফটওয়ারের সাথেই এরকম একটি manual থাকে। আপনি টার্মিনালে man <command name> লিখে যেকোনো প্রোগ্রাম বা কমান্ডের নিয়মাবলী বা ব্যবহারবিধি পড়তে পারবেন। যেমন আমি যদি firefox এর manual পড়তে চাই তবে টার্মিনালে লিখতে হবে man firefox

আগামীতে একদিন man কমান্ড বা man পেইজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে ইনশাহআল্লাহ। তাহলে ls কমান্ডটিও এখানেই শেষ করছি। এটা নিয়েও ইনশাহআল্লাহ বিস্তারিত আলোচনা হবে।

>> আচ্ছা ভাই কইরেন একদিন। এখন প্রশ্ন হলো এক ফোল্ডারে কি কি আছে তা নাহয় দেখালাম তবে এক ফোল্ডার থেকে আরেক ফোল্ডারে কেমনে যাব?
– এক ফোল্ডার থেকে অন্য ফোল্ডারে যেতে আপনি cd কমান্ডটি ব্যবহার করতে পারেন।

৩ . cd

cd এর পুর্ণরূপ হলো change directory এর মাধ্যমে আপনি এক ডিরেক্টরি বা ফোল্ডার থেকে অন্য ফোল্ডারে যেতে পারবেন। যেমন আমি এখন আছি আমার home ফোল্ডারে এখানে যদি ls করি তবে অনেকগুলো ফোল্ডার দেখা যাচ্ছে।

ধরুন আমি jf ফোল্ডারে যেতে চাই তবে আমাকে টাইপ করতে হবে cd jf

( উল্লেখ্য লিনাক্সে ছোট হাতের অক্ষর আর বড় হাতের অক্ষর আলাদা। অর্থাৎ আপনি যদি Downloads ডিরেক্টরিতে যেতে চান তবে আপনাকে টাইপ করতে হবে cd Downloads এখানে যদি আপনি cd downloads টাইপ করেন তবে কিন্তু হবে না। )

দেখুন এবার আমার ~ ক্যারেক্টারের পরে /jf চলে এসেছে। তার মানে আমি jf ডিরেক্টরিতে আছি। এখন যদি আমি ls করি তবে এই ফোল্ডারে থাকা সকল ফাইল দেখতে পারব।

দেখুন এই ফোল্ডারে শুধু আমার mount.sh নামে একটি শেল স্ক্রিপ্ট আর pp নামে একটি ফোল্ডার আছে।

এভাবেই আপনি এখন আপনার লিনাক্স মেশিনের ফাইল সিস্টেমে ঘুরে বেড়ান আর বিভিন্ন কমান্ড এবং প্রোগ্রামের man পেইজ নিয়ে গবেষণা করুন।

সতর্কতাঃ

লিনাক্স টার্মিনাল অনেক মজার জিনিস হলেও এটি কিন্তু ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। কিছু কমান্ড আছে, যেমন rm -rf এই কমান্ডটি কখনই আপনার টার্মিনালে রান করা উচিত নয়। এটি আপনার সমস্ত ফাইল সিস্টেমকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই কোনও কমান্ড রান করার পূর্বে তার সম্পর্কে
ইন্টারনেটে একটু রিসার্চ করে নিয়েন।

আর হ্যাঁ এই পোস্টটি লিনাক্স মাস্টারদের জন্য নয়। এই সম্পূর্ণই নিউবি এবং যারা লিনাক্সে সুইচ করার কথা ভাবছেন তাদের জন্য। আর আগামীতে আরও অনেক পর্ব দিব ইনশাহআল্লাহ । তাই চিন্তার কোন কারণ নেই।
নামাজ কায়েম করুন।
শান্তি বজায় রাখুন।
আল্লাহ হাফেজ।

The post [167-1] আসুন পরিচিত হই লিনাক্স টার্মিনালের সাথে। সাথে জেনে নিন কয়েকটি কমান্ড ও তাদের ব্যবহার। (পর্ব -১) appeared first on Trickbd.com.

আল কোরআন তেলাওয়াতে থামা বা ওয়াকফ করার নিয়মাবলী

Posted:

আল কোরআন তেলাওয়াতে থামা বা ওয়াকফ করার নিয়মাবলী

ওয়াকফ অর্থ কি তা কত প্রকার? (এর বিস্তারিত আলোচনা এই পোস্টে)

ওয়াকফ অর্থ কোনো শব্দের শেষের অক্ষর কে সাকিন করে থামা আর দুই যবরযুক্ত শেষ অক্ষর হলে এক যবর করে এক আলিফ লম্বা করে থামা যা অনেক প্রকার।

প্রসিদ্ধ কয়েকটি হচ্ছে এই-

.ওয়াকফে লাযেম(م): তা ওই স্থানে হয় যেখানে থামা আবশ্যক। না থামলে অনেক সময় অর্থ বিনষ্ট হওয়ার আশংকা হয়।
তার চিহ্ন হলো م এর উপর থেমে পর থেকে শুরু করবে এবং পূনরাবৃত্তি করবে না।

.ওয়াকফে মুত্বলাক(ط): এখানে থামা উচিৎ। তার চিহ্ন ط এর উপরও থেমে পর থেকে শুরু করবে এবং পূনরাবৃত্তি করবে না।

(৩) ওয়াকফে জায়িয(ج): এখানে থামা না থামা উভয়টি জায়িয। তার চিহ্ন ج এর উপর থেমে গেলে পর থেকে শুরু করবে।

(৪) ওয়াকফে মুজাওয়ায( ز): এখানে থামা তো জায়িয কিন্তু না থামা উত্তম। তার চিহ্ন ز এই চিহ্ন যদি আয়াতের মধ্যখানে হয়।
তবে এর উপর থামলে পূনরাবৃত্তি করা জরুরি। আর তা আয়াতের উপরে হলে এর উপর থামলে পূনরাবৃত্তি করবে না

(৫) ওয়াকফে মুরাখখাস(ص): তার চিহ্ন হলো ص আর এটা ওয়াকফে মুজাওয়াযের মতো।

প্রশ্ন: ز – ج – ط – م এবং ص ছাড়াও কোরআন মাজীদে আরো কয়েকটি চিহ্ন দেখা যায়। এগুলির মাঝে কি করতে হয়?

উত্তর:

(i) قِ – قف এ দুটির মাঝে থামা উচিৎ।

(ii) وقفة – سكته এগুলোতে শ্বাস না ছেড়ে একটু থেমে সামনের দিকে পড়া উচিৎ।

(iii) তিনটি তিনটি করে পাশাপাশি দুইটি চিহ্ন থাকে যেগুলিকে “মুআনাকা” বলা হয় এই দুটি থেকে কোনো একটির উপর থামা উচিৎ।
প্রথমটিতে থামা যায়, দ্বিতীয়টিতেও থামা যায়, তবে একসাথে উভয়টিতে থামা যাবে না।

(iv) لا, যেখানে لا লিখিত আছে সেখানে থামবে না, থেমে গেলে পূনরাবৃত্তি করতে হবে। আয়াতের মাঝে (لا)লাম থাকলে থামা যাবে না,আর যেসব ক্ষেত্রে লাম শেষে গোল চিহ্নের উপর থাকে তখন থামতে পারা যায়।

(v) এসব চিহ্ন ছাড়া অন্যান্য চিহ্নগুলো যেখানে লাগানো হয়েছে صل – صلي ইত্যাদি। সেগুলোতে ইচ্ছা করলে থামতে পারবে, নাও থামতে পারবে।
আর যেখানে উপরে নিচে দুটি চিহ্ন লিখিত থাকবে, সেখানে যেটি উপরে লিখিত সেটির উপর আমল করবে।

প্রশ্ন: কোরআন মাজীদে সাকতা কতটি? এগুলোতে কি করতে হয়?

উত্তর: কোরআন মাজীদে সাকতা চারটি:
(i) সূরা কাহফের শুরুতে -قيما সাকতা عوجاً
(ii) সূরা ইয়াসিনে – هذا সাকতা من مر قدنا
(iii) সূরা ক্বিয়ামায় -راق সাকতা مَنْ
(iv) সূরা মুতাফফিফীনে-ران সাকতা كلا بَلْ
এই চার স্থানে শ্বাস ছাড়বে না; বরং একটু থেমে সামনের দিকে পড়তে থাকবে।

প্রশ্ন: ওয়াকফ কোথায় করতে হয়?

উত্তর: যে ব্যক্তি কোরআন শরীফের অর্থ জানে না সে যেন এমন সকল স্থানে ওয়াকফ করে যে সব স্থানে আলামত (চিহ্ন) লাগানো রয়েছে।
এ চিহ্ন সমূহ থেকে যার যে হুকুম রয়েছে, সে অনুযায়ী আমল করবে। প্রয়োজন ছাড়া এবং অস্থানে (স্থান ছাড়া) ওয়াকফ করবে না।
তবে আয়াতের মধ্যখানে শ্বাস শেষ হয়ে গেলে তা অপারগতা। অপারগতায় এমন হয়ে গেলে উচিৎ হলো,

যে শব্দে থেমেছে ওই শব্দ থেকে বা তার আগ থেকে পূনরাবৃত্তি করে পরের শব্দের সাথে মিলিয়ে পড়া উচিৎ।
এমন অপারগতার সময় খেয়াল রাখবে সে কোনো শব্দের মধ্যখানে যেন ওয়াকফ না হয়। বরং শব্দের শেষে যেন থামা হয়।

প্রশ্ন: হারাকাতযুক্ত হরফের উপর কিভাবে ওয়াক্বফ করা উচিত?

উত্তর: হারাকাতযুক্ত হরফে ওয়াকফ করার সময় তাকে সাকিন করতে হবে। কারণ হারাকাতের উপর ওয়াকফ করা ভুল।
যেমন- اياك نَعْبُدُ এর মাঝে যদি ওয়াকফ করার প্রয়োজন হয় তবে د কে সাকিন করতে হবে। د এর পেশ উচ্চারণ করে ওয়াকফ করবে না।

প্রশ্ন: শ্বাস না ছেড়ে শব্দের শেষে শুধু সাকিন করলেই কি ওয়াকফ হয়ে যায় এবং এরকম করা কি?

উত্তর: শ্বাস না ছেড়ে শব্দের শেষে শুধু সাকিন করলেই ওয়াকফ হয় না।
যেমন- اياك نستعينُ এর উপর ওয়াকফের সময় নুনকে সাকিন করে শ্বাস না ছেড়ে اهدنا الصراط المستقيم পড়া শুরু করে দিলে ওয়াকফ হয় না।
এরকম করা ভুল। এথেকে বেচে থাকা উচিৎ।

প্রশ্ন :আমার খাড়া যবর ওয়াকফ করার নিয়ম কি?

উত্তর : আয়াতের শেষ শব্দটি খাড়া যবর দ্বারা শেষ হলে : ওয়াকফ করার ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন হবেনা , মিলিয়ে থামতে হবে।
তবে আয়াতের শেষ শব্দটি খাড়া যের, উল্টা পেশ হলে ;সেই শব্দে থামতে হলে : খাড়া যের ,উল্টা পেশ সুকুন হরফে পরিণত হবে এবং এর পূর্বের হরফের সাথে মিলিয়ে উচ্চারণ হবে।
لَّذِيْ جَمَعَ مَا لًا #وَّعَدَّدَهٗ
আল্লাযী জামা‘আ মা-লাওঁ‘ওয়া ‘আদ্দাদাহ।

প্রশ্ন: যে শব্দের উপর ওয়াকফ করা হবে তার শেষে যদি যবরের তানভীন হয়। বা গোল তা (ة) হয়, তবে কিভাবে ওয়াকফ করতে হয়?

উত্তর: যদি যবরের তানভীন হয় তবে ওয়াকফের অবস্থায় ওই তানভীনের জায়গায় আলিফে মাদ্দাহ পড়তে হয়।
যেমন- افوجاً এর উপর ওয়াকফ করলে افوجاَ পড়তে হবে। আর فان كن نساءً এর উপর ওয়াকফ করলে نساءَا পড়তে হবে।
যে শব্দের শেষে গোল তা হবে, ওয়াকফের সময় তাকে “হা” সাকিন পড়তে হবে। যেমন- اقيمو الصلوةَ কে ওয়াকফের সময় اقيمو الصلوةْ পড়তে হবে।

প্রশ্ন: কোরআন মাজীদের কোনো কোনো শব্দের শেষে যে আলিফ লিখিত রয়েছে। এ সকল আলিফকে কি পড়তে হয়?

উত্তর: কোরআনের শব্দ সমূহের শেষে লিখিত আলিফকে অধিকাংশ শব্দে পড়তে হয়।
কিন্তু কয়েকটি শব্দ এমন আছে যে, এগুলোর আলিফ মিলিয়ে পড়াবস্থায় পড়তে হয় না। শুধু ওয়াকফের অবস্থায় পড়তে হয়।
যেমন- الظنونا এবং انا এর মাঝে। আর কোনো কোনো শব্দ এমনও রয়েছে যে, এগুলোর আলিফ কোনো অবস্থায়ও পড়া হয় না।

যেমন- لَاْ الي الجحيم- لَاْ الي الله – لَاْ اذبحنه অধিকাংশ কোরআন মাজীদে এ জাতীয় আলিফের উপর গোল চিহ্ন দেয়া হয়েছে।
তিলাওয়াতের সময় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরী।
(সূত্র: আসবাকে তাজবীদ- ২৬,২৭,২৮,২৯,৩০)

সমাপ্ত

The post আল কোরআন তেলাওয়াতে থামা বা ওয়াকফ করার নিয়মাবলী appeared first on Trickbd.com.

কালেমা কয়টি ও কি কি?

Posted:

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

আমাদের দেশে ইসলামী ঈমান-আকীদার বিবরণের ক্ষেত্রে 'পাঁচটি কালিমা'র কথা প্রচলিত আছে। এছাড়া ঈমানে মুজমাল ও ঈমানে মুফাস্সাল নামে দুইটি ঈমানের কথা আছে। কায়েদা, আমপারা, দ্বীনিয়াত ও বিভিন্ন প্রচলিত বই পুস্তকে এই কালিমাগুলি রয়েছে। এগুলিকে অত্যন্ত জরুরী মনে করা হয় এবং বিশেষভাবে মুখস্থ করা হয়। এই বাক্যগুলির অর্থ সুন্দর। তবে সবগুলি বাক্য এভাবে হাদীস শরীফে বর্ণিত হয় নি। এগুলিকে সব কুরআনের কথা বা হাদীসের কথা মনে করলে ভুল হবে।

(১) কালিমায়ে শাহাদত

কুরআন ও হাদীসে ইসলামী ঈমান বা বিশ্বাসের মূল হিসাবে দু ইটি সাক্ষ্য প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা আমাদের দেশে 'কালিমা শাহাদত' হিসাবে পরিচিত। এই কালিমায় আল্লাহর তাওহীদ এবং মুহাম্মাদ (সা) এর রিসালাতের সাক্ষ্য প্র দান করা হয়। প্রকৃতপক্ষে একমাত্র কালিমা শাহাদতই হাদীস শরীফে ঈমানের মূল বাক্য হিসাবে উল্লে খ করা হয়েছে। সালাতের (নামাযের) 'তাশাহ্ হুদের' মধ্যে বাক্যদ্বয় এভাবে একত্রে বলা হয়েছে:

أَشْهَدُ أَنْ لا إلا الله و أَشْهَدُ أنَّ مُحَمَّدًا عََبْدُهُ وَ رَسولُهُ

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবূদ (উপাস্য) নেই এবং আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহর
বান্দা ও রাসূল।"

এই 'কালিমা' বা বাক্যটি দুইটি বাক্যের সমন্বয়ে গঠিত।

প্রথম বাক্য: أَشْهَدُ أَنْ لا إلا الله

"আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবূদ (উপাস্য) নেই।"
এ প্রথম বাক্যটির ক্ষেত্রে কোনো কোনো হাদীসে বলা হয়েছে:

لا إِلَهَ إِلا اللهُ وَحْدَهُ لا شَرِيْكَ لَهُ

"আল্লাহ ছাড়া কোনো মা'বুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই।"

দ্বিতীয় বাক্য: و أَشْهَدُ أنَّ مُحَمَّدًا عََبْدُهُ وَ رَسولُهُ

"আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।
আযানের মধ্যে এ বাক্যদ্বয়কে পৃথকভাবে উল্লে খ করা হয়েছে। দ্বিতীয় বাক্যটির ক্ষেত্রে কোনো কোনো হাদীসে (أشهد) অর্থাৎ 'আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি' কথাটি পুনরাবৃত্তি না করে শুধুমাত্র ( وَ أَنَّ ) 'এবং নিশ্চয়' বলা হয়েছে। কোনো কোনো হাদীসে বাক্যদ্বয়ের শুরুতে (أشهد) বলা হয়নি, বরং বলা হয়েছে:

لا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ

দ্বিতীয় বাক্যটির ক্ষেত্রে অনেক হাদীসে ( أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ) 'মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল' কথাটির পরিবর্তে ( أَنَّ مُحَمَّدًا عََبْدُهُ وَ رَسولُهُ) 'মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল' – বলা হয়েছে। এছাড়া কোনো কোনো হাদীসে 'সাক্ষ্য প্রদান' শব্দের পরিবর্তে 'বলা' শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এভাবে বিভিন্ন হাদীসে আমরা এ কালেমাটিকে নিম্নের বিভিন্ন রূপে দেখতে পাই (বুখারী, আস-সহীহ, ১/১২, ২৯, ৩/১২৬৭; মুসলিম, আস-সহীহ ১/৪৫, ৪৭, ৫৭, ৬১)

(১) প্রথম রূপ: أَشْهَدُ أَنْ لا إِلَهَ إِلَّا اللهُ و أَشْهَدُ أَنِّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ
(২) দ্বিতীয় রূপ: أَشْهَدُ أَنْ لا إِلَهَ إِلَّا اللهُ و أَنِّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ
(৩) তৃতীয় রূপ: أَشْهَدُ أَنْ لا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ وَ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ و رَسولُهُ
(৪) চতুর্থ রূপ: لا إِلَهَ إِلَّا اللهُ و أَنِّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ
(৫) পঞ্চম রূপ: أَشْهَدُ أَنْ لا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ و رَسولُهُ

বিভিন্ন হাদীসে আমরা দেখতে পাই যে, সাহাবায়ে কেরাম ইসলাম গ্রহণের সময়ে এ উপরে উল্লিখিত এ সকল বাক্যের কোনো একটি পাঠ করে ইসলামের ছায়াতলে প্রবেশ করতেন। (বুখারী, আস-সহীহ ১/১৭৬, ৩/১২১১; মুসলিম, আস-সহীহ ১/৩০২, ৩/১৩৮৬; নাসাঈ, আস-সুনান ১/১০৯)

(২) কালিমায়ে তাইয়েবা

আমাদের দেশে কালিমা তাইয়েবা বা 'পবিত্র বাক্য' বলতে বুঝানো হয় তাওহীদ ও রিসালাতের একত্রিত ঘোষণা:

لا إله إلا الله محمّدٌ رسول اللهِ

কুরআন কারীমে এরশাদ করা হয়েছে:
"তুমি কি দেখ নি, কিভাবে আল্লাহ একটি উদাহরণ পেশ করেছেন: একটি 'কালিমায়ে তাইয়েবা' বা পবিত্র বাক্য একটি পবিত্র বৃক্ষের মত, তার মূল প্রতিষ্ঠিত এবং তার শাখা-প্রশাখা আকাশে প্রসারিত।" (সূরা ইবরাহীম: ২৪)

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) ও অন্যান্য মুফাস্সির থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, এখানে 'কালিমা তাইয়েবা' বলতে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু' তাওহীদের এ বাক্যটিকে বুঝানো হয়েছে। (তাফসির ইবনে কাসির)

কিন্তু (লা ইলাহা ইল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ) দুইটি বাক্য একত্রিতভাবে কোনো হাদীসে কালিমা তাইয়েবা হিসাবে উল্লেখ করা হয়নি। আমরা দেখেছি যে, কালিমা শাহাদাতকে অনেক সময় "শাহাদাত" শব্দ উহ্য রেখে নিম্নরূপে বলা হয়েছে:

لا إِلَهَ إِلَّا اللهُ و أَنِّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ

কিন্তু মাঝখানে (وَ أَنَّ) বাদ দিয়ে উভয় অংশ একত্রে

لا إله إلا الله محمّدٌ رسول اللهِ
এভাবে 'কালিমা' হিসাবে সহীহ হাদীসে কোথাও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানা যায় না। কোনো কোনো হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, এভাবে এ বাক্যদ্বয় একত্রে আরশের গায়ে লিখা ছিল। এ হাদীসগুলি অত্যন্ত দুর্বল বা বানোয়াট। কোনো কোনো হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা) -এর ঝাণ্ডা বা পতাকার গায়ে লিখা ছিল:

لا إله إلا الله محمّدٌ رسول اللهِ

এ অর্থের হাদীসগুলির সনদে দুর্বলতা আছে। (হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ৫/৩২১)

এখানে উল্লেখ্য যে, কালিমা তাইয়িবার দুটি অংশ পৃথকভাবে কুরআন কারীমে ও হাদীস শরীফে উল্লে খ করা হয়েছে। উভয় বাক্যই কুরআনের অংশ এবং ঈমানের মূল সাক্ষ্যের প্রকাশ। উভয় বাক্যকে একত্রে বলার মধ্যে কোনো প্রকারের অসুবিধা নেই ।
তাবেয়ীগণের যুগ থেকেই কালিমা শাহাদতের মূল ঘোষণা হিসাবে এ বাক্যটির ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়। কুরআন কারীমে 'কালিমাতু তাকওয়া' 'তাকওয়ার বাক্য' বলা হয়েছে (সূরা ফাতহ: ২৬) । এর ব্যাখ্যায় তাবিয়ী আতা আল-খুরাসানী (১৩৫ হি) বলেন: কালিমায়ে তাকওয়া হলো (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ) ( তাফসিরে তাবারী)

(৩) কালিমায়ে তাওহীদ

কালিমায়ে তাওহীদ নামে আমাদের দেশে নিম্নের বাক্যটি প্রচলিত:

لا إلَهَ إلَّا أَنْتَ و احِدٌا لا ثَاني لَكَ مُحَمَّدٌ رَسولُ اللهِ إِمامُ المُتَّقينَ و رَسولُ رَبِّ العالَمينَ

এ বাক্যটির অর্থ সুন্দর। তবে এ বাক্যটির কোনোরূপ গুরুত্ব এমনকি এর কোনো প্রকারের উল্লেখ বা অস্তিত্ব কুরআন বা হাদীসে পাওয়া যায় না।

(৪) কালিমায়ে তামজীদ

কালেমায়ে তামজীদ হিসাবে নিম্নে র বাক্যটি প্রচলিত:

لا إَلَهَ آلَّا أَنْتَ نورًا يَهْديْ اللهُ لِنورِهِ مَنْ يَشَاءُ مُحَمَّدٌ رَسولُ اللهِ إِمامُ المُرْسَلينَ خاتَمُ النَّبيِّينَ

এ বাক্যটির অর্থও সুন্দর। কিন্তু এভাবে এ বাক্যটি বলার কোনো নির্দেশনা, এর কোনো গুরুত্ব বা অস্তিত্ব কুরআন বা হাদীসে পাওয়া যায় না।

(৫) কালিমায়ে রাদ্দে কুফর

কালেমায়ে রাদ্দে কুফর নামে কয়েকটি বাক্য প্রচলিত আছে, যেমন:

اللَّهُمَّ إِنِّى أَعوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ شَيْعًا و نُؤْمِنَ بِهِ و أَسْتَغْفِرُكَ مِمَّا أَعْلَمُ بِهِ وَ ما لا أَعْلَمُ بِهِ و أَتُوبُ و آَمَنْتُ وَ أَقُوْلُ أَنْ لا إِلَهَ إِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللهِ

বাক্যগুলির অর্থ ভাল। কিন্তু বাক্যগুলি এভাবে কোনো হাদীসে পাওয়া যায় না এবং এই বাক্যের কোনো বিশেষ গুরুত্বও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।

(৬) ঈমানে মুজমাল

ইমানে মুজমাল নামে প্রচলিত বাক্যটির অর্থ সুন্দর ও সঠিক। তবে এরূপ কোনো বাক্য কোনোভাবে কোনো হাদীসে উল্লেখ করা হয়নি।

(৭) ঈমানে মুফাস্সাল

ঈমানের পরিচয় দিয়ে রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন:

أَنْ تُؤْمِنَ بِاللهِ وَ مَلائِكَتِهِ و كُتُبِهِ و رُسُلِهِ و اليَومِ الآَخِرِ و تُؤْمِنَ بِالقَدْرِ خَيْرِهِ و شَرِّهِ

"তুমি ঈমান আনবে আল্লাহর উপরে, তাঁর ফিরিশতাগণের উপরে, তাঁর কেতাবগুলির উপরে, তাঁর রাসূলগণের উপরে, শেষ দিবসের (আখেরাতের) উপরে, এবং তুমি ঈমান আনবে তাকদীরের উপরে: তার ভাল এবং তার মন্দের উপরে।" (মুসলিম, আস-সহীহ ১/৩৭; বুখারী, আস-সহীহ ১/২৭, ৪/১৭৯৩)

ঈমানের এ ছয়টি রুকন বা স্তম্ভের কথা কু রআন ও হাদীসে বারংবার উল্লেখ করা হয়েছে। লক্ষ্যণীয় যে, 'ঈমানে মুফাস্সালের মধ্যে আখিরাতের বিশ্বাসকে পৃথক দুটি বাক্যাংশে প্রকাশ করা হয়েছে (ইয়াওমিল আখির) ও (বা'সি বা'দাল মাউত): শেষ দিবস ও মৃত্যুর পরে উত্থান। উভয় বিষয় একই।

সমাপ্ত

The post কালেমা কয়টি ও কি কি? appeared first on Trickbd.com.

আপনার রুটেড ফোনে ইনস্টল করে নিন আইওএস ১৪ এর ইমুজি সাথে থাকছে আরো কিছু ইমুজী (Magisk Module)

Posted:

যারা তাদের ফোন রুট করে তাদের মূলত একটি উদ্দেশ্য থাকে তা হল তাদের ফোন কাস্টোমাইজ করা। তাছাড়া ফোনের পারফরমেন্স বৃদ্ধ করা এবং বেশ কিছু অ্যাপ এর একসেস পাওয়া। আজকে বেশ কিছু মেজীস্ক এর কাস্টম মডিউল নিয়ে হাজির হলাম যার মাধ্যমে ফোনের সিস্টেম ইমুজি চেইন্জ করতে পারবেন।

Tested Device

Device: Poco x3
Android: 10
Root: Rooted (Magisk)
Keyboard: Gboard

SCREENSHOTS

যা যা লাগবে

1. একটি রুটেড ফোন।
2. মেজীস্ক এর মাধ্যমে রুট করা ফোন।
3. ইমুজি মডিউল।
ডাউনলোড EmojiOne
ডাউনলোড Ios 14

Installations

1.Open Magisk Manager
2.মডিউল সেকশনে যান এবং + চিহ্নে ক্লিক করুন। ফাইল মেনেজার থেকে zip ফাইলটি সিলেক্ট করুন।
3. ফোন রিবুট দিন।

More Emoji

অনেক কাস্টম ইমুজিই আপনি পাবেন। এদের ডাউনলোড লোকেশন আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। নিচের লিংক থেকে নামিয়ে নিয়েন।
XDA Forum
Telegram

The post আপনার রুটেড ফোনে ইনস্টল করে নিন আইওএস ১৪ এর ইমুজি সাথে থাকছে আরো কিছু ইমুজী (Magisk Module) appeared first on Trickbd.com.

Post a Comment

0 Comments