Search box..

স্মার্ট ভাবে পড়ালেখা করার ৭টি উপায়

স্মার্ট ভাবে পড়ালেখা করার ৭টি উপায়


স্মার্ট ভাবে পড়ালেখা করার ৭টি উপায়

Posted:

স্মার্ট ভাবে পড়ালেখা করার ৭টি উপায়

রাতদিন বাবা মা বলেই যান, "বেশি করে পড়াশোনা কর! রেজাল্ট ভাল হতে হবে এবার!" আমরাও ভাল রেজাল্টের জন্য অথবা ভাল প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবার আশায় নাকমুখ গুঁজে ডুবে থাকি পড়ালেখায়। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এত পরিশ্রমের পরও ফলাফল মনমতো হচ্ছে না।

অথচ পাশের বাড়ির ছেলেটাই সারাদিন খেলাধুলা নিয়ে মেতে থাকার পরও পরীক্ষায় অনেক ভাল ফল করছে। এর কারণ কি শুধুই মেধার তারতম্য? কখনোই নয়! স্রষ্টা সবাইকেই সমান মেধা দিয়ে পাঠিয়েছেন, কিন্তু মেধার সঠিক ব্যবহারই ক্লাসের ফার্স্ট বয় আর লাস্ট বয়ের ব্যবধান তৈরী করে দেয়।

সমাজে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী আমরা অনেকেই "স্টাডি হার্ড" অর্থাৎ "বেশি বেশি পড়লেই ফল ভাল হবে"- এমন ধারণা পোষণ করি, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে "স্টাডি হার্ড" এর চেয়ে "স্টাডি স্মার্ট" বা "সঠিক নিয়মে পড়াশোনা" অনেক বেশি ফলপ্রসূ।

দৈনন্দিন পড়াশোনা পদ্ধতিতে ছোট্ট ছোট্ট কিছু পরিবর্তন জাদুকরী এক ভূমিকা রাখবে তোমার পরীক্ষার রেজাল্ট ভাল করার পেছনে। চলো, ঝটপট দেখে নেওয়া যাক ৭টি "স্টাডি স্মার্ট" টিপস!

পড়াশোনা করার নিয়মঃ

১। একনাগাড়ে বেশিক্ষণ পড়াশোনা নয়

বিজ্ঞানীরা বলেন, মস্তিষ্কের তথ্য ধারণ ক্ষমতা টানা ২৫-৩০ মিনিট পরিশ্রমের পর হ্রাস পেতে শুরু করে। সুতরাং, একটানা ঘন্টার পর ঘন্টা বই নিয়ে পড়ে থাকার অভ্যাস বন্ধ করো। পড়ার সময়টুকুকে ছোট্ট ছোট্ট ভাগে আলাদা করে সাজিয়ে নাও।

প্রত্যেকটা ভাগ শেষ হওয়ার পর পাঁচ মিনিট ব্রেক নিবে। এই সময়টুকু একদম chill! তোমার যা করতে ভাল লাগে (কিছু খাওয়া, গান শোনা, ফেসবুকে একবার ঢুঁ মেরে আসা) এই সময়টুকুতে করবে, তারপর সতেজ মনে আবার পড়াশোনা করতে ঝাঁপিয়ে পড়বে।

২। মুখস্থ নয়, বুঝে পড়ো

ছোটবেলা থেকে আমাদের ছড়া, কবিতা প্রভৃতি দাঁড়িকমা সহ মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় লিখতে লিখতে অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায় সবকিছু মুখস্থ করে ফেলার। এটি খুব ভুল একটি পদ্ধতি। অনেকেই আছে, যাদের কোন কিছুর সংজ্ঞা জিজ্ঞেস করলে হুবুহু বই এর সংজ্ঞা গড়গড় করে বলে দিতে পারবে, কিন্তু ব্যাখ্যা করতে বললেই নিশ্চুপ!

Don't just study hard, study 'smart'বর্তমান সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষায় এই মুখস্থবিদ্যা নির্ভরতা তোমাকে একদমই সাহায্য করবে না ভালো ফল করতে। সুতরাং বই এর সংজ্ঞা মুখস্থ করা বন্ধ করে মূল টপিকটা বুঝতে চেষ্টা করো। কেননা, মুখস্থ দশবার করলে দশবার ভুলবে, কিন্তু একবার ভালভাবে বুঝে নিতে পারলে কোনদিনও ভুলার চান্স নেই!

৩। বিভিন্ন সোর্স থেকে পড়ো

বুঝে বুঝে পড়ার একটি চমৎকার উপায় হচ্ছে একই টপিক বিভিন্ন সোর্স থেকে পড়া। অন্ধের হাতি দেখার গল্প মনে আছে তো? শুধুমাত্র একটি বই থেকে পড়তে গেলে তেমনটি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। সুতরাং সম্ভাব্য সবরকম সোর্স থেকে শেখার চেষ্টা করো। বন্ধুদের সাথে গ্রুপ স্টাডি করো, বিভিন্ন লেখকের বই থেকে পড়ো, বড় ভাই/আপুদের সাহায্য নাও। ইন্টারনেটে একটু খুঁজলেই চমৎকার সব শিক্ষামূলক সাইট পেয়ে যাবে তোমার টপিকের উপর।

৪। কাউকে শেখাও

আইনস্টাইন বলেন, "একটা বিষয় তোমার পরিপূর্ণভাবে আয়ত্ত হবে তখনই, যখন বিষয়টি তুমি কাউকে বুঝিয়ে বলতে পারবে।" পড়ালেখাকে যদি একটি গাড়ির সাথে তুলনা করো, তাহলে তুমি যখন একটি টপিক পড়লে, তখন সেটি হচ্ছে গাড়ির ইঞ্জিন। কিন্তু শুধু এটুকু দিয়েই তুমি কাউকে ঠিকভাবে বুঝাতে পারবে না টপিকটা।

কেননা, কেবল ইঞ্জিন থাকলেই তো গাড়ি চলে না! গাড়ির অন্যান্য যন্ত্রাংশ – চেসিস, টায়ার ইত্যাদি সব মিলে যুক্ত হয়েই তৈরী হয় একটি গাড়ি।যখন কাউকে বুঝাতে যাবে একটি টপিক, তখন লক্ষ্য করবে শুধু বইপড়া জ্ঞান দিয়ে কাজ হচ্ছে না। ঠিক গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মতো, সবগুলো ঠিকমতো জোড়া দিলে তবেই চলবে গাড়ি, সেরকম তোমার টপিকটার বিভিন্ন আঙ্গিকের উপর সার্বিক একটা ধারণা থাকতে হবে, এবং সেটা গড়ে উঠবে কাউকে শেখাতে গেলেই, টপিকটার উপর তোমার জ্ঞান অনেক গভীরে পৌঁছাবে তখন।

৫। নিবিড় মনোনিবেশ

একবার ভেবে দেখো তো, দিনে গড়ে কত ঘন্টা তুমি বইয়ের সামনে বসে কাটাও? এর মধ্যে কতটুকু সময় তোমার অখন্ড মনোযোগের সাথে পড়া হয়? খেয়াল করলে দেখবে, প্রচুর সময় হেলাফেলা করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। "জাস্ট ২ মিনিটের জন্য ফেসবুকে ঢুকবো!" "খেলার স্কোরটা দেখেই টিভি বন্ধ করে দিবো!" পড়তে বসলেই এমন অনেক ইচ্ছা কিলবিল করতে থাকে মাথার ভেতর। এই ইচ্ছাগুলো ঝেড়ে ফেলে দাও এখনই।

একই সাথে একাধিক কাজ করতে গেলে কোনটিই ভালভাবে করা হয়না। যখন পড়তে বসবে, তখন সম্পুর্ণ মনোযোগ থাকবে বইয়ের পাতায়। মনোযোগ বিঘ্ন করার মত যা কিছু আছে, সবকিছু দূরে সরিয়ে রাখবে এই সময়টুকুতে। অল্প সময় পড়বে, কিন্তু ১১০% মনোযোগের সাথে পড়বে। আর বিনোদনের জন্য স্টেপ ওয়ানে বলা পাঁচ মিনিটের ব্রেক তো আছেই!

৬। ছোট ছোট লক্ষ্য তৈরী করোঃ

আমরা সবাই বছরের শুরুতে লক্ষ্য ঠিক করি, "এইবছর ফাটায়ে পড়াশোনা করবো!" এবং বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে সেটা "লক্ষ্য" হয়েই থেকে যায়, কার্যকরী আদৌ হয়ে উঠেনা! কেন এমনটি হয় কখনো ভেবে দেখেছো? আমরা ছোট থাকতে গুরুজনেরা আমাদের খাইয়ে পরিয়ে দিতেন, নিয়মিত পড়া আদায় করাতেন। এখন তুমি বড় হয়েছো, এখন আর কেউ প্রতিদিন তোমার পড়া ধরতে আসে না।

তোমার সাফল্য ব্যর্থতার দায়ভার তোমার নিজের হাতেই।প্রতিদিন ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করো। "আমি এই টার্মে ফার্স্ট হতে চাই!" এত দীর্ঘমেয়াদী প্ল্যানে না গিয়ে "আমি আজকে ম্যাথ অমুক চ্যাপ্টার কমপ্লিট করবো" এরকম একদিনের প্ল্যান ঠিক করো। এবং সেটা সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত হাল ছেড়ো না। প্রতিদিন এরকম ছোট ছোট লক্ষ্য পূরণ করতে করতে বছরের শেষে গিয়ে দেখবে সত্যিই বছরজুড়ে ফাটাফাটি পড়াশোনা হয়েছে!

৭। পড়াশোনা হোক গল্পের, আনন্দের!

তুমি একদিন বাসে উঠে তোমার বন্ধুকে বললে, "এই জানিস! গতকাল কলেজের সামনে রাস্তায় কি কাহিনী ঘটেছে!" আমি বাজি ধরে বলতে পারি, বাসের সবাই সাথেসাথে কান খাড়া করে ফেলবে "কি কাহিনী ঘটেছে" সেটা শোনার জন্য! কারণটা খুব সোজা, আমরা সবাই গল্প শুনতে ভীষণ ভালবাসি!

পড়াশোনাকে যখন সংজ্ঞা/ফর্মুলার নীরস জায়গা থেকে গল্পের ছাঁচে ফেলতে পারবে, দেখবে জিনিসটা আসলে কত মজার! গণিতের "x=?" এর সমাধান যেন গোয়েন্দা কাহিনীর "কে সেই কালপ্রিট?" বের করার মতোই! "ব্রেকিং ব্যাড" এর কল্যাণে রসায়নের ফর্মূলাগুলো তো এখন সবাই আগ্রহ নিয়েই শিখে!ফিজিক্সের প্লবতার "ইউরেকা!" থেকে শুরু করে আতশ কাঁচের সাহায্যে আর্কিমিডিস কিভাবে রোমান যুদ্ধতরী পুড়িয়ে দিলেন সমুদ্রে -এরকম অজস্র ইন্টারেস্টিং গল্প আছে।

এরকম সব সাবজেক্টেই অনেক মজার মজার গল্প, ঘটনা জড়িয়ে আছে। বাস্তব জীবনে চারপাশের উপকরণের সাথে যখন পাঠ্যবই এর টপিকগুলো মিলিয়ে গল্প তৈরী করতে শিখবে, দেখবে পড়ালেখার চেয়ে মজার আর কিছুই হতে পারে না!সুতরাং আর নয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঢুলে ঢুলে বই মুখস্থ করা! এখন থেকে পড়ালেখা হবে আনন্দের উপকরণ, দারুণ ইন্টারেস্টিং একটি বিষয়। Don't study "hard", study "smart"!


নিত্যনতুন টিপস পেতে PieTune.xyz ভিজিট করুন

আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে জয়েন করুন টেলিগ্রাম গ্রুপ এবং নিত্যনতুন আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল।

The post স্মার্ট ভাবে পড়ালেখা করার ৭টি উপায় appeared first on Trickbd.com.

What is AMP? How it works?

Posted:

AMP কি?

AMP er পূর্ণরূপ হচ্ছে Accelerated Mobile Pages ।

AMP এর সুবিধা কি?

AMP টেমপ্লেট গুলোর বৈশিষ্ট তো সবারই জানা।

AMP সাধারণত AMP HTML, AMP Javascripts, AMP Web Cache এই তিনটি অংশের সমন্বয়ে কাজ করে। একটি AMP অ্যাডেড ওয়েবসাইটে যত ধরনের সিএসএস,জাভাস্ক্রিপ্ট কোডিং করা থাকুক না কেন মোবাইল থেকে সেই ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় AMP পুরো ওয়েবসাইটের একটি AMP HTML ভার্সন তৈরি করে নেয়। 

AMP হচ্ছে গুগলের একটি ওপেন সোর্স প্রজেক্ট।যেটি একটি ওয়েবপেজকে যেকোনো মোবাইল ডিভাইসে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে লোড নিতে সাহায্য করে। AMP যে সমস্ত কোড সাপোর্ট করে না সেই কোডগুলোকে একটি ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় অংশগুলো রেখে AMP Web Cache এর মাধ্যমে পুরো ওয়েবসাইটকে অনেক দ্রুত গতিসম্পন্ন করে তুলে।

আপনি হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন,আমরা যখন গুগলে কোনো বিষয়ে সার্চ করি,তখন ফার্স্ট পেজে প্রথমের দিকে কিছু ওয়েবসাইট থেকে যেগুলোতে ক্লিক করার সাথে সাথেই পুআরও পেজটি লোড নিয়ে নেয়।১ সেকেন্ডের কম সময়ে যেসব ওয়েব পেজ লোড নেয় সেগুলোকেই AMP বলা হয়ে থাকে।

AMP এর অসুবিধা কি?

  • শুধুমাত্র Asynchronous Scripts গ্রহন করে।
  • আপনি Third Party Script ব্যবহার করতে পারবেন না।
  • আপনার পোস্টের CSS gulo Inline- CSS হতে হবে এবং পুরো ওয়েবপেজের সাইজ 50,000 bytes হতে হবে।
  • Font Treguring ভালো হতে হবে।
  • আপনার পোস্টে যোগ করা সব রিসোর্স অর্থাৎ ছবি এবং অন্যান্য সব কিছুর সাইজ কম্প্রেস করে লোড করে।
  • শুধুমাত্র অ্যাডসেন্স ইউজ করতে পারবেন।অন্য কোনো অ্যাড নেটওয়ার্ক এর অ্যাড শো করবে না।
  • অ্যাড থেকে আসা ইনকাম অনেকাংশে কমে যাবে।
  • Iframe 600px এর অধিক হলে লোড নিবে না।
  • পোস্টের ভিতরে এম্বেড করা অডিও/ভিডিও এর সাইজ কমাতে হবে,নয়তো লোড নিবে না।
  • টেমপ্লেটের শুরুতে অ্যাট্রিবিউট দিয়ে শুরু করা হয়। যার ফলে ওয়েব ব্রাউজারগুলি সহজে টেমপ্লেটের ভাষা বুঝতে পারে। কিন্তু AMP এর ক্ষেত্রে amp এট্রিবিউট দিয়ে শুরু করা হয়। যা w3.org এর Validate না হওয়াতে অনেক সময় পেজ লোড নিতে সমস্যা হবে।

Difference between AMP and Responsive Template | AMP টেমপ্লেট এবং রেসপন্সিভ টেমপ্লেটের পার্থক্য।

AMP হচ্ছে AMP এবং Responsive টেমপ্লেট এর সমন্বয়ে গঠিত একটি টেমপ্লেট।আর অপরদিকে রেসপন্সিভ টেমপ্লেট শুধু মাত্র রেসপন্সিভ।Responsive Template এর সাথে বাড়তি কিছু HTML কোড যুক্ত করে AMP template বানানো হয়।যার দরুণ AMP template অত্যন্ত দ্রুতগতিতে লোড নেয়।AMP Template কে অবশ্যই মোবাইল ফ্রেন্ডলী হতে হবে।অর্থাৎ রেসপন্সিভ হতে হবে।আর রেসপন্সিভ মানে হচ্ছে যেকোনো ডিভাইসে থেকে যেনো ওয়েবপেজটি সহজে দেখা যায়।

ব্লগারে কি AMP টেমপ্লেট ব্যবহার করা উচিত হবে?

ব্লগার হচ্ছে XHTML সাপোর্টেড ।তাই স্বাভাবিকভাবে ব্লগারে AMP Template কাজ করবে না।আর AMP এর জন্য আলাদা ভাবে ওয়েবপেজের সব কাঠামো চেঞ্জ করতে হয়।যেটি অনেক সময়সাপেক্ষ।

ব্লগারের অনেক ডিফল্ট ফিচার জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে করা।তাই আপনি যদি ব্লগারে AMP ইউজ করেন তবে সেটি বোকামি হয়ে যাবে।অনেক ধরনের ফিচার আপনি ইউজ করতে পারবেন না।

Should I use AMP Template ? আমার কি AMP Template ইউজ করা উচিত?

আপনি চাইলে AMP Template ব্যবহার করতে পারেন।এতে আপনার ওয়েবপেজের লোডিং সময় অনেক কম লাগবে।রাঙ্কিং ভালো হবে।সাধারণত AMP Template গুলো নিউজ পোর্টাল এর জন্যে বেটার চয়েজ।তবে আপনি AMP Template ইউজ করলে অনেক ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।যেমন CSS,Javaascript ইউজ করতে পারবেন না।


নিত্যনতুন টিপস পেতে PieTune.xyz ভিজিট করুন

আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে জয়েন করুন টেলিগ্রাম গ্রুপ এবং নিত্যনতুন আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল।

The post What is AMP? How it works? appeared first on Trickbd.com.

বিকাশ ফ্রাইডে অফারে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস নেয়ার সুযোগ কেউ মিস করবেন না।

Posted:

হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সকলে অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে বিকাশের দারুন ফ্রাইডে অফার এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।

চমকপ্রদ সব ফিচার ও অফার নিয়ে বিকাশ সব সময়ই দেশের মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহকদের আলোচনায় থাকে। বিকাশ একাউন্ট এ অ্যাড মানি করলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিমাণে ক্যাশ বোনাস দিয়ে এসেছে কোম্পানিটি। কিছুদিন আগেও কয়েক দফা ক্রেডিট/ ডেবিট কার্ড থেকে বিকাশ অ্যাড মানিতে বোনাস দেওয়ার কথা জানিয়েছে তারা।

কিন্তু এখন যে অফারটির কথা জানাবো সেটি বেশ বড়। বিকাশ অ্যাড মানি সার্ভিসে আপনি একাধিক সোর্স থেকে আপনার বিকাশ একাউন্টে টাকা নিতে পারবেন। এদের মধ্যে রয়েছে ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, এটিএম কার্ড, ব্যাংক একাউন্ট প্রভৃতি।

এতদিন বিভিন্ন কার্ড থেকে অ্যাড মানি অফার দিলেও সম্প্রতি বিকাশ ব্যাংক থেকে বিকাশে টাকা আনার জন্য একটি বোনাস অফার ঘোষণা করেছে।

আরো পড়ুনঃ Driver (ড্রাইভার) 2022 Bangla Bioscope Web Series and Review

বিকাশ ফ্রাইডে অফার

আপনি যদি আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকে আপনার বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠান তাহলে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিকাশ বোনাস পেতে পারেন। তবে আগেই জানিয়ে রাখছি, এই অফারের বেশ কিছু শর্ত আছে যা না মানলে বোনাস পাবেন না। চলুন জেনে নিই সেই শর্তগুলো।

এই অফারটি যদিও শুরু হয়েছিলো ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে তবে এখন ১৭ ই ফ্রেব্রুয়ারী। তো এখন থেকে আপনি ৪ মার্চ ২০২২ এর মধ্য আরো ৩ বার এই অফার টি উপভোগ করতে পারবেন। শুধুমাত্র শুক্রবারে লেনদেনের ক্ষেত্রে বোনাস পাবেন।

বিকাশ ফ্রাইডে অফারে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস নেয়ার সুযোগ কেউ মিস করবেন না।

প্রতি শুক্রবার ব্যাংক থেকে ১৫০০ টাকা অ্যাড মানি করে ১০০ টাকা বোনাস পাবেন। ২ কার্য দিবসের মধ্যে বোনাস আপনার বিকাশ একাউন্টে আসবে। মনে রাখবেন, ঠিক ১৫০০ টাকা অ্যাড মানি করতে হবে।

একজন বিকাশ গ্রাহক কতবার ফ্রাইডে অফার টি পাবে

এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে একজন বিকাশ গ্রাহক এই অফার টি ফ্রেব্রুয়ারীর ২ টি শুক্রবার ও মার্চ এর প্রথন শুক্রবার এ মোট তিন বার এই অফার নিতে পারবে। প্রতি অফারে বোনাস থাকবে ১০০ টাকা যা একসাথে মোট হবে ৩০০ টাকা। নিচে কোন কোন তারিখ এই অফার নিতে হবে তা বলা হলোঃ

১. ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
২. ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ এবং
৩. ৪ মার্চ, ২০২২ তারিখ

প্রতি নির্দিষ্ট শুক্রবারে শুধুমাত্র ১টি লেনদেনে বোনাস অফারটি উপভোগ করা যাবে। এখন থেকে ক্যাম্পেইন চলাকালীন একজন বিকাশ গ্রাহক মোট ৩ বার এই বোনাস অফারটি উপভোগ করতে পারবেন। শুধুমাত্র অনলাইন ব্যাংকিং বা iBanking এর ক্ষেত্রে অফারটি প্রযোজ্য।

বিকাশ জানিয়েছে, "শুধুমাত্র iBanking-এর ক্ষেত্রে অফারটি প্রযোজ্য।" এবং "বিকাশ অ্যাপ ও API-এর মাধ্যমে অ্যাড মানি'র ক্ষেত্রে অফারটি প্রযোজ্য।"

অর্থাৎ আপনি অফারটি উপভোগ করতে চাইলে আপনার ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং সাইট অথবা ব্যাংকের মোবাইল অ্যাপ থেকে আপনার বিকাশ নম্বরে টাকা অ্যাড মানি করতে পারেন।

এই বিষয়ে আরও তথ্য জানতে বিকাশ হেল্পলাইন এ যোগাযোগ করতে পারেন অথবা বিকাশের অফিসিয়াল ওয়েব পেজ ভিজিট করতে পারেন।

তো বন্ধুরা আশা করি পোস্ট টি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর এরকম পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের  ShopTips24.CoM সাইটিটি। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।

The post বিকাশ ফ্রাইডে অফারে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস নেয়ার সুযোগ কেউ মিস করবেন না। appeared first on Trickbd.com.

বিশ্বের প্রথম ওয়েবসাইট কোনটি এবং এর ডেভেলপার কে ছিলেন?

Posted:

আপনি কি জানেন, বিশ্বের প্রথম ওয়েবসাইটের নাম কি? এটি কত সালে তৈরি করা হয় এবং এর ডেভেলপার কে ছিলেন?

আপনি কি কখনো সেই সাইট খুলে দেখেছেন? আমরা যদি এভাবে চিন্তা করি যে, সেই ওয়েবসাইটটি যদি তৈরি না হতো, তাহলে আমরা আজকে ইন্টারনেট তথা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এতটা এগিয়ে যেতে পারতাম না।

বিশ্বের প্রথম ওয়েবসাইটের নাম কি এবং এর ডেভেলপার কে ছিলেন?

বর্তমানে ইন্টারনেটে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ্য ওয়েবসাইট উপলব্ধ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে আমাদের প্রয়োজনে আমরা প্রতিদিন অনেক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে থাকি, বিভিন্ন তথ্য পাওয়ার জন্য।

কিন্তু আপনি কি দেখেছেন, পৃথিবীর প্রথম ওয়েবসাইট কেমন ছিল?

১৯৯১ সালের ৬ আগষ্ট স্যার টিমোথি জন টিম বার্নার্স-লি প্রথম ওয়েবসাইট তৈরি করেন।

এই ওয়েবসাইটটি World Wide Web (WWW) প্রোজোক্টের অংশ হিসেবে ফ্রান্সের একটি অংশে প্রথম চালু হয়। এই ওয়েবসাইটটির address ছিলো,

>> http://info.cern.ch/hypertext/WWW/TheProject.html

টিম বার্নার্স-লি কে World Wide Web এর জনক বলা হয়।

এটি মূলত তৈরি করা হয়েছিল যে কারণে,

টিম বার্নার্স লি CERN এ নিযুক্ত ছিলেন। এখানে আরো নিযুক্ত ছিলো বিশ্বের ১০০ টিরও বেশি দেশ থেকে ১৭০০ জনেরও বেশি বিজ্ঞানি।

তারা CERN সাইটে তাদের কিছু সময় ব্যয় করেন এবং বাকি সময় গুলো তাদের নিজ দেশে এবং তাদের জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয় এবং গবেষণাগারে কাজ করেন।

তাই টিম বার্নার্স-লি লক্ষ্য করেন, তাদের এমন একটা কিছুর প্রয়োজন ছিলো, যার মাধ্যমে তারা সহজেই একে অপরের সাথে যেকোন গবেষণার বিষয় নিয়ে মতামত আদান প্রদান করতে পারে।

ওয়েবসাইটটিতে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সম্পর্কে বর্ণনা করা হয় এবং কিভাবে সার্ভার তৈরি করতে হয় এ বিষয়ে বলা হয়েছিল।

এই ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেটে এখনো রয়েছে। এছাড়া, এটিকে একেবারে আগের মতো করেই রাখা রয়েছে এবং কোন ধরনের পরিবর্তন করা হয়নি।

আর এর ইউয়ারএল টিও অপরিবর্তিত রয়েছে।

আপনি চাইলে উপরের লিংক থেকে ওয়েবসাইটটি দেখে নিতে পারেন।

ওয়েবসাইট কি এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন এখান থেকে।

The post বিশ্বের প্রথম ওয়েবসাইট কোনটি এবং এর ডেভেলপার কে ছিলেন? appeared first on Trickbd.com.

আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স এবং রোবটিক্স সম্পর্কে আলোচনা। What is Artificial Intelligence and Robotics?

Posted:

আসসালামু আলাইকুম। 
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালোই আছেন। 
তো প্রতিদিনের মতো আপনাদের সামনে আমি আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাঁজির হয়েছি। আমরা আপনাদের কথা মাথায় রেখেই নিত্যনতুন পোস্ট নিয়ে আসি। আজকেও ব্যতিক্রম নয়। আমার এই পোস্ট গুলো পড়লে আপনি কম্পিউটার সম্পর্কে এবং ইন্টারনেট সম্পর্কে সকল কিছু জানতে পারবেন। কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সম্যক ভাবে জানতে পরবেন। তো আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি মূল পোস্টে চলে যায়।

আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আর্টিফিয়াল ইনটেলিজেন্স (Artificial Intelligence) সম্পর্কে আলোচনা করবো।

আর্টিফিয়াল ইনটেলিজেন্স (Artificial Intelligence)

মানুষের চিন্তা ভাবনার অথবা বুদ্ধিমত্তার পদ্ধতিটাকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্র বা কম্পিউটারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাটাই হলো আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স (Artificial Intelligence) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

ইনটেলিজেন্স বা বুদ্ধিমত্তা শব্দটি হলো কতকগুলো বিশেষ গুণের সমষ্টিগত রূপ। যেমন- কোনো নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ধারণা করতে পারা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা, অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া, যেকোনো বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারা, অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে পারা, নতুন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত এবং সফলভাবে সাড়া দেওয়া ভাষা বুঝতে পারার ক্ষমতা-এ সবই বুদ্ধিমত্তার অংশ। এ বুদ্ধিমত্তা বা ইনটেলিজেন্স-এর আগে আর্টিফিসিয়াল শব্দটি তখনই বসানো যায় যখন গুণগুলোকে কোনো সিস্টেমের মাঝে সিমুলেট করা সম্ভব হয়। 

চিত্র: আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স
কম্পিউটার তার স্মৃতিকোষে সঞ্চিত তথ্যা বিচার-বিশ্লেষণ করে জটিল সমস্যার সমাধান বের করতে পারে। আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স-এর জনক হলেন অ্যালান টুরিং (Alan Turing)। তাঁর করা টুরিং টেস্ট’ আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের ভিত্তি স্থাপন করে। ১৯৫০ সালে টুরিং তাঁর এই যুগান্তকারী। পরীক্ষা প্রকাশ করেন। এক কথায় টুরিং টেস্ট’ হচ্ছে এমন একটি পরীক্ষা যার মাধ্যমে জানা যায়, কোন যন্ত্রের চিন্তা করার ক্ষমতা আছে কিনা। কোন একটি যন্ত্র টুরির টেস্ট উৎরে গেলে বলা যায়- যন্ত্রটির কৃত্রিম বুদ্ধিমতা আছে। অনন্য প্রতিভাবান অ্যালান টুরিং আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স-এর সাথে সাথে তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের জনক হিসেবে সমাদৃত। 
চিত্র: অ্যালান টুরিং
১৯৫৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের MIT-এর John McCarthy সর্বপ্রথম আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স শব্দটির সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন। ক্রমেই এটি বিস্তার লাভ করেছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যবহার বেড়েই চলেছে। কম্পিউটারভিত্তিক সিস্টেমগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে যোগ্যতাগুলোকে প্রতিলিপিকরণের চেষ্টা করে তা হলো- চিন্তা ও কারণ, সমস্যা সমাধানে কারণগুলোকে ব্যবহার, অভিজ্ঞতা থেকে শেখা বা বোঝা, জ্ঞান অর্জন ও প্রয়োগ করা, সৃষ্টিশীলতা ও কল্পনাশক্তির প্রদর্শন, জটিল ধাঁধাময় পরিস্থিতিগুলোর সাথে কাজ করা, নতুন পরিস্থিতিগুলোতে দ্রুত ও সাফল্যজনকভাবে সাড়া প্রদান, কোনো পরিস্থিতিতে উপাদানগুলোর সম্পর্কের গুরুত্বকে শনাক্ত করা, অস্পষ্ট, অসম্পূর্ণ তথ্যকে মোকাবিলা করা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারকে তিনটি প্রধান এলাকায় গ্রুপভুক্ত করা যায়। এগুলো হলো: বুদ্ধিবৃত্তিক বিজ্ঞান (Cognitive science), রোবোটিক্স (Robotics), ন্যাচারাল ইন্টারফেস (Natural Interface)।
কম্পিউটার কীভাবে মানুষের মত চিন্তা করবে, কীভাবে অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্তে পৌঁছবে, কীভাবে সমস্যা সমাধান করবে, কীভাবে বিচক্ষণতার পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে, কীভাবে সফলতার সহিত খেলাধুলা করবে ইত্যাদি বিষয়গুলোর জন্যই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর গবেষণা করা হচ্ছে। রোবট উপলব্ধি সম্পর্কিত, প্রাকৃতিকভাবে ভাষার প্রক্রিয়াকরণ, এক্সপার্ট সিস্টেম বা সুনিপুণ ব্যবস্থা, নিউরাল নেটওয়ার্ক, স্বপ্নময় সত্যি বা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিশেষ ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে। Artificial Intelligence বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে প্রয়োগ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের ব্যবহার করা হয়। যেমন- LISP CLISP, PROLOG C/C^ + ) java ইত্যাদি। 
তবে উদ্দেশ্য ও কার্যপ্রণালীর ভিত্তিতে এই ধরনের প্রোগ্রামকে কয়েকটি বিশেষ ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
  1.   সূত্রের প্রতিপাদন ও সমস্যা সমাধান (Deduction and problem solving)
  2. জ্ঞানের উপস্থাপন (Knowledge representation)
  3. পরিকল্পনা (Planning)
  4. যন্ত্রের শিক্ষা (Machine learning)
  5. স্পিচ ও প্যাটার্ন সনাক্তকরণ (Speech and pattern recognition) ইত্যাদি। রোবোটিক্স (Robotics)
চিত্রঃ জন ম্যাকাথি

রোবটিক্স (Robotics)

রোবটিক্স হলো রোবট টেকনোলজির একটি শাখা সেখানে রোবটের গঠন, কাজ, বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করা হয়। রোবোটিক্স বা রোবটবিজ্ঞান হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রসমূহ ডিজাইন ও উৎপাদন সংক্রান্ত বিজ্ঞান। রোবটবিজ্ঞান ইলেকট্রনিক্স, প্রকৌশল, বলবিদ্যা, মেকানিক্স এবং সফটওয়্যার বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কযুক্ত। রোবোটিক্স-এর সাধারণ বিষয়গুলো হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মনোবিদ্যা। এই প্রযুক্তিটি কম্পিউটার বুদ্ধিমত্তা সংবলিত এবং কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রোবট মেশিন তৈরি করে যেগুলো আকৃতিগত দিক থেকে অনেকটা মানুষের মতো হয় এবং অনেকটা মানুষের মতোই দৈহিক ক্ষমতাসম্পন্ন থাকে। Robot শব্দটি মূলত এসেছে স্নাতিক শব্দ Robota হতে যার অর্থ হলো শ্রমিক। । জাপানের মুরাতা কোম্পানির “মুরাতা বয়”, Honda কোম্পানীর “অ্যাসিমো”, সনি কর্পোরেশনের "আইবো" রোবট মানুষের মতো কাজ করে। রোবট হলো এক ধরনের ইলেকট্রোমেকানিক্যাল যান্ত্রিক ব্যবস্থা, যা কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা ইলেকট্রনিক সার্কিট কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় আধা-স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বা যন্ত্রমানব রোবটে একবার কোনো প্রোগ্রাম করা হলে ঠিক সেই প্রোগ্রাম অনুসারে কাজ করে। এক্ষেত্রে তার কাজটির জন্য মানুষকে আর কোনো কিছু করতে হয় না। রোবট স্বয়ংক্রিয় ভাবে প্রোগ্রাম অনুসারে সকল কাজ সম্পন্ন করে। ঘরবাড়ি বা আবর্জনা পরিষ্কারসহ বাড়িঘরের কাজ বা বাড়িঘরের কাজ বা মহাশূন্যের কাজে ব্যবহৃত রোবট হলো স্বয়ংক্রিয় রোবট যা অটোনোমাস রোবট নামে পরিচিত। অন্যদিক সে সমস্ত রোবটকে পরিচালনার জন্য মানুষের কিছু নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা প্রয়োজন হয়, সেগুলোকে আধা-স্বয়ংক্রিয় বা সেমি অটোনোমাস রোবট বলে। শিল্প করখানায় এ ধরণের কিছু রোবট ব্যবহৃত হয়। দূর থেকে লেজার রশ্মি বা রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে এই রোবটগুলো নিয়ন্ত্রিত হয়। রোবট মানুষের অনেক দুঃসাধ্য ও কঠিন কাজ করতে পারে এবং এর কাজের ধরণ দেখে মনে হয় এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আছে। 
এই ক্ষেত্রটিতে তাই রোবটকে যেসব বৈশিষ্ট্য দেওয়ার চেষ্টা করা হয় সেগুলো হলো
  •  দর্শনেন্দ্রিয় বা ভিজুয়্যাল পারসেপশন (Visual Perception), 
  • সংস্পর্শ বা স্পর্শনেন্দ্রিয়গ্রাহ্য সক্ষমতা (Tactile Capabilities), 
  • নিয়ন্ত্রণ ও ম্যানিপুলেশনের ক্ষেত্রে দক্ষতা বা নিপুণতা (Dexterity), 
  • যেকোনো স্থানে দৈহিকভাবে নড়াচড়ার ক্ষমতা বা লোকোমোশন (Locomotion)। 

রোবটের অংশসমূহঃ

একটি সাধারণ রোবটে সাধারণত নিচের উপাদানগুলো থাকে—

  •  পাওয়ার সিস্টেম (Power systam): সাধারণত লেড এসিড দিয়ে তৈরি রিচার্জেবল ব্যাটারি দিয়ে রোবটের পাওয়ার দেওয়া হয়। মুভেবল বডি (Movable Body): রোবটের চাকা, যান্ত্রিক সংযোগসম্পন্ন পা কিম্বা স্থানান্তরিত হওয়ার যন্ত্রপাতি যুক্ত থাকে।
  • ইলেকট্রিক সার্কিট (Electric circuit): রোবটকে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করে। একই সাথে হাইড্রোলিক ও নিউমেট্রিক। ৮ সিস্টেমের রোবটকে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করে। 
  • মস্তিষ্ক বা কম্পিউটার (Brain or Computer): রোবটের মস্তিষ্ক রোবটকে নিয়ন্ত্রণ করে। আচরণ পরিবর্তন করতে হলে মস্তিষ্কে প্রোগ্রাম পরিবর্তন করতে হয়।
  • অ্যাকচুয়েটর (Actuator): একটি রোবটের হাত পা ইত্যাদি নড়াচড়া করার জন্য কতকগুলো বৈদ্যুতিক মোটরের ব্যবস্থা থাকে। একে একটি রোবটের হাত ও পায়ের পেশি বলে অভিহিত করা যায়।
  • অনুভূতি (Sensing): মানুষের অনুভূতি একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য, তেমনি রোবটের অনুভূতি একটি বিশেষ উপাদান। রোবটের হাত বা পায়ের কোনো একটি জায়গায় স্পর্শ করলে সেই জায়গা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে। চোখের ন্যায় ক্যামেরা দিয়ে সামনের বা পেছনের দৃশ্য নেওয়া হয় এবং 360° কোণ পর্যন্ত ঘুরাতে পারে।
  • ম্যানিপিউলেশন বা পরিবর্তন করা (Manipulation): একটি রোবটের আশপাশের বস্তুগুলোর অবস্থান পরিবর্তন বা বস্তুটি পরিবর্তন করার পদ্ধতিকে বলা হয় Manipulation। এখানে রোবটের হাতটি এই পরিবর্তনের যাবতীয় কাজ করে থাকে। প্রতিটি রোবটের হাতে কতগুলো আঙুল থাকবে যা নড়াচড়া করে কোনো বস্তু ধরতে পারবে।

রোবট এর ব্যবহার (Application of Robot):

  1. বিভিন্ন শিল্পকারখানায় যেসব জিনিসপত্র মানুষের পক্ষে ওঠানামা ও স্থাপনের জন্য কঠিন সেসব ক্ষেত্রে রোবট ব্যবহার করা যায়। বিশেষ করে যানবাহন বা গাড়ির কারখানায় রোবট ব্যবহৃত হয়।
  2. কারখানার জিনিসপত্র সংযোজন, প্যাকিং এবং জিনিসপত্র পরিবর্তনের জন্য রোবট ব্যবহার ফলপ্রসূ।
  3. যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধযানে ড্রাইভারের বিকল্প হিসেবে রোবটকে ব্যবহার করা যায়। এই সমস্ত রোবট দূর নিয়ন্ত্রিত (Remote Controlled) হওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। যেসব ক্ষেত্রে অতি সূক্ষ্ম কাজ করা দরকার হয় যেমন ইলেকট্রনিক্স-এর আইসিগুলো (IC) বানানোর জন্য এবং
  4. PCB (Printed Circuit Board) বানানোর জন্য রোবট ব্যবহৃত হয়। 
  5.  চিকিৎসা ক্ষেত্রে সার্জারির কাজে রোবট সফলভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে।
  6. বিরক্তিকর ও একঘেয়ে কাজের ক্ষেত্রে।
  7. বিপজ্জনক কাজের ক্ষেত্রে ও নিরাপত্তার কাজে।
  8. দুর্গম স্থানে কাজের ক্ষেত্রে।
  9. বিনোদন, গবেষণা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে।
  10. পুঙ্খানুপুষ্প রূপে মাইক্রোসার্কিটের পরীক্ষা করতে। 
  11.  সামরিক কাজে যেমন- বোমা নিস্ক্রিয় করা, ভূমি মাইন সনাক্তকরণ, মিলিটারি অপারেশনে ব্যবহৃত হয়।
  12. ঘরোয়া কাজে রুটিন মাফিক ঘরের কাজকর্ম, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, চা-কফি তৈরি, কথা বলার কাজে রিসিপসনিস্ট হিসেবে।
  13. মহাকাশ গবেষনায় মানুষের পরিবর্তে রোবট ব্যবহৃত হয় যেমন— নাসার কিউরিসিটি রোবট উল্লেখযোগ্য।

রোবট ব্যবহারের সুবিধাসমূহ—

১. রোবট দ্বারা তৈরি পাণ্যের গুনগতমান খুব ভাল এবং সূক্ষতাও বেশি।

২. রোবটের কাজ করার গতি বেশি এবং আউটপুট বেশি পাওয়া যায়।

৩. বিপজ্জনক পরিবেশে রোবটের সাহায্যে কাজ করা নিরাপদ।

৪. এটি নিরবিচ্ছন্নভাবে দীর্ঘক্ষণ করে কাজ করতে পারে।

রোবট ব্যবহারের অসুবিধাসমূহ

  1. মানুষের মতো পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। অর্থাৎ রোবট নতুন বা জটিল পরিস্থিতিতে নিজে নেজে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারে না। ফলে একটি রোবট দিয়ে ইচ্ছামতো বিভিন্ন কাজ করা যায় না।
  2. প্রোগ্রাম তৈরি করা কষ্টসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ তাছাড়া রোবোটিক্স যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষ লোক প্রয়োজন। রোবটকে সচল রাখতে অধিক বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। ফলে এটি ব্যয়বহুল।
  3. রোবটটের মধ্যে কোনো সৃষ্টিশীলতা নেই এবং ভূল থেকে কোন শিক্ষা গ্রহন করতে পারে না।

তো আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। আশা করছি এই পোস্টের খুব শীঘ্রই তৃতীয় অর্থাৎ শেষ পর্ব নিয়ে আসবো।

উপরের আমার এই পোস্টটি লিখতে অনেক নথির এবং ওয়েসাইটের সাহায্য নিতে হয়েছে। যাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করলেই নয়। 

সহায়ক,

মোঃ কামরুল হাসান।

1. HSC ict book

2. Wikipedia.com

3. hpe.com

4. history-computer.com

5. civilian 

তো আজ এই পর্যন্তই। আপনাদের জন্যই আমরা নিয়মিত নিত্যনতুন পোস্ট নিয়ে হাঁজির হই।

তাই উক্ত পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক দিতে ভুলবেন না। এবং যেকোনো মন্তব্য বা পরামর্শের জন্য কমেন্ট করতে পারেন। পরবর্তীতে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ্য থাকবেন।

ধন্যবাদ

The post আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স এবং রোবটিক্স সম্পর্কে আলোচনা। What is Artificial Intelligence and Robotics? appeared first on Trickbd.com.

Post a Comment

0 Comments